সেলিনা পারভীন পত্রিকা প্রকাশের কারণে পাকিস্তানিদের রোষানলে পড়েন। এ কারণে তাঁকে জীবনও দিতে হয়। তাঁর প্রকৃত নাম মনোয়ারা বেগম। তিনি অ্যাফিডেভিট করে সেলিনা পারভীন নাম গ্রহণ করেন। জীবনসংগ্রামের প্রয়োজনে তিনি বিভিন্ন পেশায় যুক্ত ছিলেন। ছাত্র পড়িয়ে শুরু করেছিলেন আয়ের পথ। এরপর মিটফোর্ড হাসপাতালে নার্সিং, রোকেয়া হলে মেট্রনের চাকরি, আজিমপুর শিশুসদনে শিক্ষকতা এবং সব শেষ সলিমুল্লাহ এতিমখানায় চাকরি করেন তিনি।
কিন্তু একসময় স্থির হন লেখালেখি ও সাংবাদিকতা পেশায়। সাপ্তাহিক ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদকের সহকারী ছিলেন। এরপর ‘ললনা’ পত্রিকায় কাজ করেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পত্রিকাটি বন্ধ হলে তিনি তাঁর নিজের পত্রিকা ‘শিলালিপি’ প্রকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন। এই পত্রিকার প্রচ্ছদ ও অন্যান্য কাজে গ্রামবাংলার প্রকৃতি ব্যবহার করা হতো, যা পছন্দ ছিল না পাকিস্তানিদের। বাঙালিয়ানা বাদ দিয়ে পাকিস্তানি ভাবধারায় পত্রিকাটি প্রকাশের পরামর্শ দিয়েছিল বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রাও ফরমান আলী।
তবে তিনি রাও ফরমান আলীর শর্ত মানেননি। নিজের মতো করে পত্রিকা প্রকাশের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। শিলালিপির শেষ সংখ্যায় প্রস্তাবিত প্রচ্ছদ ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা, যেটির প্রচ্ছদ করেছিলেন শিল্পী হাশেম খান। তাঁর মৃত্যুর কারণ ছিল এটাই।
একাত্তরের যুদ্ধের সময় তিনি নিজের আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যেও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অর্থ, ওষুধ, শীতবস্ত্র ইত্যাদির ব্যবস্থা করতেন। তিনি একটু শীতকাতুরে ছিলেন। সব সময় পায়ে মোজা আর স্কার্ফ ব্যবহার করতেন। একাত্তরের ১৩ ডিসেম্বর যেদিন বাড়ি থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাঁর পরনে ছিল সাদা শাড়ি, ব্লাউজ, সাদা স্কার্ফ, পায়ে সাদা জুতা ও মোজা। এসব দেখে সহজেই তাঁকে শনাক্ত করে ফেলে আত্মীয়রা। রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে উদ্ধার হওয়া একমাত্র নারী মরদেহটি ছিল সেলিনা পারভীনের।
বাঙালি জাতির মুক্তির প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন। তাঁকে সেই আপসহীনতার মূল্য দিতে হয় প্রাণ দিয়ে।
সেলিনা পারভীন পত্রিকা প্রকাশের কারণে পাকিস্তানিদের রোষানলে পড়েন। এ কারণে তাঁকে জীবনও দিতে হয়। তাঁর প্রকৃত নাম মনোয়ারা বেগম। তিনি অ্যাফিডেভিট করে সেলিনা পারভীন নাম গ্রহণ করেন। জীবনসংগ্রামের প্রয়োজনে তিনি বিভিন্ন পেশায় যুক্ত ছিলেন। ছাত্র পড়িয়ে শুরু করেছিলেন আয়ের পথ। এরপর মিটফোর্ড হাসপাতালে নার্সিং, রোকেয়া হলে মেট্রনের চাকরি, আজিমপুর শিশুসদনে শিক্ষকতা এবং সব শেষ সলিমুল্লাহ এতিমখানায় চাকরি করেন তিনি।
কিন্তু একসময় স্থির হন লেখালেখি ও সাংবাদিকতা পেশায়। সাপ্তাহিক ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদকের সহকারী ছিলেন। এরপর ‘ললনা’ পত্রিকায় কাজ করেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পত্রিকাটি বন্ধ হলে তিনি তাঁর নিজের পত্রিকা ‘শিলালিপি’ প্রকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন। এই পত্রিকার প্রচ্ছদ ও অন্যান্য কাজে গ্রামবাংলার প্রকৃতি ব্যবহার করা হতো, যা পছন্দ ছিল না পাকিস্তানিদের। বাঙালিয়ানা বাদ দিয়ে পাকিস্তানি ভাবধারায় পত্রিকাটি প্রকাশের পরামর্শ দিয়েছিল বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রাও ফরমান আলী।
তবে তিনি রাও ফরমান আলীর শর্ত মানেননি। নিজের মতো করে পত্রিকা প্রকাশের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। শিলালিপির শেষ সংখ্যায় প্রস্তাবিত প্রচ্ছদ ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা, যেটির প্রচ্ছদ করেছিলেন শিল্পী হাশেম খান। তাঁর মৃত্যুর কারণ ছিল এটাই।
একাত্তরের যুদ্ধের সময় তিনি নিজের আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যেও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অর্থ, ওষুধ, শীতবস্ত্র ইত্যাদির ব্যবস্থা করতেন। তিনি একটু শীতকাতুরে ছিলেন। সব সময় পায়ে মোজা আর স্কার্ফ ব্যবহার করতেন। একাত্তরের ১৩ ডিসেম্বর যেদিন বাড়ি থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাঁর পরনে ছিল সাদা শাড়ি, ব্লাউজ, সাদা স্কার্ফ, পায়ে সাদা জুতা ও মোজা। এসব দেখে সহজেই তাঁকে শনাক্ত করে ফেলে আত্মীয়রা। রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে উদ্ধার হওয়া একমাত্র নারী মরদেহটি ছিল সেলিনা পারভীনের।
বাঙালি জাতির মুক্তির প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন। তাঁকে সেই আপসহীনতার মূল্য দিতে হয় প্রাণ দিয়ে।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫