সম্পাদকীয়
নিজের নির্বুদ্ধিতার গল্প করে আনন্দ পান আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। জামালপুরে একদিনের একটি ঘটনা। তাঁর বয়স তখন আট। ব্রহ্মপুত্র নদের পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন তিনি। সঙ্গে ছিল বাড়িতে কাজে সাহায্য করত যে ষোলো-সতেরো বছর বয়সী ছেলে, সেই জাভেদ। আগস্ট মাসের ভরা নদীর দিকে তাকিয়ে একটা জিনিস দেখে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ খুবই অবাক হলেন। নদীর মাঝ বরাবর লাইন ধরা অনেকগুলো বাঁশের লম্বা মাথা জেগে আছে। তীব্র স্রোতের মধ্যে সেগুলো পাগলের মতো নড়াচড়া করছে। তখনো আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ জানতেন না, এগুলো জেলেদের কারবার। জেলেরা তা পুঁতে রেখেছেন। তাঁর মনে হলো, এগুলো কি নদীর তলেই লাইন ধরে জন্মেছে? জাভেদকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এভাবে নড়ছে, এগুলো কী?’
জাভেদ বিরক্ত হয়ে জবাব দিল, ‘ঘোড়ার ডিম।’
তখন পর্যন্ত ঘোড়ার ডিম কেমন হয়, সে-সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের (এখনো নেই)। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করে ফেললেন কথাটা। এক অলীক রহস্য নিয়ে হাজির হলো ঘোড়ার ডিমগুলো! পরের তিন-চার বছর পর্যন্ত তিনি সত্যিই বিশ্বাস করতেন, ব্রহ্মপুত্র নদে মাথা উঁচিয়ে থাকা বাঁশগুলো ঘোড়ার ডিমই ছিল।
পাবনায় আরও বড় এক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তিনি। একদিন তাঁর আব্বা পাঁচ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘বাড়ির পেছনের গেটের জন্য একটা বড়সড় তালা কিনে আনো।’
বাজারে বিভিন্ন দোকানে তালা কিনতে গিয়ে তিনি লক্ষ করলেন, সবাই তালার সঙ্গে এক জোড়া চাবিও গছিয়ে দিতে চাইছে। সন্দেহ হলো, তালার সঙ্গে বেশি পয়সার লোভে চাবি গছিয়ে দিতে চাইছে দোকানিরা। চাবিও যে তালার সঙ্গে দেওয়া হয়, সেটা তাঁর জানা ছিল না। তালা না কিনে তিনি আব্বার কাছে এসে বললেন, ‘দোকানিরা তালার সঙ্গে চাবিও গছিয়ে দিতে চাইছে। সেগুলোও আনব?’
আব্বা রাগে স্তব্ধ আর বাক্যহীন হয়ে গেলেন।
সূত্র: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, কিশোরসমগ্র, পৃষ্ঠা ৮০-৮১
নিজের নির্বুদ্ধিতার গল্প করে আনন্দ পান আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। জামালপুরে একদিনের একটি ঘটনা। তাঁর বয়স তখন আট। ব্রহ্মপুত্র নদের পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন তিনি। সঙ্গে ছিল বাড়িতে কাজে সাহায্য করত যে ষোলো-সতেরো বছর বয়সী ছেলে, সেই জাভেদ। আগস্ট মাসের ভরা নদীর দিকে তাকিয়ে একটা জিনিস দেখে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ খুবই অবাক হলেন। নদীর মাঝ বরাবর লাইন ধরা অনেকগুলো বাঁশের লম্বা মাথা জেগে আছে। তীব্র স্রোতের মধ্যে সেগুলো পাগলের মতো নড়াচড়া করছে। তখনো আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ জানতেন না, এগুলো জেলেদের কারবার। জেলেরা তা পুঁতে রেখেছেন। তাঁর মনে হলো, এগুলো কি নদীর তলেই লাইন ধরে জন্মেছে? জাভেদকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এভাবে নড়ছে, এগুলো কী?’
জাভেদ বিরক্ত হয়ে জবাব দিল, ‘ঘোড়ার ডিম।’
তখন পর্যন্ত ঘোড়ার ডিম কেমন হয়, সে-সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের (এখনো নেই)। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করে ফেললেন কথাটা। এক অলীক রহস্য নিয়ে হাজির হলো ঘোড়ার ডিমগুলো! পরের তিন-চার বছর পর্যন্ত তিনি সত্যিই বিশ্বাস করতেন, ব্রহ্মপুত্র নদে মাথা উঁচিয়ে থাকা বাঁশগুলো ঘোড়ার ডিমই ছিল।
পাবনায় আরও বড় এক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তিনি। একদিন তাঁর আব্বা পাঁচ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘বাড়ির পেছনের গেটের জন্য একটা বড়সড় তালা কিনে আনো।’
বাজারে বিভিন্ন দোকানে তালা কিনতে গিয়ে তিনি লক্ষ করলেন, সবাই তালার সঙ্গে এক জোড়া চাবিও গছিয়ে দিতে চাইছে। সন্দেহ হলো, তালার সঙ্গে বেশি পয়সার লোভে চাবি গছিয়ে দিতে চাইছে দোকানিরা। চাবিও যে তালার সঙ্গে দেওয়া হয়, সেটা তাঁর জানা ছিল না। তালা না কিনে তিনি আব্বার কাছে এসে বললেন, ‘দোকানিরা তালার সঙ্গে চাবিও গছিয়ে দিতে চাইছে। সেগুলোও আনব?’
আব্বা রাগে স্তব্ধ আর বাক্যহীন হয়ে গেলেন।
সূত্র: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, কিশোরসমগ্র, পৃষ্ঠা ৮০-৮১
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫