শিল্পী বাডি হোলি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর একজন আমার হাতে একটি রেকর্ড তুলে দেয়, যেখানে ‘কটনফিল্ড’ গানটি ছিল। সেই রেকর্ডটি তৎক্ষণাৎ আমার জীবন বদলে দেয়। এমন একটি বিশ্বে পৌঁছে দেয়, যেখানে আমি কখনো যাইনি। যেন একটা বিস্ফোরণই ঘটে গিয়েছিল। এত দিন অন্ধকারের মধ্যে হাঁটছিলাম, হঠাৎ সব আলোয় আলো হয়ে উঠল। কেউ হাত বাড়িয়ে দিল। অন্তত এক শবার সেই রেকর্ডটি শুনি তারপর। সেই রেকর্ডে এমন সব গায়কের নাম ছিল (সনি, টেরি, বাউনি ম্যাকগি) যাঁদের নামও আগে শুনিনি।
যে গানবাজনা শুনে বড় হয়েছি তার প্রতি আমার এখনো একটা টান রয়েছে, কিন্তু আজ যদি জিজ্ঞাসা করেন, আমি আর সেগুলো গাইতে পারব না। সব ভুলে গিয়েছি। সেগুলো আমার কাছ থেকে দূরে চলে গিয়েছে।
যে সময়ের কথা বলছি, তখনো আমি বাড়ি ছাড়িনি, কিন্তু আর অপেক্ষাও করতে পারছিলাম না। আমি ওই বাজনা শিখতে চাইছিলাম, যাঁরা বাজাচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেও। কালক্রমে আমি বাড়ি ছাড়ি এবং গানগুলো রপ্ত করি। রেডিওতে যে গান বাজত, সেগুলো ছিল তার থেকে আলাদা। তাঁরা অনেক বেশি উজ্জ্বল এবং জীবনের প্রতি বিশ্বস্ত। রেডিও আর্টিস্ট হয়তো অনেক কায়দাকানুন করে মনোরঞ্জন করতেন কিন্তু লোকসংগীতের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার একটা সহজাত টান ছিল পুরোনো দিনের ব্যালাড এবং কান্ট্রি ব্লুজের দিকে, কিন্তু সবটাই গোড়া থেকে শিখতে হয়েছিল।
আগেকার সব লোকগায়কের গান শুনতে শুনতে এবং নিজে গাইতে গাইতে একটা ভাষা আয়ত্ত হয়ে যায়। সেটা ভেতরে বসেও যায়। তার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম দিকগুলো মন দিয়ে শুনতে শুনতে গানের বিস্তার এবং ডিটেল বোঝা সম্ভব হয়। আমি সব কথ্যভাষা শিখে নিয়েছিলাম, বিভিন্ন অপ্রচলিত শব্দের অর্থও। কোনো কিছুই মাথার ওপর দিয়ে চলে যেতে দিইনি। সেই সব কৌশল, গোপনীয়তা, রহস্য—সবকিছু।
আমেরিকান সংগীতশিল্পী বব ডিলান ২০১৬ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
শিল্পী বাডি হোলি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর একজন আমার হাতে একটি রেকর্ড তুলে দেয়, যেখানে ‘কটনফিল্ড’ গানটি ছিল। সেই রেকর্ডটি তৎক্ষণাৎ আমার জীবন বদলে দেয়। এমন একটি বিশ্বে পৌঁছে দেয়, যেখানে আমি কখনো যাইনি। যেন একটা বিস্ফোরণই ঘটে গিয়েছিল। এত দিন অন্ধকারের মধ্যে হাঁটছিলাম, হঠাৎ সব আলোয় আলো হয়ে উঠল। কেউ হাত বাড়িয়ে দিল। অন্তত এক শবার সেই রেকর্ডটি শুনি তারপর। সেই রেকর্ডে এমন সব গায়কের নাম ছিল (সনি, টেরি, বাউনি ম্যাকগি) যাঁদের নামও আগে শুনিনি।
যে গানবাজনা শুনে বড় হয়েছি তার প্রতি আমার এখনো একটা টান রয়েছে, কিন্তু আজ যদি জিজ্ঞাসা করেন, আমি আর সেগুলো গাইতে পারব না। সব ভুলে গিয়েছি। সেগুলো আমার কাছ থেকে দূরে চলে গিয়েছে।
যে সময়ের কথা বলছি, তখনো আমি বাড়ি ছাড়িনি, কিন্তু আর অপেক্ষাও করতে পারছিলাম না। আমি ওই বাজনা শিখতে চাইছিলাম, যাঁরা বাজাচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেও। কালক্রমে আমি বাড়ি ছাড়ি এবং গানগুলো রপ্ত করি। রেডিওতে যে গান বাজত, সেগুলো ছিল তার থেকে আলাদা। তাঁরা অনেক বেশি উজ্জ্বল এবং জীবনের প্রতি বিশ্বস্ত। রেডিও আর্টিস্ট হয়তো অনেক কায়দাকানুন করে মনোরঞ্জন করতেন কিন্তু লোকসংগীতের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার একটা সহজাত টান ছিল পুরোনো দিনের ব্যালাড এবং কান্ট্রি ব্লুজের দিকে, কিন্তু সবটাই গোড়া থেকে শিখতে হয়েছিল।
আগেকার সব লোকগায়কের গান শুনতে শুনতে এবং নিজে গাইতে গাইতে একটা ভাষা আয়ত্ত হয়ে যায়। সেটা ভেতরে বসেও যায়। তার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম দিকগুলো মন দিয়ে শুনতে শুনতে গানের বিস্তার এবং ডিটেল বোঝা সম্ভব হয়। আমি সব কথ্যভাষা শিখে নিয়েছিলাম, বিভিন্ন অপ্রচলিত শব্দের অর্থও। কোনো কিছুই মাথার ওপর দিয়ে চলে যেতে দিইনি। সেই সব কৌশল, গোপনীয়তা, রহস্য—সবকিছু।
আমেরিকান সংগীতশিল্পী বব ডিলান ২০১৬ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫