সমাবেশ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশে যখন মানুষ দুবেলা খেতে পারছে না বিদ্যুতের অভাবে। গ্যাসের অভাবে দুবেলা রান্না করতে পারছে না। এমন সংকটময় সময়ে দেশ। আ. লীগ বলে খেলা হবে। তারা জনগণের কথা চিন্তা না করে বলে খেলা হবে। কার সাথে খেলব। আ. লীগ থার্ড ডিভিশন টিম, আর বিএনপি ফার্স্ট

‘বরিশালে বিএনপি সমাবেশ করে, হেইয়ার লাইগ্যা বাস বন্ধ হইরা রাকছে। এহন মোরা যে কাজের লাইগ্যা যামু, হেইয়া পারতে আছি না। হ্যারা সমাবেশ করে হেইতে বাস বন্ধ রাকছে, মোরা কী দোষ করছি?’ এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বরগুনার এম বালিয়াতলী

বরিশালের গণসমাবেশে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী আহত হলেও ইশরাক অক্ষত আছেন।

সিলেট নগরের ২০টি এলাকাকে অস্থায়ীভাবে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। এসব এলাকায় সব ধরনের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

বরিশালে শহরজুড়ে ব্যাটারিচালিত রিকশার আধিক্য। সমাবেশ ঘিরে ভারী হয়েছে রিকশাচালকদের পকেটও। নানা প্রান্ত থেকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আসছেন মানুষ। রিকশাওয়ালারাও ব্যাগ-বোঁচকা দেখেই বুঝে যাচ্ছেন যাত্রীর গন্তব্য। 

বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিনে পরিবহন ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে বরিশাল। আজ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বাস, থ্রিহুইলারের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। অঘোষিতভাবে সীমিত করা হয়েছে ঢাকা-বরিশাল লঞ্চ রুট।

বিভাগীয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে সমাবেশ করছে বিএনপি। গত ২৯ অক্টোবর রংপুরে সমাবেশের আগেই বরিশালে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা আসে। তখনই বোঝা গিয়েছিল, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরের চেয়ে বরিশালের আঁচটা একটু বেশি হতে যাচ্ছে। বরিশালে সেই সমাবেশ কাল শনিবার। এর তিন দিন আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার দেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন এক

আগামী শনিবার বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর তিন দিন আগে থেকেই বরগুনার বেতাগীতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। প্রত্যেকদিন গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলে তল্লাশি অভিযান।

ঢাকা-কুয়াকাটা রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকার ঘোষণায় ইতিমধ্যে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। হোটেল-মোটেলে ৮০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং বাতিল হয়ে গেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিণীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকে ‘চক্রান্তমূলক’ বলছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির গণসমাবেশ যত এগিয়ে আসছে, বরিশালে উত্তেজনা তত বাড়ছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ একযোগে ৩০টি ওয়ার্ডে মিছিল বের করেছে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে মিছিল হলেও স্লোগান ছিল বিএনপির বিরুদ্ধে...

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বরিশালে দুই দফায় বাস ও থ্রি হুইলার বন্ধ ঘোষণার পর এবার যাত্রীবাহী লঞ্চ বন্ধ করার তৎপরতা শুরু হয়েছে। ৪ ও ৫ নভেম্বর লঞ্চ বন্ধ রাখার জন্য স্থানীয় এক শ্রমিকনেতা মালিকদের চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘আমরা মানুষের ভোটের ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। তাই মানুষকে সংঘবদ্ধ করে রাজপথে নেমেছি। রাজপথের ফয়সালা আইনে এ সরকারের পতন ঘটিয়েই আমরা ঘরে ফিরবো। তার আগে নয়।’

নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সদর থানা বিএনপির ডাকা সমাবেশে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিএনপির অর্ধশতাধিক কর্মী আহত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

৫ নভেম্বরের গণসমাবেশ সফল করা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে দিন-রাত নগর থেকে গ্রামে প্রচার চালাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। প্রতিদিনই নানা কর্মসূচি করে যাচ্ছেন বিভিন্ন ভাগে; কিন্তু সমাবেশের জন্য বঙ্গবন্ধু উদ্যান পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছে দলটি।

চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশ করার পর বিএনপির মনোযোগ এখন বরিশালের দিকে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে গণসমাবেশ করবে বিএনপি। আগের চারটি সমাবেশের ধারাবাহিকতায় বরিশালেও একটি সফল গণসমাবেশ করতে চায় দলটি।

বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বরিশালে ৪ ও ৫ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট আহ্বান করেছে তিন চাকার যানবাহন মালিকেরা। বাস মালিকদের হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে রোববার রাতে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।