আড্ডা

অশোক মিত্র দক্ষ প্রশাসক ছাড়াও খ্যাতি লাভ করেছিলেন বিশিষ্ট শিল্প সমালোচক হিসেবে। তাঁর জন্ম ১৯১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলির পাণ্ডুয়ার চাকলাই গ্রামে।

বিংশ শতাব্দীর মার্ক্সীয় ধারার অন্যতম কবি ছিলেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। তিনিই প্রথম কবি, যিনি বাংলা কবিতায় রাজনীতি চিন্তার প্রকাশ ঘটান।

দিলীপ কুমারকে বলা হয় ভারতের চলচ্চিত্র জগতের ধ্রুবতারা। তাঁর আসল নাম মুহাম্মদ ইউসুফ খান, জাতিতে পাঠান। তাঁর জন্ম ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পেশোয়ারে। বাবার সঙ্গে মতদ্বৈধতায় বাড়ি ছাড়েন দিলীপ কুমার। পরিচয় গোপন করে ক্যানটিন কন্ট্রাক্টরের কাজ করেন। পরে আর্মি ক্লাবে স্যান্ডউইচ বিক্রি করেছেন।

মোপাসাঁকে আধুনিক ছোটগল্পের জনক বলা হয়। তাঁর পুরো নাম হেনরি রেইনে আলবার্ট গি দ্য মোপাসাঁ। তাঁর জন্ম ১৮৫০ সালের ৫ আগস্ট ফ্রান্সের নরম্যান্ডি শহরে।

মোহাম্মদ ফরহাদ ছিলেন আপাদমস্তক বিপ্লবী একজন কমিউনিস্ট নেতা। তাঁর জন্ম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার জমাদারপাড়া গ্রামে, ১৯৩৮ সালের ৫ জুলাই।

ফজল-এ-খোদা ছিলেন কবি, গীতিকার, শিশুসাহিত্যিক ও শিশুসংগঠক। বেতার ও টেলিভিশনের একাধিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পক, লেখক ও নির্দেশক। শিশুসংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা এই কবি ‘মিতাভাই’ নামে খ্যাত ছিলেন। সত্তর দশকে শিশু-কিশোরদের মাসিক পত্রিকা ‘শাপলা শালুক’ তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হতো। পেশাগত জীবনে বাংলাদ

শিক্ষাবিদ, কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, গবেষক ও শিক্ষক ছিলেন আলাউদ্দিন আল আজাদ। প্রথম শহীদ মিনার ভাঙার প্রতিবাদে প্রথম কবিতা লিখেছিলেন তিনি। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

বিশ শতকের মার্কিন সাহিত্যে অন্যতম প্রভাববিস্তারকারী লেখক ছিলেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে। তাঁর জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরের ওক পার্কে ১৮৯৯ সালের ২১ জুলাই।

ওস্তাদ রশিদ খান ছিলেন ‘রামপুর-সাসওয়ান’ ঘরানার শিল্পী। তাঁর জন্ম ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই ভারতের উত্তর প্রদেশের বদায়ূঁ গ্রামে। ছোটবেলায় গানের চেয়ে ফুটবল ও ক্রিকেটের প্রতি দুর্বার আকর্ষণ ছিল

আহমদ ছফা ছিলেন প্রাবন্ধিক ও ঔপন্যাসিক। সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ এবং আদর্শনিষ্ঠ ও প্রগতিপন্থী একজন লেখক। তাঁর জন্ম ১৯৪৩ সালের ৩০ জুন চট্টগ্রামের চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া গ্রামে।

আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, বিচারপতি, উপাচার্য ও গণিত বিশেষজ্ঞ। বাংলার ‘বাঘ’খ্যাত শিক্ষাবিদ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ১৮৬৪ সালের ২৯ জুন কলকাতার ভবানীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৭৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।

চিত্রকলা, সাহিত্য, সংগীত ও অভিনয়—এই চার ক্ষেত্রে গোকুলচন্দ্র নাগের কম-বেশি চর্চা থাকলেও তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন ‘কল্লোল’ পত্রিকার জন্য।

জহুর হোসেন চৌধুরী ছিলেন সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ এবং সংবাদপত্র জগতের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব। তাঁর জন্ম ১৯২২ সালের ২৭ জুন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রামনগর গ্রামে।

গওহর জানকে বলা হয় ভারতীয় ধ্রুপদি সংগীতের সম্রাজ্ঞী। তিনিই উপমহাদেশে সংগীতে প্রথম নারী সুপার স্টার ছিলেন। জন্মসূত্রে তাঁর নাম ছিল এইলিন অ্যাঞ্জেলিনা ইয়ার্ড।

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় কবি ও ছড়াকার। একই সঙ্গে মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস, সংস্কৃতি, পৌরাণিক প্রভৃতি বিষয়ে তিনি ছিলেন পাণ্ডিত্যের অধিকারী।

আবদুল মতিন চৌধুরী ছিলেন পদার্থবিদ, শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। 

নবারুণ ভট্টাচার্য একাধারে ছিলেন কবি, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক। ১৯৪৮ সালের ২৩ জুন পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরে তাঁর জন্ম। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে পড়েছেন ভূতত্ত্ব নিয়ে। এরপর ভর্তি হন ইংরেজি বিভাগে।