আড্ডা

সন্জীদা খাতুন তখন শান্তিনিকেতনে। সুফিয়া কামালের মেয়ে সাঈদা কামাল তাঁর মেয়ে টিয়াকে নিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে। প্রশিক্ষণ হবে কলাভবনে। সাঈদা কামাল উঠেছিলেন সন্জীদা খাতুনের ঘরেই। সে ঘরে ছিল দুটো বিছানা। তিনজনের জায়গা হয়ে গিয়েছিল তাতে।

কবরী অভিনীত অনেক সিনেমাই দর্শক টেনেছে হলে। সে রকমই একটি ছবি ক খ গ ঘ ঙ। এই সিনেমার শুটিং হয়েছিল বেবী ইসলামের মামাবাড়িতে। সেটা চুয়াডাঙ্গায়। আগে কখনো এখানে শুটিং হয়নি। তাই গ্রামের মানুষ ভেঙে পড়ত শুটিং দেখতে...

একবার প্যারিসে এক সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল সৈয়দ মুজতবা আলীর। এক রেস্তোরাঁয় বসে আছেন, এক সুপুরুষ এসে অনুমতি নিয়ে বসলেন তাঁর সামনের চেয়ারে। আলী সাহেব ফরাসি ভাষা জানেন কি না, জিজ্ঞেস করলেন। আলাপ শুরু হলো।

কবি মোহাম্মদ রফিককে কেন পি রফিক নামে ডাকা হতো, সে কথা বলার আগে সেই সময়ের ঢাকা শহরের কথা বলে নেওয়া দরকার। ঢাকা তখন আড়মোড়া ভেঙে ঘুম থেকে উঠছে। প্রায় গ্রামের মতো একটি জায়গায় গড়ে উঠছে নতুন শহর। নতুন নতুন স্থাপনা যেন নতুন নতুন গল্পের জন্ম দিচ্ছে।

তারেক মাসুদ গ্রাম থেকে এসে তখন ঢাকার একটি কলেজে ভর্তি হয়েছেন। থাকেন চাচাতো ভাই ও ভাবির ক্যান্টনমেন্টের বাড়িতে। সেখানেই তিনি ভাবির কাছে আলমগীর কবিরের গল্প শুনতেন। ভাবির ভাই ছিলেন আলমগীর কবির।

রুশ সাহিত্যিক ইভান তুর্গিয়েনেভ সুপুরুষ ছিলেন। ছিলেন মুখচোরা আর লাজুক। কৈশোরে তাঁর একবার খুব অসুখ হয়েছিল। সেরে উঠবার পর চিকিৎসক তাঁকে কিছুদিন নেভা নদীর তীরে নির্জনে বিশ্রাম নিতে বলেছিলেন। নেভার পারে জেলেদের এক গ্রামে তখন বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছিলেন তুর্গিয়েনেভ। জেলেদের মেয়েরা জানত, এ রকম খানদানি ছেলে

পিকাসোর জীবনে অনেক নারীই এসেছেন। তবে আমরা আজ বলব তাঁর আশি বছর বয়সের নতুন প্রেম নিয়ে। যে মেয়েটির সঙ্গে তিনি নিজেকে জড়ালেন এবার, তাঁর নাম জ্যাকলিন রোক। পাড়ার এক দোকানে অল্পবয়সী মেয়েটির সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছিল পিকাসোর। সে সময় মেয়েটি একটি অসফল বিয়ের যন্ত্রণায় ভুগে বেরিয়ে এসেছিল সেই সম্পর্ক থেকে। তাঁর ছিল

ইলা মিত্রকে শামসুর রাহমান প্রথম দেখেন কলকাতার এক অতিসাধারণ আটপৌরে ফ্ল্যাটে। রমেন মিত্র আর তিনি থাকতেন সেখানে। পাশেই থাকতেন লেখক, সাংবাদিক রণেশ দাশগুপ্ত—লেনিন স্কুলের এক কোণে ছোট্ট একটি ঘরে। সে ঘরটিকে দেখে...

সুভাষ দত্তের সুতরাংসহ বিভিন্ন ছায়াছবির নায়িকা মিষ্টি মেয়ে কবরী তখন ভালো লাগার তালিকার শীর্ষে। যাকে বলে রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার মতো ব্যাপার। আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে কবরী দর্শনে ঢাকা পর্যন্ত ছুটেছিলাম। কত কাণ্ড করেই না তখন ঢাকা আসতে হতো। আমিও বাস-ট্রেন-স্টিমার ইত্যাদি যানে চড়ে প্রায় দিন পার

পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই।পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই।

বয়স বাড়ে। কোনো মেয়ে আমাকে ভালোবাসে না। কেউ কেউ বরং আমাকে দেখে হাসাহাসি করত আর বলত, তুই কি মেয়ে নাকি রে! আমাকে দেখতে নাকি তখন মেয়ে মেয়ে লাগত! এতে আমার মেয়েভীতি আরও বেড়ে গেল। ছোট ক্লাসে থাকতেই একদিন এক মেয়ে বর-বউ খেলার প্রস্তাব দেওয়ায় আমি নাকি দৌড়ে পালিয়েছিলাম। তবে আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে এলাম, তখন একদ

পিয়ানো কিংবা হারমোনিয়াম পেলেই বাজাতে বসে যেতেন লাকী আখান্দ্। পাকিস্তানের এইচএমভিতে গেলে বয়স্ক গীতিকারেরা তাঁকে বসতে দিতেন না। বলতেন, ‘স্কুলের কবিতার বই থেকে শুরু করো।’ খুব মন খারাপ হতো লাকীর...

অন্য অনেক বিজ্ঞানীর মতোই সত্যেন বোস ছিলেন আত্মভোলা এক মানুষ। চেহারার মধ্যে ছিল উড়ু-উড়ু রোমান্টিকতা। তিনি তখন বসতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে পশ্চিম দিকের একটা ঘরে। দিন-দুনিয়া বলে কিছু যে আছে, সেটা বেশির ভাগ সময়ই তাঁর মনে থাকত না। থেকেছেন অঙ্কের নেশায়, আবিষ্কারের নেশায়।

নজরুলের ‘যুগবাণী’ নিষিদ্ধ হয়েছিল ১৯২২ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে এক শ বছর আগে। ১৯২৪ সালে নজরুলের আরও দুটি বই বাজেয়াপ্ত হয়—‘বিষের বাঁশী’ আর ‘ভাঙার গান’। ‘বিষের বাঁশী’র প্রকাশক ছিলেন স্বয়ং কবি।

স্বাধীনতা না থাকলে বেঁচে থাকা বড্ড কঠিন। সেটা রাষ্ট্রের জীবনে যেমন, মানবজীবনেও তেমনি। আর সেই স্বাধীনতাহীনতা যদি রবীন্দ্রনাথের জীবনে ঘটে, তাহলে সেটা কত বড় ব্যাপার হয়ে ওঠে, ভাবুন তো!

স্যামুয়েল বেকেটের ‘ওয়েটিং ফর গডো’ অনুবাদ করলেন কবীর চৌধুরী। এ রকম অ্যাবসার্ড নাটক অনুবাদ করা খুব কঠিন। কবীর চৌধুরী নাটকটি শোনানোর জন্য ডাকলেন আলী যাকের, ফেরদৌসী মজুমদার, রামেন্দু মজুমদার আর আতাউর রহমানকে। তাঁর বাড়িতেই নাটকটি পড়ে শোনালেন। তারপর তিনি বললেন, ‘আমি চাই, তোমরা দুই দল মিলে নাটকটি করো। যদিও

কাশ্মীরে মৌসুমের সেই জৌলুশ আর নেই। খড়কুটোর মতো করে মানুষকে যেখানে বিতস্তা তথা ঝিলমের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে কোনো কিছুই আর ঠিকমতো চলতে পারে না। ঠিকমতো বৃষ্টি নামে না। তুষারঝড় ও শিলাবৃষ্টির পিঠে ভর করে ধেয়ে আসে দানবেরা। নাজকির দিনকাল ভালো যায় না। হতাশা জেঁকে বসে তাঁর ভেতর। গুলরিজ শহরের পুরোনো প্র