চোট ও অসুস্থতার কারণে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা পূর্ণশক্তির দল গড়তে পারেনি। গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সারির বোলিং আক্রমণ নিয়েই শ্রীলঙ্কা মাঠে নেমেছিল বলা চলে। তবে স্বাগতিকদের অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণই ধসিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার।
ব্যাটাররা ভালো পুঁজি এনে দিতে না পারায়, বোলারদের চেষ্টাও বৃথা যায়। তাতে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটের হারে এশিয়া কাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল-লিটন দাস না থাকায় দায়িত্বটা বেড়ে গিয়েছিল দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার–সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ওপর। তাঁরাও বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না।
হারের পর তাই নিজের পাশপাশি দায়টা ব্যাটিং ব্যর্থতার ওপরই চাপলেন সাকিব। তিনি বললেন, ‘এই উইকেটে তিন শতাধিক রান অনায়াসে উঠতে পারে। কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। আড়াই শ রান করলেও ম্যাচে ফাইট দেওয়া যেত। আমরা আমাদের সেরা দুই ওপেনার তামিম ও লিটনকে এশিয়া কাপে পাইনি। তা ছাড়া আমাদের কেউ এই ম্যাচে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেনি।’
বাংলাদেশ অধিনায়কের এই মন্তব্য মোটেও ভালো লাগেনি রমিজ রাজার। পাকিস্তানের সাবেক এই ব্যাটারের মতে, সাকিবের এমন কথায় দলের মনোবল ভেঙে পড়ে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রমিজ বলেন, ‘আমার ভালো লাগেনি, যখন ম্যাচ পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে সাকিব বললেন যে, লিটন ও তামিম নেই। এটা বলা ঠিক নয়। কারণ এমন মন্তব্যের পর সাধারণত দল ভেঙে পড়ে। তারা মনে করে (খেলোয়াড়েরা), আমাদের ওপর ভরসা নেই, আমাদের দক্ষতার ওপর অধিনায়কের ভরসা নেই, আমাদের গোনায় ধরছেন না এবং তার চোখে আমরা ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় নই।’
রমিজ মনে করেন, সাকিবের উচিত খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থা ঠিক রাখা। হারের কারণ বের করা। তিনি বললেন, ‘আপনাকে কৌশলগত ও বিশ্লেষণগতভাবে এই হারের কারণ বের করতে হবে। দ্রুত এর সমাধান করতে হবে। কারণ বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আর আফগানিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেক ভালো ম্যাচ জিতেছে। বাংলাদেশে বাংলাদেশকে হারিয়েছে। তাই সাকিবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের মানসিকতা ভালো অবস্থায় রাখা এবং এই হার থেকে শেখা। কারণ এটা কঠিন উইকেট ছিল।’
বাংলাদেশের সমস্যা হলো সাকিব ছাড়া কোনো ভালো মানের অলরাউন্ডার নেই বললেন রমিজ, ‘সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য শ্রীলঙ্কায় কঠিন উইকেট থাকে। কারণ এখানে বল আটকে আসে, এখানে হাফ স্পিনারও পুরো স্পিনার হয়ে যায়। সাকিবের বলেও স্পিন হচ্ছিল। সাধারণত সে খুব বেশি বল স্পিন করে না। বাংলাদেশের জন্য আরেকটি সমস্যা হলো, তাদের কাছে দুই-একজন কোয়ালিটি অলরাউন্ডার নেই। সাকিব বাদে বাকি কোনো অলরাউন্ডার নেই।’
বাংলাদেশের টপ অর্ডাররা শুরু থেকেই মেরে খেলেননি; বরং উইকেট দিয়েছেন দ্রুত। তাই রমিজ বলেন, ‘দ্বিতীয়টা হলো, শ্রীলঙ্কার অপরিপক্ব বোলারদের চড়াও হওয়ার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছে। ২১ বছর বয়সী ওয়েললাগের থেকে ওভারে মাত্র ৪ এর ওপর রান নিয়েছে, এটাও এক ভুল ছিল। পাতিরানার কাছে ক্লাস, স্পিড আছে, স্লিংগি অ্যাকশনের কারণে কিছুটা মুশকিল বোলার। কিন্তু তিকশানাকে চড়াও হতে দিয়েছে। কোনো জায়গায় মনে হয়নি, পরিকল্পনা ছিল (বাংলাদেশর)।’
বাংলাদেশের পরিকল্পনা না থাকার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রমিজ, ‘পরিকল্পনা এই কারণে ছিল না, এসব বোলারদের ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনি। এমনকি আগ্রাসন দেখায়নি, জুটিও হয়নি। যখন উইকেট পড়তে থাকে, তখন জুটি গড়া জরুরি। ভারত বাদে এশিয়ান দলগুলোর বাবর আজমকে অনুসরণ করা উচিত।’
চোট ও অসুস্থতার কারণে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা পূর্ণশক্তির দল গড়তে পারেনি। গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সারির বোলিং আক্রমণ নিয়েই শ্রীলঙ্কা মাঠে নেমেছিল বলা চলে। তবে স্বাগতিকদের অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণই ধসিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার।
ব্যাটাররা ভালো পুঁজি এনে দিতে না পারায়, বোলারদের চেষ্টাও বৃথা যায়। তাতে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটের হারে এশিয়া কাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল-লিটন দাস না থাকায় দায়িত্বটা বেড়ে গিয়েছিল দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার–সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ওপর। তাঁরাও বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না।
হারের পর তাই নিজের পাশপাশি দায়টা ব্যাটিং ব্যর্থতার ওপরই চাপলেন সাকিব। তিনি বললেন, ‘এই উইকেটে তিন শতাধিক রান অনায়াসে উঠতে পারে। কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। আড়াই শ রান করলেও ম্যাচে ফাইট দেওয়া যেত। আমরা আমাদের সেরা দুই ওপেনার তামিম ও লিটনকে এশিয়া কাপে পাইনি। তা ছাড়া আমাদের কেউ এই ম্যাচে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেনি।’
বাংলাদেশ অধিনায়কের এই মন্তব্য মোটেও ভালো লাগেনি রমিজ রাজার। পাকিস্তানের সাবেক এই ব্যাটারের মতে, সাকিবের এমন কথায় দলের মনোবল ভেঙে পড়ে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রমিজ বলেন, ‘আমার ভালো লাগেনি, যখন ম্যাচ পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে সাকিব বললেন যে, লিটন ও তামিম নেই। এটা বলা ঠিক নয়। কারণ এমন মন্তব্যের পর সাধারণত দল ভেঙে পড়ে। তারা মনে করে (খেলোয়াড়েরা), আমাদের ওপর ভরসা নেই, আমাদের দক্ষতার ওপর অধিনায়কের ভরসা নেই, আমাদের গোনায় ধরছেন না এবং তার চোখে আমরা ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় নই।’
রমিজ মনে করেন, সাকিবের উচিত খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থা ঠিক রাখা। হারের কারণ বের করা। তিনি বললেন, ‘আপনাকে কৌশলগত ও বিশ্লেষণগতভাবে এই হারের কারণ বের করতে হবে। দ্রুত এর সমাধান করতে হবে। কারণ বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আর আফগানিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেক ভালো ম্যাচ জিতেছে। বাংলাদেশে বাংলাদেশকে হারিয়েছে। তাই সাকিবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের মানসিকতা ভালো অবস্থায় রাখা এবং এই হার থেকে শেখা। কারণ এটা কঠিন উইকেট ছিল।’
বাংলাদেশের সমস্যা হলো সাকিব ছাড়া কোনো ভালো মানের অলরাউন্ডার নেই বললেন রমিজ, ‘সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য শ্রীলঙ্কায় কঠিন উইকেট থাকে। কারণ এখানে বল আটকে আসে, এখানে হাফ স্পিনারও পুরো স্পিনার হয়ে যায়। সাকিবের বলেও স্পিন হচ্ছিল। সাধারণত সে খুব বেশি বল স্পিন করে না। বাংলাদেশের জন্য আরেকটি সমস্যা হলো, তাদের কাছে দুই-একজন কোয়ালিটি অলরাউন্ডার নেই। সাকিব বাদে বাকি কোনো অলরাউন্ডার নেই।’
বাংলাদেশের টপ অর্ডাররা শুরু থেকেই মেরে খেলেননি; বরং উইকেট দিয়েছেন দ্রুত। তাই রমিজ বলেন, ‘দ্বিতীয়টা হলো, শ্রীলঙ্কার অপরিপক্ব বোলারদের চড়াও হওয়ার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছে। ২১ বছর বয়সী ওয়েললাগের থেকে ওভারে মাত্র ৪ এর ওপর রান নিয়েছে, এটাও এক ভুল ছিল। পাতিরানার কাছে ক্লাস, স্পিড আছে, স্লিংগি অ্যাকশনের কারণে কিছুটা মুশকিল বোলার। কিন্তু তিকশানাকে চড়াও হতে দিয়েছে। কোনো জায়গায় মনে হয়নি, পরিকল্পনা ছিল (বাংলাদেশর)।’
বাংলাদেশের পরিকল্পনা না থাকার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রমিজ, ‘পরিকল্পনা এই কারণে ছিল না, এসব বোলারদের ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনি। এমনকি আগ্রাসন দেখায়নি, জুটিও হয়নি। যখন উইকেট পড়তে থাকে, তখন জুটি গড়া জরুরি। ভারত বাদে এশিয়ান দলগুলোর বাবর আজমকে অনুসরণ করা উচিত।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে ছুটছেন বেশ ভালোভাবেই। গতকাল ভারতের বিরাট কোহলিকে টপকে তালিকার পাঁচে উঠে এসেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় স্টেডিয়ামের দুটি গ্যালারি অলিখিতভাবে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নামে ভাগ করা। মোহামেডান-ভক্তরা অবশ্য দীর্ঘশ্বাস ফেলতে পারেন। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ আবাহনীর জায়গায় দেখা যেতে পারত তাদেরও। ২৩ বছর পর লিগ জেতার গৌরব কিছুটা হলেও ফিকে হয়ে গেছে এএফসির লাইসেন্স না থাকায়।
১২ আগস্ট ২০২৫নতুন মৌসুম সামনে রেখে ব্রাজিলিয়ান কোচ সের্গিও ফারিয়াস নিয়োগ দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। আগামীকাল কাতারের দোহায় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রাথমিক পর্বে সিরিয়ার ক্লাব আল কারামাহর মুখোমুখি হবে তারা। কাতারে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ফারিয়াসের। উল্টো ইরাকের ক্লাব দুহোকের স্পোর্টসের কোচ হয়েছেন তিনি।
১১ আগস্ট ২০২৫২০২৬ বিশ্বকাপের স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করেছে ফিফা। আগ্রহী ব্যক্তিরা আজ শুরু করে দিতে পারেন আবেদনপ্রক্রিয়া।
১১ আগস্ট ২০২৫