তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
যমুনা নদীর ৩০০ ফিট উজানে ট্রেন চলাচলের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে মূল সেতুর পিয়ারের পাইলিং কাজ চলছে। করোনা সংক্রমণের কারণে প্রকল্পের কাজে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিদিনই প্রকল্পের কেউ না কেউ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রকল্পের সার্বিক কাজেই প্রভাব পড়ছে। তার পরেও সংশ্লিষ্টরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে একই সঙ্গে গাড়ি ও ট্রেন চলাচল করে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুর ওপর ট্রেন চলতে গতি নির্দেশনাসহ কিছু বিধিনিষেধের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রেলওয়ে বিদ্যমান চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। ফলে চার দশমিক ৮০ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন রেলের জন্য আলাদা এই সেতু নির্মাণ হচ্ছে।
সেতুর অগ্রগতি বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেতুর পিয়ারের পাইলিং কাজ চলছে। এর পরে কংক্রিটের কাজ হবে। তার ওপরে পিয়ার উঠবে। সেতুর পূর্ব পাশে তিনটা পাইলের কাজ শেষ হয়েছে। আরও তিনিটার কাজ চলছে। পশ্চিম পাশে প্রথম পিয়ারের পাইলিং কাজও শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৩০ ভাগ। সেতুতে পিয়ার থাকবে ৪৯টা এবং স্প্যান বসবে ৪৯ টা। দেশের বাইরে থেকে যে সব মালামাল আসার কথা তার কিছু এসেছে। বাকিগুলো কয়েক ধাপে আসবে।
সার্বিক কাজের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'করোনার কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কারণ প্রতিদিনই কিছু না কিছু লোকজন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। যে করোনা আক্রান্ত হন তাঁকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে তাঁর আশপাশে যারা কাজ করতেন তাদেরও কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হয়। তখন ওই অংশের কাজটা দেরি হয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ে হয় না। এর বাইরে প্রকল্পের সার্বিক কাজ চলমান আছে।'
সেতুর দুই পাড়ের সংযোগ অংশের কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এই অংশের প্রাথমিক কাজ চলছে। সেতুর দুই পাড়ে এলাইনমেন্ট করার কাজ হচ্ছে। আরও দুই তিন মাস পরে মূল কাজটা শুরু হবে।'
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এই রেলসেতুর উভয় পাশে ০.০৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ৭ দশমিক ৬৭৭ কিলোমিটার রেলওয়ে এপ্রোস এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ লাইনসহ মোট ৩০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ হবে। তা ছাড়া বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এবং পশ্চিম এর নতুন স্টেশন ভবন ইয়ার্ড রিমডেলিং। রেলওয়ে ব্রিজ মিউজিয়াম ও নির্মাণ করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়। নদী শাসন কাজের মেরামতও করা হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই রেলসেতু নির্মাণ হলে স্বল্প সময়ে অপেক্ষাকৃত অধিক সংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করা যাবে। বর্তমানে ৩৮টি ট্রেন এর স্থলে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এই প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। করোনায় প্রকল্পের কাজে প্রভাব পড়ছে কিনা জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'করোনার কারণে কাজে কিছুটাতো প্রভাব পড়ছেই। প্রকল্পে জাপানি অনেক কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। জাপানি যারা কাজ করেন তাঁরা একটু বয়স্ক ফলে ভয়ও পাচ্ছেন তাঁরা। তবে তাদের সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ যা এগিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট।'
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু বাস্তবায়নের কাজ করছে জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে। যার মধ্যে জিওবি ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা এবং জাইকা দিচ্ছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। সেতুর নির্মাণকাজ ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
যমুনা নদীর ৩০০ ফিট উজানে ট্রেন চলাচলের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে মূল সেতুর পিয়ারের পাইলিং কাজ চলছে। করোনা সংক্রমণের কারণে প্রকল্পের কাজে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিদিনই প্রকল্পের কেউ না কেউ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রকল্পের সার্বিক কাজেই প্রভাব পড়ছে। তার পরেও সংশ্লিষ্টরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে একই সঙ্গে গাড়ি ও ট্রেন চলাচল করে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুর ওপর ট্রেন চলতে গতি নির্দেশনাসহ কিছু বিধিনিষেধের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রেলওয়ে বিদ্যমান চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। ফলে চার দশমিক ৮০ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন রেলের জন্য আলাদা এই সেতু নির্মাণ হচ্ছে।
সেতুর অগ্রগতি বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেতুর পিয়ারের পাইলিং কাজ চলছে। এর পরে কংক্রিটের কাজ হবে। তার ওপরে পিয়ার উঠবে। সেতুর পূর্ব পাশে তিনটা পাইলের কাজ শেষ হয়েছে। আরও তিনিটার কাজ চলছে। পশ্চিম পাশে প্রথম পিয়ারের পাইলিং কাজও শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৩০ ভাগ। সেতুতে পিয়ার থাকবে ৪৯টা এবং স্প্যান বসবে ৪৯ টা। দেশের বাইরে থেকে যে সব মালামাল আসার কথা তার কিছু এসেছে। বাকিগুলো কয়েক ধাপে আসবে।
সার্বিক কাজের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'করোনার কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কারণ প্রতিদিনই কিছু না কিছু লোকজন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। যে করোনা আক্রান্ত হন তাঁকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে তাঁর আশপাশে যারা কাজ করতেন তাদেরও কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হয়। তখন ওই অংশের কাজটা দেরি হয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ে হয় না। এর বাইরে প্রকল্পের সার্বিক কাজ চলমান আছে।'
সেতুর দুই পাড়ের সংযোগ অংশের কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এই অংশের প্রাথমিক কাজ চলছে। সেতুর দুই পাড়ে এলাইনমেন্ট করার কাজ হচ্ছে। আরও দুই তিন মাস পরে মূল কাজটা শুরু হবে।'
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এই রেলসেতুর উভয় পাশে ০.০৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ৭ দশমিক ৬৭৭ কিলোমিটার রেলওয়ে এপ্রোস এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ লাইনসহ মোট ৩০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ হবে। তা ছাড়া বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এবং পশ্চিম এর নতুন স্টেশন ভবন ইয়ার্ড রিমডেলিং। রেলওয়ে ব্রিজ মিউজিয়াম ও নির্মাণ করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়। নদী শাসন কাজের মেরামতও করা হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই রেলসেতু নির্মাণ হলে স্বল্প সময়ে অপেক্ষাকৃত অধিক সংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করা যাবে। বর্তমানে ৩৮টি ট্রেন এর স্থলে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এই প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। করোনায় প্রকল্পের কাজে প্রভাব পড়ছে কিনা জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'করোনার কারণে কাজে কিছুটাতো প্রভাব পড়ছেই। প্রকল্পে জাপানি অনেক কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। জাপানি যারা কাজ করেন তাঁরা একটু বয়স্ক ফলে ভয়ও পাচ্ছেন তাঁরা। তবে তাদের সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ যা এগিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট।'
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু বাস্তবায়নের কাজ করছে জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে। যার মধ্যে জিওবি ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা এবং জাইকা দিচ্ছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। সেতুর নির্মাণকাজ ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,২৪০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ১৬০ টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি এবং স্পাইওয়্যার আমদানি ও ব্যবহার করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রায়শই অস্বচ্ছ ক্রয় প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতায় আনা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
১২ আগস্ট ২০২৫রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১২ আগস্ট ২০২৫বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
১২ আগস্ট ২০২৫