সম্পাদকীয়
সোনার কেল্লার পর ফেলুদা সিরিজের আরেকটি চলচ্চিত্র করতে চাইছিলেন সত্যজিৎ রায়। এবারও ফেলুদা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। জয় বাবা ফেলুনাথ।
সত্যজিৎ রায় চিত্রনাট্য লেখার জন্য ঘর ছাড়লেন, হেলেন কেনিলওয়ার্থ হোটেলে। অল্পদিনের মধ্যেই কাজ সেরে ফিরলেন। ১৯৭৮ সালের ২৪ জানুয়ারি খবর পেলেন, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ডক্টরেট ডিগ্রি দিচ্ছে সত্যজিৎকে। আগে থেকেই এ নিয়ে কথাবার্তা চলছিল, তবে ব্যাপারটা যেন ছড়িয়ে না যায়, তার অনুরোধ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রে একমাত্র চার্লি চ্যাপলিনই পেয়েছিলেন অক্সফোর্ডের ডি-লিট।
জয় বাবা ফেলুনাথের প্রধান চরিত্রে যাঁরা অভিনয় করবেন, তাঁদের ডেকে সত্যজিৎ রায় চিত্রনাট্য পড়লেন। প্রত্যেকের চরিত্র নিখুঁতভাবে কণ্ঠে ফুটিয়ে তুলতেন সত্যজিৎ। সে কারণেই সবাই সহজে নিজের চরিত্রটি বুঝে নিতে পারত।
রুকু চরিত্রে যে অভিনয় করবে, তেমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কাশীর উদ্দেশে রওনা হওয়ার ঠিক আগের দিন একটা ছেলেকে দেখে পছন্দ হলো। এক দিনের মধ্যেই ওর মা-বাবার সঙ্গে কথা বলে মত নিয়ে সবাই রওনা হয়ে গেল কাশী।
এই ছবিতে লালমোহন বাবু আর ষাঁড় নিয়ে একটা দারুণ ঘটনা আছে। কাশীর রাস্তায় রাস্তায় ষাঁড় ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু শুটিংয়ের সময় অলিগলি খুঁজেও ষাঁড় পাওয়া গেল না। তখন ইউনিটের সবাই ছুটল ষাঁড়ের খোঁজে। কিছু সময় পর একটা ষাঁড় নিয়ে হাজির হলো কেউ কেউ। কিন্তু ক্যামেরার সহকারী অনেকেই তখনো ফেরেনি। সত্যজিৎ বসে আছেন গম্ভীর হয়ে। প্রধান ক্যামেরাম্যান সৌমেনও রেগে আছেন। যখন তাঁর সহকারীরা ফিরল, তখন সবাই ভাবছিল, সৌমেনের চিৎকারে টেকা দায় হবে। সবার কান খাড়া। সৌমেন কিন্তু শুধু বললেন, ‘এত দেরি করলে কেন, কাজ আরম্ভ হতে কত দেরি হলো!’
সৌমেনের এ রকম নরম বকা শুনে অন্য সবার সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ও হেসে উঠলেন!
সূত্র: বিজয়া রায়, আমাদের কথা, পৃষ্ঠা ৩৯৭-৩৯৯
আরও পড়ুন:
সোনার কেল্লার পর ফেলুদা সিরিজের আরেকটি চলচ্চিত্র করতে চাইছিলেন সত্যজিৎ রায়। এবারও ফেলুদা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। জয় বাবা ফেলুনাথ।
সত্যজিৎ রায় চিত্রনাট্য লেখার জন্য ঘর ছাড়লেন, হেলেন কেনিলওয়ার্থ হোটেলে। অল্পদিনের মধ্যেই কাজ সেরে ফিরলেন। ১৯৭৮ সালের ২৪ জানুয়ারি খবর পেলেন, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ডক্টরেট ডিগ্রি দিচ্ছে সত্যজিৎকে। আগে থেকেই এ নিয়ে কথাবার্তা চলছিল, তবে ব্যাপারটা যেন ছড়িয়ে না যায়, তার অনুরোধ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রে একমাত্র চার্লি চ্যাপলিনই পেয়েছিলেন অক্সফোর্ডের ডি-লিট।
জয় বাবা ফেলুনাথের প্রধান চরিত্রে যাঁরা অভিনয় করবেন, তাঁদের ডেকে সত্যজিৎ রায় চিত্রনাট্য পড়লেন। প্রত্যেকের চরিত্র নিখুঁতভাবে কণ্ঠে ফুটিয়ে তুলতেন সত্যজিৎ। সে কারণেই সবাই সহজে নিজের চরিত্রটি বুঝে নিতে পারত।
রুকু চরিত্রে যে অভিনয় করবে, তেমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কাশীর উদ্দেশে রওনা হওয়ার ঠিক আগের দিন একটা ছেলেকে দেখে পছন্দ হলো। এক দিনের মধ্যেই ওর মা-বাবার সঙ্গে কথা বলে মত নিয়ে সবাই রওনা হয়ে গেল কাশী।
এই ছবিতে লালমোহন বাবু আর ষাঁড় নিয়ে একটা দারুণ ঘটনা আছে। কাশীর রাস্তায় রাস্তায় ষাঁড় ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু শুটিংয়ের সময় অলিগলি খুঁজেও ষাঁড় পাওয়া গেল না। তখন ইউনিটের সবাই ছুটল ষাঁড়ের খোঁজে। কিছু সময় পর একটা ষাঁড় নিয়ে হাজির হলো কেউ কেউ। কিন্তু ক্যামেরার সহকারী অনেকেই তখনো ফেরেনি। সত্যজিৎ বসে আছেন গম্ভীর হয়ে। প্রধান ক্যামেরাম্যান সৌমেনও রেগে আছেন। যখন তাঁর সহকারীরা ফিরল, তখন সবাই ভাবছিল, সৌমেনের চিৎকারে টেকা দায় হবে। সবার কান খাড়া। সৌমেন কিন্তু শুধু বললেন, ‘এত দেরি করলে কেন, কাজ আরম্ভ হতে কত দেরি হলো!’
সৌমেনের এ রকম নরম বকা শুনে অন্য সবার সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ও হেসে উঠলেন!
সূত্র: বিজয়া রায়, আমাদের কথা, পৃষ্ঠা ৩৯৭-৩৯৯
আরও পড়ুন:
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫