সম্পাদকীয়
ধর্ম ও সমাজ সংস্কারক, ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলার নবজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত ছিলেন রামমোহন রায়। তিনি ছিলেন বাংলা গদ্যেরও জনক।
রামমোহন রায়ের জন্ম হুগলির রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে, ১৭৭২ সালের ২২ মে। গ্রামের পাঠশালাতেই তাঁর বাল্যশিক্ষার শুরু। খুবই অল্প বয়সে পড়াশোনা করতে তাঁকে পাঠানো হয় পাটনা শহরে। তখন তাঁর বয়স ছিল ১০ বছরের কম। পরে সংস্কৃত ভাষা এবং হিন্দুধর্ম শিক্ষা গ্রহণ করতে তিনি যান বেনারসে। পরবর্তী সময়ে নিজ চেষ্টায় তিনি সংস্কৃত, আরবি, উর্দু, ফারসি ও ইংরেজি ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। এ ছাড়া হিব্রু, গ্রিক, সিরীয় প্রভৃতি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। ইসলাম, খ্রিষ্ট ও বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল।
হিন্দুধর্মের আচার ও পৌত্তলিকতা নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মা-বাবার সঙ্গে তীব্র বিরোধ দেখা দেয় এবং পিতা তাঁকে ত্যাজ্যপুত্র করেন।
রামমোহন রায় কলকাতায় পাকাপাকিভাবে চলে আসেন ১৮১৫ সালে। এরপর শুরু হয় সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই।
হিন্দুধর্মকে সংস্কার করতে তিনি আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি ধর্মীয়-সামাজিক পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তির জন্য তিনি বিশেষভাবে খ্যাত।
রামমোহন রায় ছিলেন ভারতে সংবাদপত্রের একজন প্রতিষ্ঠাতাও। ‘ব্রাহ্মনিকাল’ ম্যাগাজিন নামে তাঁর প্রথম দ্বিভাষিক পত্রিকা প্রকাশ করেন ১৮২১ সালে। পত্রিকার বাংলা নাম ছিল ব্রাহ্মণ সেবধি: ব্রাহ্মণ ও মিশনারি সংবাদ। দ্বিভাষিক এই পত্রিকার মাত্র তিনটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
রামমোহন রায়ের লেখা ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ গ্রন্থ। এটি বাঙালি রচিত বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ হিসেবেও প্রথম। রামমোহন খুবই মেধাবী ছিলেন। ১৮৩০ সালে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ব্রিটিশরাজ ও সংসদে সম্রাট তাঁর পক্ষে ওকালতি করার জন্য রামমোহনকে ইংল্যান্ডে পাঠান।
১৮৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে মৃত্যুবরণ করেন রাজা রামমোহন রায়। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হয়।
ধর্ম ও সমাজ সংস্কারক, ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলার নবজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত ছিলেন রামমোহন রায়। তিনি ছিলেন বাংলা গদ্যেরও জনক।
রামমোহন রায়ের জন্ম হুগলির রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে, ১৭৭২ সালের ২২ মে। গ্রামের পাঠশালাতেই তাঁর বাল্যশিক্ষার শুরু। খুবই অল্প বয়সে পড়াশোনা করতে তাঁকে পাঠানো হয় পাটনা শহরে। তখন তাঁর বয়স ছিল ১০ বছরের কম। পরে সংস্কৃত ভাষা এবং হিন্দুধর্ম শিক্ষা গ্রহণ করতে তিনি যান বেনারসে। পরবর্তী সময়ে নিজ চেষ্টায় তিনি সংস্কৃত, আরবি, উর্দু, ফারসি ও ইংরেজি ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। এ ছাড়া হিব্রু, গ্রিক, সিরীয় প্রভৃতি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। ইসলাম, খ্রিষ্ট ও বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল।
হিন্দুধর্মের আচার ও পৌত্তলিকতা নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মা-বাবার সঙ্গে তীব্র বিরোধ দেখা দেয় এবং পিতা তাঁকে ত্যাজ্যপুত্র করেন।
রামমোহন রায় কলকাতায় পাকাপাকিভাবে চলে আসেন ১৮১৫ সালে। এরপর শুরু হয় সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই।
হিন্দুধর্মকে সংস্কার করতে তিনি আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি ধর্মীয়-সামাজিক পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তির জন্য তিনি বিশেষভাবে খ্যাত।
রামমোহন রায় ছিলেন ভারতে সংবাদপত্রের একজন প্রতিষ্ঠাতাও। ‘ব্রাহ্মনিকাল’ ম্যাগাজিন নামে তাঁর প্রথম দ্বিভাষিক পত্রিকা প্রকাশ করেন ১৮২১ সালে। পত্রিকার বাংলা নাম ছিল ব্রাহ্মণ সেবধি: ব্রাহ্মণ ও মিশনারি সংবাদ। দ্বিভাষিক এই পত্রিকার মাত্র তিনটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
রামমোহন রায়ের লেখা ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ গ্রন্থ। এটি বাঙালি রচিত বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ হিসেবেও প্রথম। রামমোহন খুবই মেধাবী ছিলেন। ১৮৩০ সালে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ব্রিটিশরাজ ও সংসদে সম্রাট তাঁর পক্ষে ওকালতি করার জন্য রামমোহনকে ইংল্যান্ডে পাঠান।
১৮৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে মৃত্যুবরণ করেন রাজা রামমোহন রায়। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হয়।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫