সম্পাদকীয়
দারুণ পড়ুয়া ছিলেন রণেশ দাশগুপ্ত। দারুণ লেখক তিনি। এবং নিখুঁত বিশ্লেষক। জীবনের প্রয়োজনে বাস করতে হলেও বাংলাদেশটাই ছিল তাঁর নয়নের মণি। ১৯৭৫ সালে কলকাতায় গিয়েছিলেন রিটার্ন টিকিট হাতে। কিন্তু সে সময় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, জেলহত্যা ঘটে যাওয়ায় বন্ধুরা পরামর্শ দিয়েছিল কলকাতায় থেকে যেতে। তিনি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ছিলেন কলকাতায়; কিন্তু মনটা পড়ে ছিল বাংলাদেশে।
কলকাতায় বারবার তাঁর বসবাসের জায়গা বদল হয়। শেষ পর্যন্ত ঠাঁই হয় লেনিন স্কুলে। তিনি অর্থকষ্টে ভুগেছেন; কিন্তু ভারতীয় নাগরিকত্ব নেননি, ভারতীয় সরকারের কাছ থেকে কোনো ভাতা নেননি। ভারত থেকেই বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকার জন্য লিখেছেন। ১৯৯৭ সালের ৪ নভেম্বর কলকাতার পিজি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ আয়োজনে তাঁর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায় ৫ নভেম্বর। ঢাকায়ই অনুষ্ঠিত হয় তাঁর শেষকৃত্য।
কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন তিনি। ছিলেন সাহিত্যানুরাগী। জীবনানন্দ দাশের জ্যাঠাতো ভাই তিনি। সাহিত্য নিয়ে দুই ভাইয়ে আলোচনাও হতো খুব। বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দের কলাকৈবল্যবাদের পথে তিনি হাঁটেননি, তিনি বেছে নিয়েছিলেন মার্ক্সীয় রাজনীতি ও সাহিত্য।
কিন্তু মার্ক্সীয় রাজনীতি নিয়ে পার্টির অন্ধতা তাঁকে পীড়া দিত। পার্টি রক্ষার স্বার্থে তা নিয়ে কিছু বলতেন না। ১৯৮৪ সালে সন্জীদা খাতুন যখন শান্তিনিকেতনে, তখন সেখানে এসেছিলেন রণেশ দাশগুপ্ত। সন্জীদাকে বলেছিলেন, ‘পার্টির সঙ্গে সম্পর্কটা যেন ছাড়বেন না।’ যদিও তখন পার্টির ফাঁকফোকরগুলো ধরা পড়ছে তাঁর চোখে; কিন্তু মমতার কারণে এই অনুরোধ।
১৯৭৪ সালে ‘গণসাহিত্য’ পত্রিকায় মোহাম্মদ ফরহাদ ‘নিয়ন্ত্রিত সংস্কৃতি’ নামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তা ছিল লেখকের স্বাধীনতার সম্পূর্ণ বিরোধী এক লেখা। সন্জীদা খাতুন তার উত্তরে নিজেই লিখেছিলেন। তার আগে রণেশ দাশগুপ্তকে জানিয়েছিলেন তাঁর ক্ষোভের কথা। রণেশ বলেছিলেন, ‘আমাদের তো কোনো কথা জিজ্ঞেস করে না।’ অভিমান করতেন, কিন্তু পার্টির বিরুদ্ধে কিছু বলতেন না তিনি।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, স্মৃতিপটে গুণীজন, পৃষ্ঠা: ৯১-৯২
দারুণ পড়ুয়া ছিলেন রণেশ দাশগুপ্ত। দারুণ লেখক তিনি। এবং নিখুঁত বিশ্লেষক। জীবনের প্রয়োজনে বাস করতে হলেও বাংলাদেশটাই ছিল তাঁর নয়নের মণি। ১৯৭৫ সালে কলকাতায় গিয়েছিলেন রিটার্ন টিকিট হাতে। কিন্তু সে সময় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, জেলহত্যা ঘটে যাওয়ায় বন্ধুরা পরামর্শ দিয়েছিল কলকাতায় থেকে যেতে। তিনি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ছিলেন কলকাতায়; কিন্তু মনটা পড়ে ছিল বাংলাদেশে।
কলকাতায় বারবার তাঁর বসবাসের জায়গা বদল হয়। শেষ পর্যন্ত ঠাঁই হয় লেনিন স্কুলে। তিনি অর্থকষ্টে ভুগেছেন; কিন্তু ভারতীয় নাগরিকত্ব নেননি, ভারতীয় সরকারের কাছ থেকে কোনো ভাতা নেননি। ভারত থেকেই বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকার জন্য লিখেছেন। ১৯৯৭ সালের ৪ নভেম্বর কলকাতার পিজি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ আয়োজনে তাঁর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায় ৫ নভেম্বর। ঢাকায়ই অনুষ্ঠিত হয় তাঁর শেষকৃত্য।
কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন তিনি। ছিলেন সাহিত্যানুরাগী। জীবনানন্দ দাশের জ্যাঠাতো ভাই তিনি। সাহিত্য নিয়ে দুই ভাইয়ে আলোচনাও হতো খুব। বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দের কলাকৈবল্যবাদের পথে তিনি হাঁটেননি, তিনি বেছে নিয়েছিলেন মার্ক্সীয় রাজনীতি ও সাহিত্য।
কিন্তু মার্ক্সীয় রাজনীতি নিয়ে পার্টির অন্ধতা তাঁকে পীড়া দিত। পার্টি রক্ষার স্বার্থে তা নিয়ে কিছু বলতেন না। ১৯৮৪ সালে সন্জীদা খাতুন যখন শান্তিনিকেতনে, তখন সেখানে এসেছিলেন রণেশ দাশগুপ্ত। সন্জীদাকে বলেছিলেন, ‘পার্টির সঙ্গে সম্পর্কটা যেন ছাড়বেন না।’ যদিও তখন পার্টির ফাঁকফোকরগুলো ধরা পড়ছে তাঁর চোখে; কিন্তু মমতার কারণে এই অনুরোধ।
১৯৭৪ সালে ‘গণসাহিত্য’ পত্রিকায় মোহাম্মদ ফরহাদ ‘নিয়ন্ত্রিত সংস্কৃতি’ নামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তা ছিল লেখকের স্বাধীনতার সম্পূর্ণ বিরোধী এক লেখা। সন্জীদা খাতুন তার উত্তরে নিজেই লিখেছিলেন। তার আগে রণেশ দাশগুপ্তকে জানিয়েছিলেন তাঁর ক্ষোভের কথা। রণেশ বলেছিলেন, ‘আমাদের তো কোনো কথা জিজ্ঞেস করে না।’ অভিমান করতেন, কিন্তু পার্টির বিরুদ্ধে কিছু বলতেন না তিনি।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, স্মৃতিপটে গুণীজন, পৃষ্ঠা: ৯১-৯২
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫