লিওনেল মেসি

ফুটবলে কোচই সর্বেসর্বা। অধিনায়ক, একাদশ সাজানো থেকে শুরু করে মাঠের খেলা তাঁরই কৌশলে হয়। তাই দলের অধিনায়কও সাধারণত কোচের পছন্দেই হয়। এর বাইরে অধিনায়ক নির্বাচনে খেলোয়াড়ের বয়স, অভিজ্ঞতার সঙ্গে দলের মধ্যে কেমন জনপ্রিয়তা সেটাও বিবেচনা করা হয়।

দুর্দান্ত এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। হারতে বসা এক ম্যাচে জয় এনে দেওয়ার মূল নায়ক গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার হলেও নেপথ্যের নায়ক লিওনেল মেসি।

বিপক্ষ ফুটবলারদের লিওনেল মেসি জার্সি উপহার দিয়ে থাকেন প্রায়ই। ক্লাব ফুটবল, আন্তর্জাতিক ফুটবল-সব জায়গাতেই মেসি এমন কাজ করেন। এবার লিগস কাপে বিপক্ষ ফুটবলারকে জার্সি উপহার দিয়েছেন তিনি।

প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের পর এখন স্পেন নারী ফুটবল দলের জয়জয়কার। বিশ্বজয়ী নারীদের বেশ ঘটা করেই বরণ করা হয়েছে।

ইন্টার মায়ামিতে এসে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লিওনেল মেসি। ব্যস্ত সূচির কারণে নিশ্বাস ফেলারই যেন সময় পাচ্ছেন না তিনি। তবু এক ম্যাচও বিশ্রাম নেননি আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফুটবলার।

ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবের ফুটবলে যাওয়ার যেন হিড়িক চলছে এ বছরে। সৌদির কোনো এক ক্লাবের সঙ্গে প্রায়ই কোনো না কোনো ফুটবলারের চুক্তির কথা শোনা যায়। আবার কারও ক্ষেত্রে চলে গুঞ্জন। সেই গুঞ্জনের তালিকায় এবার আর্জেন্টিনার রদ্রিগো দি পল। 

২০২৩-এর ২০ আগস্ট তারিখটি জেনিফার হারমোসো চাইলে ক্যালেন্ডারে মার্ক করতে পারেন। কত ঘটনারই সাক্ষী তো তাঁকে হতে হয়েছে এই দিনে। যার মধ্যে একটা ঘটনায় লিওনেল মেসির সঙ্গে তাঁর মিল রয়েছে।

হোম ও অ্যাওয়ে ভেন্যুর কোনো পার্থক্য নেই তাঁর কাছে। পার্থক্য নেই দেশ ও দেশের বাইরের মাঠেরও। আয়তাকার একটা সবুজ মাঠ হলেই চলে তাঁর। তাতেই ফুটবল-শৈলী দেখাবেন তিনি। দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে গোল করবেন। সতীর্থদের দিয়েও করাবেন। এই হলেন লিওনেল মেসি!

বার্সেলোনার ২০২৩-২৪ মৌসুমের খেলা শুরু হয়ে গেছে। হেতাফের বিপক্ষে গত রোববার লা লিগায় মুখোমুখি হয় বার্সা। স্টেডিয়ামটি ছিল কলিসিয়াম আলফোনসো পেরেজ স্টেডিয়াম, যা বার্সার জন্য অ্যাওয়ে স্টেডিয়াম। আজ স্বাগতিক হিসেবে মৌসুমের প্রথম ম্যাচ খেলবে বার্সেলোনা। 

ইউরোপ ছেড়ে এবারই ভিন্ন মহাদেশে পাড়ি জমিয়েছেন লিওনেল মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে খেলে প্রথমবারই করেছেন বাজিমাত। মায়ামিকে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের আনন্দ এনে দিয়েছেন তিনি। 

‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’ গিওদিস পার্কে লিগস কাপের ফাইনালে ইন্টার মায়ামি-ন্যাশভিল এসসি লড়াইটা ছিল এমনই। মূল ম্যাচ ড্র হলে টাইব্রেকারে গড়িয়েছে। সেখানেও তারা খেলছিল হার না মানা মানসিকতা নিয়ে। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শেষ হাসি হেসেছে ইন্টার মায়ামি।

প্রশ্ন: মায়ামিতে আসার পর থেকে আপনাকে দেখছি। আপনার সব ম্যাচও দেখেছি। আপনাকে খুব হাসিখুশি ও প্রশান্ত দেখাচ্ছে। কেন ইন্টার মায়ামিকে বেছে নিলেন?  লিওনেল মেসি: সত্যি হলো, আমি এমনটাই খুঁজছিলাম। খেলাটাকে নিজে আরেকবার উপভোগ করতে, যা আমি পুরো ক্যারিয়ারে করেছি। এখানে আমাদের মুহূর্তগুলো খুব উপভোগ করছি। 

ক্লাব ক্যারিয়ারে এই নিয়ে তৃতীয় ক্লাবে খেলছেন লিওনেল মেসি। ইন্টার মায়ামির আগে তিনি খেলেছেন বার্সেলোনা ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) জার্সিতে। যেখানে পিএসজিতে তাঁর যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। 

ক্যারিয়ারে যা অপূর্ণতা ছিল সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপে তা পূর্ণ করেছেন লিওনেল মেসি। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়ে আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর তৃতীয় বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন তিনি। সঙ্গে নিজের ষোলোকলা পূর্ণ করেছেন ফুটবল জাদুকর। 

ইউরোপীয় ফুটবলে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার পর সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে নতুন যুগের সূচনা করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসি। রোনালদোর দেখানো পথেই অবশ্য ইউরোপীয় ফুটবল মাতানো আরও অনেক তারকা হেঁটেছেন। 

পিএসজির হয়ে গত মৌসুমে লিগ ওয়ান ও ফ্রেঞ্চ সুপার কাপ জিতেছেন লিওনেল মেসি। তবে প্যারিসিয়ানদের এনে দিতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত চ্যাম্পিয়নস লিগ। ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড পিএসজির স্বপ্নপূরণ করতে না পারলেও আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের দুঃখ ঘুচিয়েছেন। লা আলবিসেলেস্তেদের এনে দিয়েছেন বিশ্বকাপ। 

মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) লিওনেল মেসি যোগ দেওয়ার পর থেকেই লিগটির দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। বলা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়াঙ্গনেরই। আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে দেখার জন্য গাঁটের টাকা খরচ করতেও দ্বিধাবোধ করছে না দেশটির ক্রীড়াপ্রেমীরা।