সম্পাদকীয়
এ দেশের চিত্রকলাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন জয়নুল আবেদিন। এ জন্য তাঁকে শিল্পাচার্য বলা হয়। ছেলেবেলা থেকেই আঁকাজোকার প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ ছিল। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন শুধু গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টস দেখার জন্য। সেখান থেকে এসে তাঁর আর গতানুগতিক লেখাপড়ায় মন বসছিল না।
কলকাতায় গিয়ে পড়াশোনা করার মতো আর্থিক সামর্থ্য পরিবারের ছিল না। অবশেষে ম্যাট্রিক পরীক্ষার আগেই তাঁর ভীষণ জেদ দেখে মা সোনার হার বিক্রি করে তাঁকে পড়াশোনার জন্য কলকাতায় পাঠান। সেখানে থাকার জায়গা ছিল না জয়নুলের। পার্কের বেঞ্চে এবং বিভিন্ন মসজিদের বারান্দায়ও রাতে ঘুমাতেন। সেই গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টসেই ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফল করেন। ফল এতই ভালো হয় যে, নিয়ম ভেঙে তাঁকে বৃত্তি দেওয়া হয়। অথচ নিয়ম ছিল প্রথম বর্ষের ফলের ওপর বৃত্তি দেওয়া।
একসময় স্নাতক শেষ করেন এখান থেকে। তাঁর অসাধারণ প্রতিভার কারণে তিনি ছাত্র অবস্থায় শিক্ষক হয়েছিলেন। স্নাতকে চিত্রকলা বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
তিনি ছবি আঁকার জন্য বেছে নিয়েছিলেন কালো কালি আর তুলি। সেই সঙ্গে ব্যবহার করতেন সস্তা কার্টিজ পেপার। কখনো প্যাকেজিং কাগজ। সাধারণ স্বল্পমূল্যের এসব অঙ্কনসামগ্রী ব্যবহার করে তিনি যে শিল্প সৃষ্টি করেছেন, তা-ই পরিণত হয়েছে অমূল্য সম্পদে।
এক স্মৃতিচারণায় জয়নুল আবেদিন বলেছিলেন, ‘যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি ছবি আঁকা শিখলাম কী করে বা কার কাছ থেকে। তবে উত্তর দিতে পারব না। বলব, আমার দেশের প্রকৃতি আর পরিবেশ আমাকে ছবি আঁকার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। এ দেশের আকাশ, বাতাস, নদী, মাঠ, বন, এখানকার মানুষের চলাফেরা, ওঠাবসা, হাসি-কান্না আমাকে ছবি আঁকতে বলে।’
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর কলকাতা আর্ট স্কুলের চাকরি ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৪৮ সালে পুরান ঢাকার জনসন রোডের ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুলের একটি জীর্ণ বাড়িতে মাত্র ১৮ জন ছাত্র নিয়ে গভর্নমেন্ট আর্ট ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয়।
তিনি ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম শিক্ষক। তাঁর একক প্রচেষ্টায় সোনারগাঁওয়ে লোকশিল্প জাদুঘর স্থাপিত হয়।
তাঁর বিখ্যাত শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে ‘দুর্ভিক্ষ’ চিত্রমালা ছাড়াও ‘বিদ্রোহী’, ‘মুক্তিযোদ্ধা’, ‘গুনটানা নৌকা’, ‘সাঁওতাল রমণী’, ‘সংগ্রাম’, ‘গ্রামীণ নারীর চিত্রমালা’ শীর্ষক ভাস্কর্য শিল্পকলায় অক্ষয় হয়ে আছে। এ ছাড়া তাঁর দীর্ঘ অঙ্কিত ‘নবান্ন’ ও ‘মনপুরা-৭০’ বিশ্বে জননন্দিত দুটি শিল্পকর্ম।
বাংলার প্রকৃতি, জীবনাচার, প্রাচুর্য, দারিদ্র্য ও বাঙালির স্বাধীনতার স্পৃহা তিনি তাঁর রং-তুলি আর ক্যানভাসে মূর্ত করে তুলেছেন।
আমাদের দেশের এই মহান চিত্রশিল্পী ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
এ দেশের চিত্রকলাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন জয়নুল আবেদিন। এ জন্য তাঁকে শিল্পাচার্য বলা হয়। ছেলেবেলা থেকেই আঁকাজোকার প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ ছিল। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন শুধু গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টস দেখার জন্য। সেখান থেকে এসে তাঁর আর গতানুগতিক লেখাপড়ায় মন বসছিল না।
কলকাতায় গিয়ে পড়াশোনা করার মতো আর্থিক সামর্থ্য পরিবারের ছিল না। অবশেষে ম্যাট্রিক পরীক্ষার আগেই তাঁর ভীষণ জেদ দেখে মা সোনার হার বিক্রি করে তাঁকে পড়াশোনার জন্য কলকাতায় পাঠান। সেখানে থাকার জায়গা ছিল না জয়নুলের। পার্কের বেঞ্চে এবং বিভিন্ন মসজিদের বারান্দায়ও রাতে ঘুমাতেন। সেই গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টসেই ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফল করেন। ফল এতই ভালো হয় যে, নিয়ম ভেঙে তাঁকে বৃত্তি দেওয়া হয়। অথচ নিয়ম ছিল প্রথম বর্ষের ফলের ওপর বৃত্তি দেওয়া।
একসময় স্নাতক শেষ করেন এখান থেকে। তাঁর অসাধারণ প্রতিভার কারণে তিনি ছাত্র অবস্থায় শিক্ষক হয়েছিলেন। স্নাতকে চিত্রকলা বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
তিনি ছবি আঁকার জন্য বেছে নিয়েছিলেন কালো কালি আর তুলি। সেই সঙ্গে ব্যবহার করতেন সস্তা কার্টিজ পেপার। কখনো প্যাকেজিং কাগজ। সাধারণ স্বল্পমূল্যের এসব অঙ্কনসামগ্রী ব্যবহার করে তিনি যে শিল্প সৃষ্টি করেছেন, তা-ই পরিণত হয়েছে অমূল্য সম্পদে।
এক স্মৃতিচারণায় জয়নুল আবেদিন বলেছিলেন, ‘যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি ছবি আঁকা শিখলাম কী করে বা কার কাছ থেকে। তবে উত্তর দিতে পারব না। বলব, আমার দেশের প্রকৃতি আর পরিবেশ আমাকে ছবি আঁকার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। এ দেশের আকাশ, বাতাস, নদী, মাঠ, বন, এখানকার মানুষের চলাফেরা, ওঠাবসা, হাসি-কান্না আমাকে ছবি আঁকতে বলে।’
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর কলকাতা আর্ট স্কুলের চাকরি ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৪৮ সালে পুরান ঢাকার জনসন রোডের ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুলের একটি জীর্ণ বাড়িতে মাত্র ১৮ জন ছাত্র নিয়ে গভর্নমেন্ট আর্ট ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয়।
তিনি ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম শিক্ষক। তাঁর একক প্রচেষ্টায় সোনারগাঁওয়ে লোকশিল্প জাদুঘর স্থাপিত হয়।
তাঁর বিখ্যাত শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে ‘দুর্ভিক্ষ’ চিত্রমালা ছাড়াও ‘বিদ্রোহী’, ‘মুক্তিযোদ্ধা’, ‘গুনটানা নৌকা’, ‘সাঁওতাল রমণী’, ‘সংগ্রাম’, ‘গ্রামীণ নারীর চিত্রমালা’ শীর্ষক ভাস্কর্য শিল্পকলায় অক্ষয় হয়ে আছে। এ ছাড়া তাঁর দীর্ঘ অঙ্কিত ‘নবান্ন’ ও ‘মনপুরা-৭০’ বিশ্বে জননন্দিত দুটি শিল্পকর্ম।
বাংলার প্রকৃতি, জীবনাচার, প্রাচুর্য, দারিদ্র্য ও বাঙালির স্বাধীনতার স্পৃহা তিনি তাঁর রং-তুলি আর ক্যানভাসে মূর্ত করে তুলেছেন।
আমাদের দেশের এই মহান চিত্রশিল্পী ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫