বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মেছিলেন ১২ সেপ্টেম্বর। ছিলেন খাদ্যরসিক। এমনকি ছোট ভাইয়ের বিয়ে দেওয়ার সময়ও তিনি শর্ত বেঁধে দিয়েছিলেন, পাত্রীকে অবশ্যই ভালো রাঁধুনি হতে হবে। বাংলার প্রতিটি জেলার শহরে, গ্রামে পরিচিত মানুষদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন পাত্রী খোঁজার জন্য।
এরপর প্রায় মাস দুই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে পাত্রী নির্বাচন করতে গেছেন। এই পাত্রী দেখা নিয়েই দেশ পত্রিকায় বেশ কয়েকটি গল্প বেরিয়েছিল।
এবারের গল্পটি তাঁর খাওয়া নিয়ে। মেদিনীপুরে হবে সাহিত্যসভা। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কলকাতা থেকে একদল লেখক গিয়ে নেমেছেন সেখানে দুপুরবেলা। অভ্যর্থনা করতে যাঁরা এলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা জুড়ে দিলেন বিভূতিবাবু। এ সময় মূলত কোথায় সভা হচ্ছে, কারা থাকছেন ইত্যাদি আলোচনাই হয়। কিন্তু বিভূতি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী রান্না হয়েছে? কোথায় খাওয়া হবে?’
খেতে বসে বিভূতিভূষণ মেদিনীপুরের বিশিষ্ট খাবারের বর্ণনা দিয়ে চলেছেন। একফাঁকে বললেন, ‘শুনেছি, মেদিনীপুরের কাঁকড়ার ঝোল নাকি খুব বিখ্যাত।’
এ রকম কথা শুনতে হবে, সেটা আয়োজকেরাও ভাবেননি। কিন্তু বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ দিয়ে কাঁকড়ার ঝোলের কথা শুনে তাঁরাও ঠিক করলেন, আয়োজন করবেন। পরদিন দুপুরে নানা আয়োজনের মধ্যে থাকল কাঁকড়ার ঝোল। প্রত্যেকের সামনে এক এক জামবাটি ভর্তি কাঁকড়া। অন্য সব খাবার বাদ দিয়ে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কাঁকড়ার ঝোলই খেতে থাকলেন। বাটি থেকে এক একটা কাঁকড়া তুলছেন, দাঁড়া ভেঙে নিয়ে চুষিকাঠির মতো চুষে দাঁত দিয়ে কামড়ে দাঁড়াটা ভেঙে নিচ্ছেন, তারপর ভেতরের মাংসটা খাচ্ছেন! সে এক এলাহি কারবার। তিনি কাঁকড়া নিয়ে এতটাই মগ্ন ছিলেন যে পর পর তিন বাটি কাঁকড়া খেয়ে ফেললেন! বাকিরা অবাক হয়ে তাঁর খাওয়া দেখতে লাগল। এরপর অবশ্য সময়মতো কলকাতা না ফিরে ডাক্তারের নির্দেশে তাঁকে সেখানেই তিন দিন শুয়ে থাকতে হলো।
সূত্র: সাগরময় ঘোষ, সম্পাদকের বৈঠকে, পৃষ্ঠা ২৭-৩০
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মেছিলেন ১২ সেপ্টেম্বর। ছিলেন খাদ্যরসিক। এমনকি ছোট ভাইয়ের বিয়ে দেওয়ার সময়ও তিনি শর্ত বেঁধে দিয়েছিলেন, পাত্রীকে অবশ্যই ভালো রাঁধুনি হতে হবে। বাংলার প্রতিটি জেলার শহরে, গ্রামে পরিচিত মানুষদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন পাত্রী খোঁজার জন্য।
এরপর প্রায় মাস দুই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে পাত্রী নির্বাচন করতে গেছেন। এই পাত্রী দেখা নিয়েই দেশ পত্রিকায় বেশ কয়েকটি গল্প বেরিয়েছিল।
এবারের গল্পটি তাঁর খাওয়া নিয়ে। মেদিনীপুরে হবে সাহিত্যসভা। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কলকাতা থেকে একদল লেখক গিয়ে নেমেছেন সেখানে দুপুরবেলা। অভ্যর্থনা করতে যাঁরা এলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা জুড়ে দিলেন বিভূতিবাবু। এ সময় মূলত কোথায় সভা হচ্ছে, কারা থাকছেন ইত্যাদি আলোচনাই হয়। কিন্তু বিভূতি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী রান্না হয়েছে? কোথায় খাওয়া হবে?’
খেতে বসে বিভূতিভূষণ মেদিনীপুরের বিশিষ্ট খাবারের বর্ণনা দিয়ে চলেছেন। একফাঁকে বললেন, ‘শুনেছি, মেদিনীপুরের কাঁকড়ার ঝোল নাকি খুব বিখ্যাত।’
এ রকম কথা শুনতে হবে, সেটা আয়োজকেরাও ভাবেননি। কিন্তু বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ দিয়ে কাঁকড়ার ঝোলের কথা শুনে তাঁরাও ঠিক করলেন, আয়োজন করবেন। পরদিন দুপুরে নানা আয়োজনের মধ্যে থাকল কাঁকড়ার ঝোল। প্রত্যেকের সামনে এক এক জামবাটি ভর্তি কাঁকড়া। অন্য সব খাবার বাদ দিয়ে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কাঁকড়ার ঝোলই খেতে থাকলেন। বাটি থেকে এক একটা কাঁকড়া তুলছেন, দাঁড়া ভেঙে নিয়ে চুষিকাঠির মতো চুষে দাঁত দিয়ে কামড়ে দাঁড়াটা ভেঙে নিচ্ছেন, তারপর ভেতরের মাংসটা খাচ্ছেন! সে এক এলাহি কারবার। তিনি কাঁকড়া নিয়ে এতটাই মগ্ন ছিলেন যে পর পর তিন বাটি কাঁকড়া খেয়ে ফেললেন! বাকিরা অবাক হয়ে তাঁর খাওয়া দেখতে লাগল। এরপর অবশ্য সময়মতো কলকাতা না ফিরে ডাক্তারের নির্দেশে তাঁকে সেখানেই তিন দিন শুয়ে থাকতে হলো।
সূত্র: সাগরময় ঘোষ, সম্পাদকের বৈঠকে, পৃষ্ঠা ২৭-৩০
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫