নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: যেভাবে খেলছিলেন, সেঞ্চুরিটা মুশফিকুর রহিমের দৃষ্টিসীমাতেই ছিল। আর কিছুটা সময় উইকেটে থাকলেই চলত। ধৈর্যের প্রতীক হয়ে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুহূর্তেই কিনা সেটি হারিয়ে ফেললেন! রিভার্স সুইপটা ক্রিকেটের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শটের একটি হলেও এটি মুশির ‘প্রিয়’ শট। প্রিয় শট খেলার লোভে পড়ে হাতছাড়া করে এলেন সেঞ্চুরিটা।
পরশু প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিক যখন সান্দাকানের বলে ৮৪ রান করে ফিরছেন, তখনো দলীয় ইনিংসের বাকি ৪১ বল। বহু আরাধ্যের সেঞ্চুরিটা হলো না, শেষদিকে দলের স্কোর বাড়িয়ে দেওয়া ‘মুশফিক ঝড়’ও নামল না মিরপুরে। তাই তো ফেরার সময় আফসোসই ধরা পড়ছিল মুশফিকের চোখেমুখে।
মুশফিক আউট হওয়ার পর স্কোরবোর্ডে ৪১ বলে ৫০ রানও (৪৯) তুলতে পারেননি বাকি ব্যাটসম্যানরা। তিনি শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকলে হয়তো গল্পটা আরও আনন্দদায়ী হতো। মুশফিকের সেঞ্চুরিটা যেমন আসত, তেমনি দলও হয়তো পেত আরও বড় স্কোর। যদিও–বা দিন শেষে তামিমরা ৩৩ রানে জয় পাওয়ায় বড় স্কোর না হওয়ার সেই হতাশা তেমন একটা অনুভূত হচ্ছে না।
একা মুশফিক নন, অনেক দিন হলো বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই ওয়ানডেতে তিন অঙ্কের পরশ পাচ্ছেন না। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন তামিম ও লিটন দাস। তা–ও ১৪ মাস আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে। এই সময়ে ১০ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সেঞ্চুরি করেছেন ৪টি। সবগুলোই এসেছে দুই ওপেনার তামিম ও লিটনের ব্যাট থেকে। আবার সব সেঞ্চুরিই জিম্বাবুয়ের দুর্বল বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে!
তামিম–মুশফিকেরা এভাবে বারবার সেঞ্চুরি ফেলে আসার সময় হয়তো নিজেরাই দগ্ধ হন বেশি। খেলায় যাঁরা চোখ রাখেন, সেই দর্শকদেরও কি কম মন খারাপ হয়?
সবার মনের সেই ‘গোপন’ কথাটিই যেন বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। মুশফিকদের ‘আত্মাহুতি’তে হতাশ পাপন পরশু বাংলাদেশের ইনিংস শেষে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ওই সময় (সেঞ্চুরির কাছাকাছি) একটা প্লেয়ারের কি মনে হয়–ও জানে, কিন্তু আমার খারাপ লাগছে।’
এরপরেই ক্ষোভের খই ফুটল যেন বিসিবি সভাপতির গলায়। অবশ্য তাতে ক্ষোভের চেয়ে কষ্টই মিশে থাকল বেশি, ‘সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না এখন। আমি মনে করি, তামিম এ কোভিড পরিস্থিতিতেই কয়েকটা সেঞ্চুরি করতে পারত!’
ওয়ানডেতে ৮০–৯০ রান নিশ্চয় সমীহ করার মতোই ইনিংস। কিন্তু সেটিই হতাশা হয়ে ধরা দেয় যখন দেখা যায়, আশা জাগিয়েও সেটা ছুড়ে ফেরেন ব্যাটসম্যানরা। ওয়ানডেতে এ পর্যন্ত ৫২ বার ৮০–৯৯–এর ঘরে থেকেই সাকিব–মুশফিকদের ছাড়তে হয়েছে মাঠ।
বিসিবিপ্রধান সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের সেঞ্চুরি হাতছাড়ার সমালোচনা করলেও মুশফিক মনে করেন, নিজের খেলাটাই তিনি খেলেছেন। ম্যাচ শেষে তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থন করা মন্তব্যটি এমন, ‘আমি পোলার্ড-রাসেল নই। তাই নিজের শক্তি অনুযায়ী খেলি। আমাদের উইকেটে একটা প্রান্ত ধরে রাখতে হয়, একই সঙ্গে রানও তুলতে হয়। তাই আমি ঝুঁকিপূর্ণ শট কম খেলার চেষ্টা করি।’
পোলার্ড–রাসেল না হয়েও যে ১০০ ছুঁইছুঁই (৯৬.৫৫) স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করার সামর্থ্য রাখেন সেটি তো মুশফিক নিজেই দেখালেন পরশু। ধৈর্যের পরীক্ষায় পাস করে ধারাবাহিক তিন অঙ্ক ছুঁতে পারলেই হয়।
ঢাকা: যেভাবে খেলছিলেন, সেঞ্চুরিটা মুশফিকুর রহিমের দৃষ্টিসীমাতেই ছিল। আর কিছুটা সময় উইকেটে থাকলেই চলত। ধৈর্যের প্রতীক হয়ে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুহূর্তেই কিনা সেটি হারিয়ে ফেললেন! রিভার্স সুইপটা ক্রিকেটের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শটের একটি হলেও এটি মুশির ‘প্রিয়’ শট। প্রিয় শট খেলার লোভে পড়ে হাতছাড়া করে এলেন সেঞ্চুরিটা।
পরশু প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিক যখন সান্দাকানের বলে ৮৪ রান করে ফিরছেন, তখনো দলীয় ইনিংসের বাকি ৪১ বল। বহু আরাধ্যের সেঞ্চুরিটা হলো না, শেষদিকে দলের স্কোর বাড়িয়ে দেওয়া ‘মুশফিক ঝড়’ও নামল না মিরপুরে। তাই তো ফেরার সময় আফসোসই ধরা পড়ছিল মুশফিকের চোখেমুখে।
মুশফিক আউট হওয়ার পর স্কোরবোর্ডে ৪১ বলে ৫০ রানও (৪৯) তুলতে পারেননি বাকি ব্যাটসম্যানরা। তিনি শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকলে হয়তো গল্পটা আরও আনন্দদায়ী হতো। মুশফিকের সেঞ্চুরিটা যেমন আসত, তেমনি দলও হয়তো পেত আরও বড় স্কোর। যদিও–বা দিন শেষে তামিমরা ৩৩ রানে জয় পাওয়ায় বড় স্কোর না হওয়ার সেই হতাশা তেমন একটা অনুভূত হচ্ছে না।
একা মুশফিক নন, অনেক দিন হলো বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই ওয়ানডেতে তিন অঙ্কের পরশ পাচ্ছেন না। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন তামিম ও লিটন দাস। তা–ও ১৪ মাস আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে। এই সময়ে ১০ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সেঞ্চুরি করেছেন ৪টি। সবগুলোই এসেছে দুই ওপেনার তামিম ও লিটনের ব্যাট থেকে। আবার সব সেঞ্চুরিই জিম্বাবুয়ের দুর্বল বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে!
তামিম–মুশফিকেরা এভাবে বারবার সেঞ্চুরি ফেলে আসার সময় হয়তো নিজেরাই দগ্ধ হন বেশি। খেলায় যাঁরা চোখ রাখেন, সেই দর্শকদেরও কি কম মন খারাপ হয়?
সবার মনের সেই ‘গোপন’ কথাটিই যেন বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। মুশফিকদের ‘আত্মাহুতি’তে হতাশ পাপন পরশু বাংলাদেশের ইনিংস শেষে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ওই সময় (সেঞ্চুরির কাছাকাছি) একটা প্লেয়ারের কি মনে হয়–ও জানে, কিন্তু আমার খারাপ লাগছে।’
এরপরেই ক্ষোভের খই ফুটল যেন বিসিবি সভাপতির গলায়। অবশ্য তাতে ক্ষোভের চেয়ে কষ্টই মিশে থাকল বেশি, ‘সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না এখন। আমি মনে করি, তামিম এ কোভিড পরিস্থিতিতেই কয়েকটা সেঞ্চুরি করতে পারত!’
ওয়ানডেতে ৮০–৯০ রান নিশ্চয় সমীহ করার মতোই ইনিংস। কিন্তু সেটিই হতাশা হয়ে ধরা দেয় যখন দেখা যায়, আশা জাগিয়েও সেটা ছুড়ে ফেরেন ব্যাটসম্যানরা। ওয়ানডেতে এ পর্যন্ত ৫২ বার ৮০–৯৯–এর ঘরে থেকেই সাকিব–মুশফিকদের ছাড়তে হয়েছে মাঠ।
বিসিবিপ্রধান সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের সেঞ্চুরি হাতছাড়ার সমালোচনা করলেও মুশফিক মনে করেন, নিজের খেলাটাই তিনি খেলেছেন। ম্যাচ শেষে তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থন করা মন্তব্যটি এমন, ‘আমি পোলার্ড-রাসেল নই। তাই নিজের শক্তি অনুযায়ী খেলি। আমাদের উইকেটে একটা প্রান্ত ধরে রাখতে হয়, একই সঙ্গে রানও তুলতে হয়। তাই আমি ঝুঁকিপূর্ণ শট কম খেলার চেষ্টা করি।’
পোলার্ড–রাসেল না হয়েও যে ১০০ ছুঁইছুঁই (৯৬.৫৫) স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করার সামর্থ্য রাখেন সেটি তো মুশফিক নিজেই দেখালেন পরশু। ধৈর্যের পরীক্ষায় পাস করে ধারাবাহিক তিন অঙ্ক ছুঁতে পারলেই হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে ছুটছেন বেশ ভালোভাবেই। গতকাল ভারতের বিরাট কোহলিকে টপকে তালিকার পাঁচে উঠে এসেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় স্টেডিয়ামের দুটি গ্যালারি অলিখিতভাবে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নামে ভাগ করা। মোহামেডান-ভক্তরা অবশ্য দীর্ঘশ্বাস ফেলতে পারেন। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ আবাহনীর জায়গায় দেখা যেতে পারত তাদেরও। ২৩ বছর পর লিগ জেতার গৌরব কিছুটা হলেও ফিকে হয়ে গেছে এএফসির লাইসেন্স না থাকায়।
১২ আগস্ট ২০২৫নতুন মৌসুম সামনে রেখে ব্রাজিলিয়ান কোচ সের্গিও ফারিয়াস নিয়োগ দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। আগামীকাল কাতারের দোহায় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রাথমিক পর্বে সিরিয়ার ক্লাব আল কারামাহর মুখোমুখি হবে তারা। কাতারে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ফারিয়াসের। উল্টো ইরাকের ক্লাব দুহোকের স্পোর্টসের কোচ হয়েছেন তিনি।
১১ আগস্ট ২০২৫২০২৬ বিশ্বকাপের স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করেছে ফিফা। আগ্রহী ব্যক্তিরা আজ শুরু করে দিতে পারেন আবেদনপ্রক্রিয়া।
১১ আগস্ট ২০২৫