Ajker Patrika

বয়সে একটু পিছিয়ে থাকলেও অনভিজ্ঞ নয় বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বয়সে একটু পিছিয়ে থাকলেও অনভিজ্ঞ নয় বাংলাদেশ

এশিয়া কাপ মর্যাদাপূর্ণ এক টুর্নামেন্ট হলেও এবার বিশ্বকাপের আগে এশিয়ার দলগুলোর কাছে এটি হয়ে দাঁড়িয়েছে মহড়ার বড় মঞ্চও। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা বাদে টুর্নামেন্টের বাকি চারটি ক্রিকেট বোর্ড এরই মধ্যে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ গত ছয়-সাত বছরে বেশির ভাগ সময়ই এগিয়ে থেকেছে। এবার এশিয়া কাপে অবশ্য এখানে একটু পিছিয়েই থাকছে।

এশিয়া কাপে ভারতের খেলোয়াড়েরা বয়স কিংবা ম্যাচের অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে এগিয়ে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের গড় বয়স ২৯.২ বছর। ভারতীয় দল থাকা খেলোয়াড়দের সম্মিলিত ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যা ১৩১৩, গড়ে ৭৭.২৩টি ম্যাচ খেলেছেন তাদের ক্রিকেটাররা। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন বিরাট কোহলি—২৭৫। অধিনায়ক রোহিত শর্মা খেলেছেন ২৪৪ ম্যাচ। ১৭ জনের দলে সাত ক্রিকেটার পেরিয়েছেন ৩০ বছর। সর্বকনিষ্ঠ ২১ বছর বয়সী তিলক ভার্মা, যিনি এখনো ওয়ানডে অভিষেকের অপেক্ষায়। 

বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের গড় বয়স ২৬.৩ বছর। এশিয়া কাপের বাংলাদেশ দলে থাকা খেলোয়াড়দের সম্মিলিত ম্যাচের সংখ্যা ৮৯১। ক্রিকেটাররা গড় খেলেছেন ৫২.৪১ ম্যাচ। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে এগিয়ে সাকিব আল হাসান (৩৬ বছর ১৪১ দিন) ম্যাচের সংখ্যায় আবার মুশফিক এগিয়ে। এখন পর্যন্ত ২৫১ ওয়ানডে খেলেছেন এই ব্যাটার। সাকিব খেলেছেন ২৩৫ ওয়ানডে।
পাকিস্তান দলের বয়সের গড় ২৬.৯ বছর। বাবররা খেলেছেন গড়ে ৩১.১১ ম্যাচ। আফগানিস্তান এখনো দল ঘোষণা না করলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজের দল নিয়েই এশিয়া কাপ খেলতে পারে তারা। তাদের ১৬ জনের দলের বয়সের গড় ২৪.৫ বছর। এবার এশিয়া কাপে সবচেয়ে অনভিজ্ঞ ও তরুণ দল হচ্ছে নেপাল। প্রথমবার এশিয়া কাপ খেলতে আসা নেপাল দলের ক্রিকেটারদের গড় বয়স ২৩ বছর।

 এশিয়া কাপে এবার বাংলাদেশ দলে আগের তুলনায় তারুণ্য প্রাধান্য পেয়েছে। তামিম ইকবাল আর মাহমুদউল্লাহ থাকলে বয়স ও অভিজ্ঞতায় ভারতকেও ছাড়িয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। গত বছর এশিয়া কাপে খেলা ১৭ জনের দলের ৯ ক্রিকেটার আছেন এবারের বাংলাদেশ দলে। ছয়জনেরই হতে যাচ্ছে প্রথম এশিয়া কাপ। যাঁদের পাঁচজন আবার ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী। নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস সর্বশেষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে না থাকলেও ২০১৮ এশিয়া কাপে খেলেছিলেন তাঁরা। 

এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে তানজিদ হাসান তামিম, শামীম হোসেন এবং ইবাদত হোসেনের জায়গায় সুযোগ পাওয়া তানজিম হাসান সাকিব ওয়ানডে অভিষেকের অপেক্ষায়। ৪ জন ক্রিকেটার আছেন যাঁদের ওয়ানডে ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা ১০ ম্যাচেরও কম। অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন আর গত ৬-৭ মাস যাঁরা খেলছেন, এমন ৯ ক্রিকেটারের ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতার যোগফল ৫৩।

গতকাল নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা ছোটখাটো পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুনেরা জায়গা করে নিচ্ছে। বাংলাদেশ ভিন্ন ধরনের ক্রিকেট খেলছে। যারা এই ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারছে, তারা আসছে দলে। পারফরমার 
বাড়ছে। তরুণ খেলোয়াড়ের সংখ্যা তাই একটু বেশি মনে হচ্ছে। এটার পেছনে বড় কোনো কারণ নেই। শুধু সময়। এ সময়ে তারা আসছে।’ 

তবে দলকে একেবারে তারুণ্যনির্ভর বলতে চান না হাবিবুল, ‘চোটে পড়ে তামিম ইকবাল নেই। ও থাকলে ওখানে অভিজ্ঞতা অনেক বেশি হয়ে যেত। ১ থেকে ৬ পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে তাওহীদ হৃদয় শুধু নতুন। বাকিরা কিন্তু অভিজ্ঞ। পেসারদের মধ্যে বেশির ভাগ পুরোনো খেলোয়াড়। মূল দলে (একাদশ কিংবা ১৫ জনের দলে) অভিজ্ঞরাই বেশি থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত