সম্পাদকীয়
ভালো বই বলতে কী বোঝায়? কোন বইকে ভালো বই বলা হবে? নিশ্চয়ই যে বইয়ের সাহিত্যমূল্য আছে, সেটাই ভালো বই। কিংবা যে বইয়ের রয়েছে ঐতিহাসিক মূল্য, সে বইকেও ভালো বই বলা যায়। কিন্তু সত্যিই কি ভালো বই এ রকম সংজ্ঞা মেনে চলে?
সেই কবে থেকে শেক্সপিয়ার তাঁর হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, কিং লিয়র, ওথেলো নিয়ে পৃথিবী কাঁপাচ্ছেন। এখনো দেদার বিক্রি হচ্ছে তাঁর নাটকগুলো। হোমারের ইলিয়াড আর ওডিসিও পড়ছে মানুষ গোগ্রাসে। একজুপেরির ছোট্ট রাজপুত্তুর এখনো সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের একটি। জীবনানন্দ দাশের কবিতার পাঠক আজও কমেনি।
কিন্তু সৈয়দ শামসুল হক ভালো বই সম্পর্কে এক অদ্ভুত কথা জানাচ্ছেন। কমলাপুরে কোনো এক ভোরে ট্রেন ধরতে গিয়ে তিনি পেলেন এই অদ্ভুত তথ্য। স্টেশনে পৌঁছেছিলেন নির্দিষ্ট সময়ের একটু আগেই। শোভনশ্রেণির প্রবেশপথের বাঁ হাতে পড়ে দুটো বইয়ের স্টল। সময় হাতে থাকায় একটি স্টলে দাঁড়িয়ে বই দেখছিলেন তিনি। বই দেখতে দেখতে দোকানিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ধরনের বই বিক্রি হয় বেশি? লোকে কী ধরনের বই চায়?’
দোকানি বললেন, ‘সব ধরনের বইই তো চলে। তবে যে বই বেশি চলে, সে বই তো রাখি না।’
বেশি চলে, অথচ রাখেন না! ব্যাপার কী?
এই কৌতূহলের উত্তরও পেয়ে যান।
দোকানি বলেন, ‘খারাপ বই।’
খারাপ বই মানে পর্নোগ্রাফি। সৈয়দ হকের কৌতূহল বেড়ে যায়। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘মানুষ এই খারাপ বই চায় কীভাবে?’
দোকানি উত্তর দেন, ‘এসে বলে, “ভালো বই” আছে? ভালো বই উচ্চারণ করলেই বোঝা যায়, খারাপ বই চাইছে।’
কৌতূহল মেটাতে পাশের বইয়ের স্টলে গেলেন সৈয়দ হক। তিনিও বললেন একই কথা, ‘লোকে এসে জিজ্ঞেস করে, ভালো বইটই আছে? তার মানে বুঝতে পারছেন না, কোন বই চায়?’
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃৎকলমের টানে, পৃষ্ঠা ৯০-৯১
ভালো বই বলতে কী বোঝায়? কোন বইকে ভালো বই বলা হবে? নিশ্চয়ই যে বইয়ের সাহিত্যমূল্য আছে, সেটাই ভালো বই। কিংবা যে বইয়ের রয়েছে ঐতিহাসিক মূল্য, সে বইকেও ভালো বই বলা যায়। কিন্তু সত্যিই কি ভালো বই এ রকম সংজ্ঞা মেনে চলে?
সেই কবে থেকে শেক্সপিয়ার তাঁর হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, কিং লিয়র, ওথেলো নিয়ে পৃথিবী কাঁপাচ্ছেন। এখনো দেদার বিক্রি হচ্ছে তাঁর নাটকগুলো। হোমারের ইলিয়াড আর ওডিসিও পড়ছে মানুষ গোগ্রাসে। একজুপেরির ছোট্ট রাজপুত্তুর এখনো সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের একটি। জীবনানন্দ দাশের কবিতার পাঠক আজও কমেনি।
কিন্তু সৈয়দ শামসুল হক ভালো বই সম্পর্কে এক অদ্ভুত কথা জানাচ্ছেন। কমলাপুরে কোনো এক ভোরে ট্রেন ধরতে গিয়ে তিনি পেলেন এই অদ্ভুত তথ্য। স্টেশনে পৌঁছেছিলেন নির্দিষ্ট সময়ের একটু আগেই। শোভনশ্রেণির প্রবেশপথের বাঁ হাতে পড়ে দুটো বইয়ের স্টল। সময় হাতে থাকায় একটি স্টলে দাঁড়িয়ে বই দেখছিলেন তিনি। বই দেখতে দেখতে দোকানিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ধরনের বই বিক্রি হয় বেশি? লোকে কী ধরনের বই চায়?’
দোকানি বললেন, ‘সব ধরনের বইই তো চলে। তবে যে বই বেশি চলে, সে বই তো রাখি না।’
বেশি চলে, অথচ রাখেন না! ব্যাপার কী?
এই কৌতূহলের উত্তরও পেয়ে যান।
দোকানি বলেন, ‘খারাপ বই।’
খারাপ বই মানে পর্নোগ্রাফি। সৈয়দ হকের কৌতূহল বেড়ে যায়। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘মানুষ এই খারাপ বই চায় কীভাবে?’
দোকানি উত্তর দেন, ‘এসে বলে, “ভালো বই” আছে? ভালো বই উচ্চারণ করলেই বোঝা যায়, খারাপ বই চাইছে।’
কৌতূহল মেটাতে পাশের বইয়ের স্টলে গেলেন সৈয়দ হক। তিনিও বললেন একই কথা, ‘লোকে এসে জিজ্ঞেস করে, ভালো বইটই আছে? তার মানে বুঝতে পারছেন না, কোন বই চায়?’
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃৎকলমের টানে, পৃষ্ঠা ৯০-৯১
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫