সম্পাদকীয়
সাংবাদিকদের সঙ্গে কবীর সুমনের বিরোধ বহু আগে থেকেই। মাঝে মাঝেই সাংবাদিকদের লেখা পড়ে চটে ওঠেন। তিনি নিশ্চিত হয়ে একবার বলেছিলেন, ‘মনে হয় ঠিক লোকেরা সাংবাদিকতা করছে না।’ কেন তাঁর এমন মনে হয়? কবীর সুমন গুছিয়ে বললেন, ‘একজন সংগীতকারকে তো সংগীত নিয়েই প্রশ্ন করবে। তা নয়, তার বিয়ে, তার বাথরুম—এসব নিয়েই তার আগ্রহ। মূর্খ, বেরসিক! বদমাইশি করে ওরা।’
এ তো মহা ঝামেলা। তাহলে কি সাংবাদিকেরা শিল্পীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু লিখবে না? এ প্রশ্নেও রেগে আগুন তিনি। বললেন, ‘বিচ্ছিরি, বিশ্রী। কই, আমার লেখাপড়া, আমার রেওয়াজ নিয়ে তো কেউ কথা বলে না। সেটা তো কেউ জানতে চাইছে না। শিল্পীকে শিল্পী হিসেবেই দেখতে হবে। শিল্পী কার সঙ্গে ঘুরছে, কার সঙ্গে শুচ্ছে, সেটা সাংবাদিকের দেখার বিষয় নয়।’
নব্বই শতকের অনেকটা সময় সাংবাদিকেরা সুমনকে জ্বালিয়েছেন বলায় তিনি শুধরে দিয়েছিলেন, ‘ঠিক বলেননি। নব্বই দশকে কেন, সাংবাদিকেরা আমাকে এখনো ছাড়েনি। এই বাংলায় আমাকে কেউ পাত্তা দেয় না। আমিও পাত্তা দিই না। খোঁজ রাখি না। এ রাজ্যের সরকার, প্রতিষ্ঠান সবাই আমাকে এড়িয়ে চলে।’
একটা অভিমান কাজ করে সুমনের ভেতরে। আর মনে করেন, রুচিসম্মত কিছু করার ক্ষেত্রে আমরা অভিভাবকহীন হয়ে গেছি, সে কারণেই এত সমস্যা। রাগি মানুষটি কি তাহলে নতুন কিছুই মেনে নিতে পারছেন না? কই, তা তো নয়, তিনি ক্যাসেট বা সিডির পর এখন তো নিজে গান করে ওয়েবসাইটে ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে?
নিজেই বললেন সুমন, ‘পরিবর্তন আসতে বাধ্য। আসবে। মানুষ তার মতো করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে। প্রযুক্তি-বিজ্ঞান সবকিছুই এগিয়ে গেছে। ভাবনার পরিধিও বেড়েছে। তাই আশাও টিকে আছে।’
যাক! তাহলে আশা আছে।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, চোখের আলোয় ২, পৃষ্ঠা ৬১-৬৪
সাংবাদিকদের সঙ্গে কবীর সুমনের বিরোধ বহু আগে থেকেই। মাঝে মাঝেই সাংবাদিকদের লেখা পড়ে চটে ওঠেন। তিনি নিশ্চিত হয়ে একবার বলেছিলেন, ‘মনে হয় ঠিক লোকেরা সাংবাদিকতা করছে না।’ কেন তাঁর এমন মনে হয়? কবীর সুমন গুছিয়ে বললেন, ‘একজন সংগীতকারকে তো সংগীত নিয়েই প্রশ্ন করবে। তা নয়, তার বিয়ে, তার বাথরুম—এসব নিয়েই তার আগ্রহ। মূর্খ, বেরসিক! বদমাইশি করে ওরা।’
এ তো মহা ঝামেলা। তাহলে কি সাংবাদিকেরা শিল্পীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু লিখবে না? এ প্রশ্নেও রেগে আগুন তিনি। বললেন, ‘বিচ্ছিরি, বিশ্রী। কই, আমার লেখাপড়া, আমার রেওয়াজ নিয়ে তো কেউ কথা বলে না। সেটা তো কেউ জানতে চাইছে না। শিল্পীকে শিল্পী হিসেবেই দেখতে হবে। শিল্পী কার সঙ্গে ঘুরছে, কার সঙ্গে শুচ্ছে, সেটা সাংবাদিকের দেখার বিষয় নয়।’
নব্বই শতকের অনেকটা সময় সাংবাদিকেরা সুমনকে জ্বালিয়েছেন বলায় তিনি শুধরে দিয়েছিলেন, ‘ঠিক বলেননি। নব্বই দশকে কেন, সাংবাদিকেরা আমাকে এখনো ছাড়েনি। এই বাংলায় আমাকে কেউ পাত্তা দেয় না। আমিও পাত্তা দিই না। খোঁজ রাখি না। এ রাজ্যের সরকার, প্রতিষ্ঠান সবাই আমাকে এড়িয়ে চলে।’
একটা অভিমান কাজ করে সুমনের ভেতরে। আর মনে করেন, রুচিসম্মত কিছু করার ক্ষেত্রে আমরা অভিভাবকহীন হয়ে গেছি, সে কারণেই এত সমস্যা। রাগি মানুষটি কি তাহলে নতুন কিছুই মেনে নিতে পারছেন না? কই, তা তো নয়, তিনি ক্যাসেট বা সিডির পর এখন তো নিজে গান করে ওয়েবসাইটে ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে?
নিজেই বললেন সুমন, ‘পরিবর্তন আসতে বাধ্য। আসবে। মানুষ তার মতো করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে। প্রযুক্তি-বিজ্ঞান সবকিছুই এগিয়ে গেছে। ভাবনার পরিধিও বেড়েছে। তাই আশাও টিকে আছে।’
যাক! তাহলে আশা আছে।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, চোখের আলোয় ২, পৃষ্ঠা ৬১-৬৪
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫