অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং তো নতুন কিছু নয়। টেস্টে যেখানে ব্যাটারদের ধৈর্য, স্কিলের ‘টেস্ট’ হওয়ার কথা, সেখানে বাংলাদেশ ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই টপাটপ উইকেট হারাতে শুরু করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে এখন লড়ে যাচ্ছেন মুমিনুল হক।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের যা সর্বনাশ হওয়ার হয়েছিল দ্বিতীয় দিন বিকেলেই। প্রথম ইনিংসে ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিলেন শান্তরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে তো ধৈর্যের পরীক্ষা দিতেই ব্যর্থ বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে ১৩৭ রান করে তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গেল স্বাগতিকেরা। মুমিনুল ৭৪ রান করে অপরাজিত আছেন।
তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর পর চতুর্থ ওভারেই ধস নামতে থাকে বাংলাদেশের ইনিংসে। স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসের ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে শান্তকে ফিরিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক ক্যাচ তুলে দিলেন অধিনায়ক কাইল ভেরেইনের হাতে। ১৭ বলে ২ চারে ৯ রান করে আউট হয়েছেন শান্ত।
অধিনায়ক শান্তর পর একে একে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৪ উইকেটে ৪৬ রান থেকে মুহূর্তেই বাংলাদেশ পরিণত হয় ৮ উইকেটে ৪৮ রানে। মুশফিক, অঙ্কন দুজনেই ডাক মেরেছেন। মিরাজ আউট হয়েছেন ১ রান করে; যার মধ্যে মিরাজ, অঙ্কন দুই ব্যাটারকে একই ওভারে (১৫তম ওভারে) ফিরিয়েছেন রাবাদা। টেস্টে অভিষিক্ত অঙ্কন উইকেটরক্ষক হিসেবে যেমন ব্যর্থ, ব্যাটিংয়েও সেই ছাপ দেখা গেছে।
অঙ্কনকে ফিরিয়েই টেস্ট ইনিংসে ১৬ বার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন রাবাদা। ১৪.৫ ওভারে ৮ উইকেটে ৪৮ রানে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের সামনে তখন ১০০-এর আগে অলআউট হওয়া সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। এক প্রান্ত আগলে রেখে মুমিনুল খেললেও বাকি দুই ব্যাটার তাইজুল ইসলাম, নাহিদ রানাকে নিয়ে কতক্ষণই বা টিকবে বাংলাদেশ—এমন আশঙ্কা কাজ করছিল। এই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েই প্রতিরোধ গড়ার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিলেন মুমিনুল ও তাইজুল। নবম উইকেট জুটিতে মুমিনুল-তাইজুল ৮৯ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে ফেলেন। এই জুটি গড়তে ১৩৯ বল খেলেছেন তাঁরা। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি করতে মুমিনুলের আরও ২৬ রান করতে হবে। তাইজুল ৬৭ বল খেলে ১৮ রানে অপরাজিত।
মুমিনুল-তাইজুলের জুটি বাংলাদেশকে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকেই রক্ষা করেছে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সর্বনিম্ন ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল। এ ঘটনা ঘটেছিল দুবার। প্রথমবার ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। দ্বিতীয়টি ১৯ পর বছর মিরপুর শেরেবাংলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে।
টেস্টে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন পাঁচ ইনিংস
স্কোর প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
৮৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঢাকা ২০০২
৮৭ পাকিস্তান মিরপুর ২০২১
৯১ ওয়েস্ট ইন্ডিজ অ্যান্টিগা ২০০০
১০২ ওয়েস্ট ইন্ডিজ অ্যান্টিগা ২০২২
১০৬ ওয়েস্ট ইন্ডিজ অ্যান্টিগা ২০০৫
বাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং তো নতুন কিছু নয়। টেস্টে যেখানে ব্যাটারদের ধৈর্য, স্কিলের ‘টেস্ট’ হওয়ার কথা, সেখানে বাংলাদেশ ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই টপাটপ উইকেট হারাতে শুরু করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে এখন লড়ে যাচ্ছেন মুমিনুল হক।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের যা সর্বনাশ হওয়ার হয়েছিল দ্বিতীয় দিন বিকেলেই। প্রথম ইনিংসে ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিলেন শান্তরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে তো ধৈর্যের পরীক্ষা দিতেই ব্যর্থ বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে ১৩৭ রান করে তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গেল স্বাগতিকেরা। মুমিনুল ৭৪ রান করে অপরাজিত আছেন।
তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর পর চতুর্থ ওভারেই ধস নামতে থাকে বাংলাদেশের ইনিংসে। স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসের ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে শান্তকে ফিরিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক ক্যাচ তুলে দিলেন অধিনায়ক কাইল ভেরেইনের হাতে। ১৭ বলে ২ চারে ৯ রান করে আউট হয়েছেন শান্ত।
অধিনায়ক শান্তর পর একে একে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৪ উইকেটে ৪৬ রান থেকে মুহূর্তেই বাংলাদেশ পরিণত হয় ৮ উইকেটে ৪৮ রানে। মুশফিক, অঙ্কন দুজনেই ডাক মেরেছেন। মিরাজ আউট হয়েছেন ১ রান করে; যার মধ্যে মিরাজ, অঙ্কন দুই ব্যাটারকে একই ওভারে (১৫তম ওভারে) ফিরিয়েছেন রাবাদা। টেস্টে অভিষিক্ত অঙ্কন উইকেটরক্ষক হিসেবে যেমন ব্যর্থ, ব্যাটিংয়েও সেই ছাপ দেখা গেছে।
অঙ্কনকে ফিরিয়েই টেস্ট ইনিংসে ১৬ বার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন রাবাদা। ১৪.৫ ওভারে ৮ উইকেটে ৪৮ রানে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের সামনে তখন ১০০-এর আগে অলআউট হওয়া সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। এক প্রান্ত আগলে রেখে মুমিনুল খেললেও বাকি দুই ব্যাটার তাইজুল ইসলাম, নাহিদ রানাকে নিয়ে কতক্ষণই বা টিকবে বাংলাদেশ—এমন আশঙ্কা কাজ করছিল। এই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েই প্রতিরোধ গড়ার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিলেন মুমিনুল ও তাইজুল। নবম উইকেট জুটিতে মুমিনুল-তাইজুল ৮৯ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে ফেলেন। এই জুটি গড়তে ১৩৯ বল খেলেছেন তাঁরা। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি করতে মুমিনুলের আরও ২৬ রান করতে হবে। তাইজুল ৬৭ বল খেলে ১৮ রানে অপরাজিত।
মুমিনুল-তাইজুলের জুটি বাংলাদেশকে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকেই রক্ষা করেছে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সর্বনিম্ন ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল। এ ঘটনা ঘটেছিল দুবার। প্রথমবার ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। দ্বিতীয়টি ১৯ পর বছর মিরপুর শেরেবাংলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে।
টেস্টে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন পাঁচ ইনিংস
স্কোর প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
৮৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঢাকা ২০০২
৮৭ পাকিস্তান মিরপুর ২০২১
৯১ ওয়েস্ট ইন্ডিজ অ্যান্টিগা ২০০০
১০২ ওয়েস্ট ইন্ডিজ অ্যান্টিগা ২০২২
১০৬ ওয়েস্ট ইন্ডিজ অ্যান্টিগা ২০০৫
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে ছুটছেন বেশ ভালোভাবেই। গতকাল ভারতের বিরাট কোহলিকে টপকে তালিকার পাঁচে উঠে এসেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
২২ দিন আগেজাতীয় স্টেডিয়ামের দুটি গ্যালারি অলিখিতভাবে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নামে ভাগ করা। মোহামেডান-ভক্তরা অবশ্য দীর্ঘশ্বাস ফেলতে পারেন। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ আবাহনীর জায়গায় দেখা যেতে পারত তাদেরও। ২৩ বছর পর লিগ জেতার গৌরব কিছুটা হলেও ফিকে হয়ে গেছে এএফসির লাইসেন্স না থাকায়।
২২ দিন আগেনতুন মৌসুম সামনে রেখে ব্রাজিলিয়ান কোচ সের্গিও ফারিয়াস নিয়োগ দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। আগামীকাল কাতারের দোহায় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রাথমিক পর্বে সিরিয়ার ক্লাব আল কারামাহর মুখোমুখি হবে তারা। কাতারে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ফারিয়াসের। উল্টো ইরাকের ক্লাব দুহোকের স্পোর্টসের কোচ হয়েছেন তিনি।
২২ দিন আগে২০২৬ বিশ্বকাপের স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করেছে ফিফা। আগ্রহী ব্যক্তিরা আজ শুরু করে দিতে পারেন আবেদনপ্রক্রিয়া।
২২ দিন আগে