সম্পাদকীয়
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম বইটি কোনো কবিতা, উপন্যাস বা প্রবন্ধের নয়। সেটা ছিল শিক্ষামূলক বই। বলা যায়, বয়স্কদের জন্য লেখা।
চাকরির জন্য একের পর এক সাক্ষাৎকার দিতে দিতে তিনি যখন ক্লান্ত, তখনই পেয়ে গেলেন এক চাকরি। দেশে শিক্ষা বিস্তারের জন্য ইউনেসকোর পরিকল্পনা ছিল সেটা। বয়স্ক মানুষেরা পড়ালেখার অভাবে মহাজনদের কাছে প্রতারিত হয় প্রতিনিয়ত, সে কারণে তাদের দিতে হবে অক্ষরজ্ঞান, এটাই ছিল পরিকল্পনা। হাবড়া-অশোকনগরের কাছে বাণীপুরে যে বেসিক ট্রেনিং কলেজ, সেখানেই আস্তানা গাড়লেন জনা কুড়ি চাকরিজীবী। এঁদের কাজ হবে আশপাশের গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের ভাষা রপ্ত করা। এই মানুষেরা যে ভাষায় কথা বলেন, সে ভাষাতেই লিখতে হবে বই। তাঁদের শব্দভান্ডারের বাইরে কোনো শব্দ লিখলে তা তাঁরা বুঝতে পারবেন না। যেমন মাটিকে মৃত্তিকা কিংবা ভূমি বললে বুঝতে পারবেন না। সমার্থক শব্দের ব্যবহার নেই বললেই চলে। আর তাঁদের রয়েছে স্থানীয় কিছু শব্দ, যেগুলোর অর্থ বাইরের কেউ বুঝবে না।
প্রকল্পটি চলেছিল দুই মাস। সম্ভবত ইউনেসকো এ খাতে দুই মাস অর্থায়ন করবে বলেছিল, এরপর তা হাতে নেবে ভারত সরকার। কিন্তু ভারত সরকার অর্থায়ন করার কথা আর ভাবেনি। দুই মাসেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বেকার হলেন।
তবে, সেই প্রকল্পে সুনীলদের কয়েকজনকে দিয়ে বই লেখানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কাকে বলে, তা বোঝানোর দায়িত্ব পেলেন সুনীল। দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে লিখে ফেলেছিলেন। বইটি ছাপা হয়েছিল ‘পরিকল্পনা’ নামে। হলুদ মলাটের ষোলো পৃষ্ঠার বইয়ের মলাটে জ্বলজ্বল করে জ্বলছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। পনেরো-বিশ হাজার কপি ছাপা হয়েছিল, বিতরিত হয়েছিল বিনা মূল্যে।
সেই বই হারিয়ে গিয়েছিল কালের অতলে। কেউ তা পড়েছিলেন কি না, পড়ে উপকৃত হয়েছিলেন কি না, সেটা জানা নেই লেখকের। শুধু স্মৃতিচারণা করতে গিয়েই জীবনের প্রথম মুদ্রিত বইয়ের কথা মনে এসেছিল তাঁর।
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অর্ধেক জীবন, পৃষ্ঠা ১৭১-১৭৩
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম বইটি কোনো কবিতা, উপন্যাস বা প্রবন্ধের নয়। সেটা ছিল শিক্ষামূলক বই। বলা যায়, বয়স্কদের জন্য লেখা।
চাকরির জন্য একের পর এক সাক্ষাৎকার দিতে দিতে তিনি যখন ক্লান্ত, তখনই পেয়ে গেলেন এক চাকরি। দেশে শিক্ষা বিস্তারের জন্য ইউনেসকোর পরিকল্পনা ছিল সেটা। বয়স্ক মানুষেরা পড়ালেখার অভাবে মহাজনদের কাছে প্রতারিত হয় প্রতিনিয়ত, সে কারণে তাদের দিতে হবে অক্ষরজ্ঞান, এটাই ছিল পরিকল্পনা। হাবড়া-অশোকনগরের কাছে বাণীপুরে যে বেসিক ট্রেনিং কলেজ, সেখানেই আস্তানা গাড়লেন জনা কুড়ি চাকরিজীবী। এঁদের কাজ হবে আশপাশের গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের ভাষা রপ্ত করা। এই মানুষেরা যে ভাষায় কথা বলেন, সে ভাষাতেই লিখতে হবে বই। তাঁদের শব্দভান্ডারের বাইরে কোনো শব্দ লিখলে তা তাঁরা বুঝতে পারবেন না। যেমন মাটিকে মৃত্তিকা কিংবা ভূমি বললে বুঝতে পারবেন না। সমার্থক শব্দের ব্যবহার নেই বললেই চলে। আর তাঁদের রয়েছে স্থানীয় কিছু শব্দ, যেগুলোর অর্থ বাইরের কেউ বুঝবে না।
প্রকল্পটি চলেছিল দুই মাস। সম্ভবত ইউনেসকো এ খাতে দুই মাস অর্থায়ন করবে বলেছিল, এরপর তা হাতে নেবে ভারত সরকার। কিন্তু ভারত সরকার অর্থায়ন করার কথা আর ভাবেনি। দুই মাসেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বেকার হলেন।
তবে, সেই প্রকল্পে সুনীলদের কয়েকজনকে দিয়ে বই লেখানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কাকে বলে, তা বোঝানোর দায়িত্ব পেলেন সুনীল। দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে লিখে ফেলেছিলেন। বইটি ছাপা হয়েছিল ‘পরিকল্পনা’ নামে। হলুদ মলাটের ষোলো পৃষ্ঠার বইয়ের মলাটে জ্বলজ্বল করে জ্বলছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। পনেরো-বিশ হাজার কপি ছাপা হয়েছিল, বিতরিত হয়েছিল বিনা মূল্যে।
সেই বই হারিয়ে গিয়েছিল কালের অতলে। কেউ তা পড়েছিলেন কি না, পড়ে উপকৃত হয়েছিলেন কি না, সেটা জানা নেই লেখকের। শুধু স্মৃতিচারণা করতে গিয়েই জীবনের প্রথম মুদ্রিত বইয়ের কথা মনে এসেছিল তাঁর।
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অর্ধেক জীবন, পৃষ্ঠা ১৭১-১৭৩
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫