অনলাইন ডেস্ক
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত প্রায়ই দেশপ্রেমের জোয়ারে ভেসে যায়। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলেই উভয় দেশের জনগণ তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায়। এমনকি কিছু সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রীতিমতো উসকানিমূলক প্রচার প্রচারণা চালায়।
ভারত ও পাকিস্তানের বর্তমান চিত্রটি থেকে তা স্পষ্ট। পাকিস্তানের জনগণ তো তাদের বিমানবাহিনীর জন্য যারপরনাই গর্ববোধ করছে। এমনকি যারা আগে পাকিস্তানের সামরিক ব্যয়ের সমালোচনা করতেন, তাঁরাও এখন বৈরী প্রতিবেশী মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাজেটের প্রয়োজনীয়তার কথা জোর দিয়ে বলছেন।
কিন্তু, শেষ পর্যন্ত, এই যুদ্ধের ফল হিসেবে কাদের ঘর যায়? কারা লাভবান হয়? যুদ্ধে ক্ষতি হয় সাধারণ মানুষের, জীবন ও জীবিকা নিয়ে শঙ্কিত থাকে, স্বজন হারানোর বেদনায় কাতর হয়। দুটি দেশই সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে, অথচ জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণেই তারা একপ্রকার ব্যর্থ।
সুইডেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারত সামরিক খাতে ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, যেখানে একই সময়ে পাকিস্তানের ব্যয় ছিল ৩৪৮ বিলিয়ন ডলার। এই বিশাল ব্যবধান সত্ত্বেও, পাকিস্তান সীমিত সম্পদ দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বেশ শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
যেকোনো যুদ্ধের প্রকৃত বিজয়ী হলো অস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো। সংক্ষিপ্ত যুদ্ধে ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের প্রচুর অস্ত্র ক্ষয় হয়েছে। অস্ত্রাগার ভরতে তারা আবার নতুন করে ব্যয় করবে, এটা নিশ্চিত।
সংঘাতপূর্ণ বিশ্বে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় ২ দশমিক ৭২ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সাল থেকে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। এটি স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে সর্বোচ্চ বার্ষিক বৃদ্ধি। এর পুরোটাই জনগণের করের টাকা।
এসআইপিআরআই-এর মতে, এই ব্যয় বৃদ্ধি টানা দশম বছরের মতো ঘটল। সরকারগুলো প্রায়শই শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং জনকল্যাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতকে উপেক্ষা করে প্রতিরক্ষা খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এর ফলস্বরূপ, অপুষ্টিতে ভোগা দরিদ্র ও শিক্ষার অধিকার বঞ্চিত শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে।
২০২৩ সালে, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি অস্ত্র উৎপাদনকারী কোম্পানি ৬৩২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক পরিষেবা বিক্রি করেছে, যা ২০২২ সালের চেয়ে ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
এসআইপিআরআই-এর ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ ১০০ অস্ত্র উৎপাদকের রাজস্ব এখনো তাদের কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায় পৌঁছেনি। অনেক কোম্পানি কর্মী নিয়োগ করছে। এতে বোঝা যায়, ভবিষ্যতের বিক্রি সম্পর্কে তারা কতটা আশাবাদী!
ঘৃণার চর্চা থেকেই জন্ম নেয় সংঘাত। আর সংঘাত কেবল বিত্তবানদের আরও সম্পদশালী করে তোলে। আর যারা যুদ্ধ করে, তাদের জীবনে নেমে আসে সীমাহীন দুর্ভোগ। তাই, প্রতিপক্ষের যুদ্ধংদেহী মনোভাব এবং যুদ্ধংদেহী কথাবার্তা সত্ত্বেও, একমাত্র যুক্তিযুক্ত পদক্ষেপ হলো উত্তেজনা প্রশমিত করা এবং শান্তির পথে হাঁটা।
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত প্রায়ই দেশপ্রেমের জোয়ারে ভেসে যায়। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলেই উভয় দেশের জনগণ তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায়। এমনকি কিছু সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রীতিমতো উসকানিমূলক প্রচার প্রচারণা চালায়।
ভারত ও পাকিস্তানের বর্তমান চিত্রটি থেকে তা স্পষ্ট। পাকিস্তানের জনগণ তো তাদের বিমানবাহিনীর জন্য যারপরনাই গর্ববোধ করছে। এমনকি যারা আগে পাকিস্তানের সামরিক ব্যয়ের সমালোচনা করতেন, তাঁরাও এখন বৈরী প্রতিবেশী মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাজেটের প্রয়োজনীয়তার কথা জোর দিয়ে বলছেন।
কিন্তু, শেষ পর্যন্ত, এই যুদ্ধের ফল হিসেবে কাদের ঘর যায়? কারা লাভবান হয়? যুদ্ধে ক্ষতি হয় সাধারণ মানুষের, জীবন ও জীবিকা নিয়ে শঙ্কিত থাকে, স্বজন হারানোর বেদনায় কাতর হয়। দুটি দেশই সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে, অথচ জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণেই তারা একপ্রকার ব্যর্থ।
সুইডেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারত সামরিক খাতে ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, যেখানে একই সময়ে পাকিস্তানের ব্যয় ছিল ৩৪৮ বিলিয়ন ডলার। এই বিশাল ব্যবধান সত্ত্বেও, পাকিস্তান সীমিত সম্পদ দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বেশ শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
যেকোনো যুদ্ধের প্রকৃত বিজয়ী হলো অস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো। সংক্ষিপ্ত যুদ্ধে ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের প্রচুর অস্ত্র ক্ষয় হয়েছে। অস্ত্রাগার ভরতে তারা আবার নতুন করে ব্যয় করবে, এটা নিশ্চিত।
সংঘাতপূর্ণ বিশ্বে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় ২ দশমিক ৭২ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সাল থেকে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। এটি স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে সর্বোচ্চ বার্ষিক বৃদ্ধি। এর পুরোটাই জনগণের করের টাকা।
এসআইপিআরআই-এর মতে, এই ব্যয় বৃদ্ধি টানা দশম বছরের মতো ঘটল। সরকারগুলো প্রায়শই শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং জনকল্যাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতকে উপেক্ষা করে প্রতিরক্ষা খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এর ফলস্বরূপ, অপুষ্টিতে ভোগা দরিদ্র ও শিক্ষার অধিকার বঞ্চিত শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে।
২০২৩ সালে, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি অস্ত্র উৎপাদনকারী কোম্পানি ৬৩২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক পরিষেবা বিক্রি করেছে, যা ২০২২ সালের চেয়ে ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
এসআইপিআরআই-এর ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ ১০০ অস্ত্র উৎপাদকের রাজস্ব এখনো তাদের কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায় পৌঁছেনি। অনেক কোম্পানি কর্মী নিয়োগ করছে। এতে বোঝা যায়, ভবিষ্যতের বিক্রি সম্পর্কে তারা কতটা আশাবাদী!
ঘৃণার চর্চা থেকেই জন্ম নেয় সংঘাত। আর সংঘাত কেবল বিত্তবানদের আরও সম্পদশালী করে তোলে। আর যারা যুদ্ধ করে, তাদের জীবনে নেমে আসে সীমাহীন দুর্ভোগ। তাই, প্রতিপক্ষের যুদ্ধংদেহী মনোভাব এবং যুদ্ধংদেহী কথাবার্তা সত্ত্বেও, একমাত্র যুক্তিযুক্ত পদক্ষেপ হলো উত্তেজনা প্রশমিত করা এবং শান্তির পথে হাঁটা।
বিশ্বজুড়েই ছাত্র ইউনিয়নগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করে। ইতিহাস বলে, এই ছাত্ররাই সরকারকে দায়বদ্ধ করে তোলে এবং তরুণদের অধিকার রক্ষা করে। বাংলাদেশে অনেক ছাত্র নেতা পরবর্তীকালে মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ...
১১ আগস্ট ২০২৫শেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন ও বাংলাদেশের এক নতুন ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির আশায় হাজারো মানুষ গত সপ্তাহে ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বর্ষাস্নাত দিনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতা, অধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ‘নয়া বাংলাদেশের’ ঘোষণাপত্র উন্মোচন করেছেন।
১০ আগস্ট ২০২৫মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সেই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে গত ২৪ জুলাই মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর...
১০ আগস্ট ২০২৫১৫৮ বছর আগে মাত্র ৭২ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আলাস্কা বিক্রি করে দিয়েছিল রাশিয়া। আর ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানসূত্র খুঁজতে সেখানেই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন। মার্কিন মুল্লুকের এত সব জৌলুস এলাকা বাদ দিয়ে কেন এই হিমশীতল অঙ্গরাজ্য আলাস্কাকে বেছে নেওয়া হলো? এর পেছনে রহস্য কী?
০৯ আগস্ট ২০২৫