উবায়দুল্লাহ বাদল ও জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর থেকে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের পাঁচটি নির্বাচনী আসনের তিনটিতেই (জামালপুর-২, ৪ ও ৫) চরম বেকায়দায় পড়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কোন্দলের কারণে এসব আসনে দলের পদধারী অনেক নেতা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। ফলে নির্বাচনের মাঠে সুবিধা করতে পারছে না নৌকা। অনেকে বলছেন, স্বতন্ত্রের ঢেউয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে নৌকা।
তবে নৌকার জয় অনেকটাই নিশ্চিত জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) ও জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে।
নৌকার প্রার্থী বেকায়দায় থাকা তিন আসনের একটি জামালপুর-৫ (সদর)। আসনটিতে আওয়ামী লীগের হয়ে এবার নির্বাচন করছেন রাজনীতিতে নতুন মুখ প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।
অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ কংগ্রেস, এনপিপি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং স্বতন্ত্র সাত প্রার্থী থাকলেও আসনটিতে আবুল কালাম আজাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু। ঈগল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া রেজনু জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। জামালপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এই ব্যবসায়ী নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন চেয়ে পাননি।
তখন থেকেই তিনি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শহরে তাঁর রয়েছে বিশাল কর্মী বাহিনী। এ ছাড়া এবার তাঁর সঙ্গে আছেন সদ্য বহিষ্কৃত জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ বিন জালাল (প্লাবন), পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুর হোসেন আবহানী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মনু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ রানা প্রমুখ।
এর বাইরেও নৌকার মনোনয়ন চেয়ে পাননি এমন অনেক প্রার্থীর ঈগলের প্রতি সমর্থন আছে বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌকার মনোনয়ন চেয়ে পাননি এমন অনেকে আমাকে সমর্থন দিচ্ছেন। এর কারণ হলো, এত দিন সদর আসনের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে। সদরের মানুষ সদরের লোকদের এমপি বানাতে চায়।
যে কারণে কোন্দল
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির পুরো নাটাই আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামালপুর-৩ আসনের এমপি মির্জা আজমের হাতে। এক বছর আগে জেলা আওয়ামী লীগের দেড় যুগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরীকে সহসভাপতি করা হয়। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ্রকে করা হয় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। মূলত এরপরই শুরু হয় জেলা আওয়ামী লীগে কোন্দল।
এবারের নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চেয়েছিলেন বর্তমান এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ, সহসভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ্র, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী মারুফা আক্তার পপি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল করিম রেজনু, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য এ প্রযুক্তি সম্পাদক সালেহীন রেজা। কিন্তু কেন্দ্র থেকে নৌকা তুলে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের হাতে, যাঁর জন্মস্থান জামালপুর শহর হলেও আদি নিবাস মেলান্দহে। নির্বাচনের প্রচারে এটিই ইস্যু বানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজনু।
এদিকে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় মঞ্চে ওঠাকে কেন্দ্র করে মির্জা আজমের সঙ্গে বিরোধে জড়ানো মারুফা আক্তার পপিকে বহিষ্কার করা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমারকে নৌকার প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন সদরের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রার্থী ও নৌকার প্রধান সমন্বয়ক—দুজনই মেলান্দহের লোক। জামালপুর সদরের নেতাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তাই ভোটের মাধ্যমে এবার জবাব দেবে সদরবাসী।
আবুল কালাম আজাদের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন বলে তাঁর দাবি। ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, নৌকার মনোনয়ন চেয়ে পাননি এমন চারজন প্রার্থী ছাড়া অধিকাংশ নেতা-কর্মী আমাদের সঙ্গে আছেন। এ ছাড়া সদরের বাইরের প্রার্থী—এমন ইস্যু সৃষ্টি করে আমাদের কিছুটা বেকায়দায় ফেলেছে। তারপরও নৌকাই জিতবে ইনশা আল্লাহ।
জামালপুর-২ আসনে তিনবারের সংসদ সদস্য ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এবারও নৌকার প্রার্থী। ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম শাহীনুজ্জামান (কাঁচি প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের দুই উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. জিয়াউল হক (ঈগল প্রতীক) ও মো. শাহাজাহান আলী মণ্ডল (ট্রাক প্রতীক)। তবে মো. জিয়াউল হক শাহিনুজ্জামানকে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। শাহজাহান আলী মণ্ডলও অজ্ঞাত কারণে নিষ্ক্রিয়। ফলে এই আসনে মূল লড়াই হবে নৌকার সঙ্গে কাঁচির।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ শীর্ষ নেতাই স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচির হয়ে কাজ করছেন। ফলে এই আসনে এমপি পদে নতুন মুখ এলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এখানে জাতীয় পার্টির হেভিওয়েট প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদের অবস্থানও শক্ত বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের ২ জন স্বতন্ত্রসহ মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। প্রার্থী পরিবর্তন করে নতুন মুখ প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান হেলালকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মালেকের ছেলে তিনি। এদিকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ। এই আসনে নৌকার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ডা. মুরাদ হাসানের ঈগল ও অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদের ট্রাক প্রতীকের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের পাঁচটি নির্বাচনী আসনের তিনটিতেই (জামালপুর-২, ৪ ও ৫) চরম বেকায়দায় পড়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কোন্দলের কারণে এসব আসনে দলের পদধারী অনেক নেতা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। ফলে নির্বাচনের মাঠে সুবিধা করতে পারছে না নৌকা। অনেকে বলছেন, স্বতন্ত্রের ঢেউয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে নৌকা।
তবে নৌকার জয় অনেকটাই নিশ্চিত জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) ও জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে।
নৌকার প্রার্থী বেকায়দায় থাকা তিন আসনের একটি জামালপুর-৫ (সদর)। আসনটিতে আওয়ামী লীগের হয়ে এবার নির্বাচন করছেন রাজনীতিতে নতুন মুখ প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।
অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ কংগ্রেস, এনপিপি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং স্বতন্ত্র সাত প্রার্থী থাকলেও আসনটিতে আবুল কালাম আজাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু। ঈগল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া রেজনু জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। জামালপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এই ব্যবসায়ী নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন চেয়ে পাননি।
তখন থেকেই তিনি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শহরে তাঁর রয়েছে বিশাল কর্মী বাহিনী। এ ছাড়া এবার তাঁর সঙ্গে আছেন সদ্য বহিষ্কৃত জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ বিন জালাল (প্লাবন), পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুর হোসেন আবহানী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মনু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ রানা প্রমুখ।
এর বাইরেও নৌকার মনোনয়ন চেয়ে পাননি এমন অনেক প্রার্থীর ঈগলের প্রতি সমর্থন আছে বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌকার মনোনয়ন চেয়ে পাননি এমন অনেকে আমাকে সমর্থন দিচ্ছেন। এর কারণ হলো, এত দিন সদর আসনের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে। সদরের মানুষ সদরের লোকদের এমপি বানাতে চায়।
যে কারণে কোন্দল
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির পুরো নাটাই আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামালপুর-৩ আসনের এমপি মির্জা আজমের হাতে। এক বছর আগে জেলা আওয়ামী লীগের দেড় যুগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরীকে সহসভাপতি করা হয়। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ্রকে করা হয় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। মূলত এরপরই শুরু হয় জেলা আওয়ামী লীগে কোন্দল।
এবারের নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চেয়েছিলেন বর্তমান এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ, সহসভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ্র, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী মারুফা আক্তার পপি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল করিম রেজনু, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য এ প্রযুক্তি সম্পাদক সালেহীন রেজা। কিন্তু কেন্দ্র থেকে নৌকা তুলে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের হাতে, যাঁর জন্মস্থান জামালপুর শহর হলেও আদি নিবাস মেলান্দহে। নির্বাচনের প্রচারে এটিই ইস্যু বানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজনু।
এদিকে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় মঞ্চে ওঠাকে কেন্দ্র করে মির্জা আজমের সঙ্গে বিরোধে জড়ানো মারুফা আক্তার পপিকে বহিষ্কার করা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমারকে নৌকার প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন সদরের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রার্থী ও নৌকার প্রধান সমন্বয়ক—দুজনই মেলান্দহের লোক। জামালপুর সদরের নেতাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তাই ভোটের মাধ্যমে এবার জবাব দেবে সদরবাসী।
আবুল কালাম আজাদের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন বলে তাঁর দাবি। ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, নৌকার মনোনয়ন চেয়ে পাননি এমন চারজন প্রার্থী ছাড়া অধিকাংশ নেতা-কর্মী আমাদের সঙ্গে আছেন। এ ছাড়া সদরের বাইরের প্রার্থী—এমন ইস্যু সৃষ্টি করে আমাদের কিছুটা বেকায়দায় ফেলেছে। তারপরও নৌকাই জিতবে ইনশা আল্লাহ।
জামালপুর-২ আসনে তিনবারের সংসদ সদস্য ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এবারও নৌকার প্রার্থী। ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম শাহীনুজ্জামান (কাঁচি প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের দুই উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. জিয়াউল হক (ঈগল প্রতীক) ও মো. শাহাজাহান আলী মণ্ডল (ট্রাক প্রতীক)। তবে মো. জিয়াউল হক শাহিনুজ্জামানকে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। শাহজাহান আলী মণ্ডলও অজ্ঞাত কারণে নিষ্ক্রিয়। ফলে এই আসনে মূল লড়াই হবে নৌকার সঙ্গে কাঁচির।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ শীর্ষ নেতাই স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচির হয়ে কাজ করছেন। ফলে এই আসনে এমপি পদে নতুন মুখ এলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এখানে জাতীয় পার্টির হেভিওয়েট প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদের অবস্থানও শক্ত বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের ২ জন স্বতন্ত্রসহ মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। প্রার্থী পরিবর্তন করে নতুন মুখ প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান হেলালকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মালেকের ছেলে তিনি। এদিকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ। এই আসনে নৌকার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ডা. মুরাদ হাসানের ঈগল ও অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদের ট্রাক প্রতীকের।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫