সম্পাদকীয়
নিজের লেখা নাটক দেখতে ঢুকছেন লিয়েফ তলস্তয়, কিন্তু তাঁকে থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রবেশদ্বারে। ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে সামনের পথটা, যার অর্থ: এটা ভাই আপনার জায়গা নয়!
কেন এ রকম কাণ্ড ঘটল? খুব সহজ এর উত্তর। জীবনের প্রতি তত দিনে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে গেছে লেখকের, সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন তিনি। যে পোশাক পরছেন, তা রুশ কৃষকদের মতো। সে সময়ের রাশিয়ায় অভিজাত মানুষেরা পোশাক-আশাকেও ছিলেন আলাদা। শুধু শিক্ষালয়ে পড়া বই যে মানুষকে উন্নত মানুষে পরিণত করতে পারে না, যেকোনো মানুষ শুধু অভিজ্ঞতা থেকেই পেতে পারেন জীবনের সর্বোচ্চ পাঠ, সেটা জানতেন তলস্তয়। তাই দ্বাররক্ষীর কাছে নিজের পরিচয় আর দিলেন না। নিঃশব্দে বেরিয়ে এলেন রাস্তায়।
ঘটনাটি ঘটেছিল রাশিয়ার তুলায়। সেখানকার থিয়েটার ঠিক করেছিল তলস্তয়ের লেখা ‘আলোকের বিকশিত ফল’ নাটকটির অভিনয় করবেন। তাঁরা এসে লেখককে অনুরোধ করেছেন, তিনি যেন দেখতে আসেন নাটকটি। কথা দিলেন তলস্তয়। নাটক দেখতে বেরিয়েছিলেন তাঁর সাধারণ পোশাকেই। দ্বাররক্ষী কেন এ রকম চাষাভূষাকে ঢুকতে দেবে? নাটক হলো অভিজাতদের জীবনের অঙ্গ, এখানে চাষাভূষার করার কিছু নেই।
ঢুকতে না পেরে মিলনায়তনের বাইরে একটা বেঞ্চিতে বসে থাকলেন তলস্তয়। এ সময় শহরের এক আমলা এলেন নাটক দেখতে। তিনি বেঞ্চির দিকে তাকিয়ে ভিরমি খেলেন। আরে! এ যে স্বয়ং তলস্তয়! তিনি শশব্যস্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে জিজ্ঞেস করলেন, ‘লিয়েভ নিকোলায়েভিচ, আপনি এখানে কী করছেন?’
তলস্তয় বললেন, ‘বসে আছি।’ তারপর হেসে যোগ করলেন, ‘আমার লেখা নাটকটি দেখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ঢুকতে দিল না।’
এরপর যা হওয়ার তা-ই হলো। লজ্জায় অবনত হয়ে তলস্তয়কে ঘিরে ধরল নাটকের লোকেরা। নিয়ে গেল মিলনায়তনে। সেই দ্বাররক্ষীর কী হয়েছিল, সেটা আর বলে কী হবে?
সূত্র: জেন ইয়ানডেক্স রু
নিজের লেখা নাটক দেখতে ঢুকছেন লিয়েফ তলস্তয়, কিন্তু তাঁকে থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রবেশদ্বারে। ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে সামনের পথটা, যার অর্থ: এটা ভাই আপনার জায়গা নয়!
কেন এ রকম কাণ্ড ঘটল? খুব সহজ এর উত্তর। জীবনের প্রতি তত দিনে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে গেছে লেখকের, সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন তিনি। যে পোশাক পরছেন, তা রুশ কৃষকদের মতো। সে সময়ের রাশিয়ায় অভিজাত মানুষেরা পোশাক-আশাকেও ছিলেন আলাদা। শুধু শিক্ষালয়ে পড়া বই যে মানুষকে উন্নত মানুষে পরিণত করতে পারে না, যেকোনো মানুষ শুধু অভিজ্ঞতা থেকেই পেতে পারেন জীবনের সর্বোচ্চ পাঠ, সেটা জানতেন তলস্তয়। তাই দ্বাররক্ষীর কাছে নিজের পরিচয় আর দিলেন না। নিঃশব্দে বেরিয়ে এলেন রাস্তায়।
ঘটনাটি ঘটেছিল রাশিয়ার তুলায়। সেখানকার থিয়েটার ঠিক করেছিল তলস্তয়ের লেখা ‘আলোকের বিকশিত ফল’ নাটকটির অভিনয় করবেন। তাঁরা এসে লেখককে অনুরোধ করেছেন, তিনি যেন দেখতে আসেন নাটকটি। কথা দিলেন তলস্তয়। নাটক দেখতে বেরিয়েছিলেন তাঁর সাধারণ পোশাকেই। দ্বাররক্ষী কেন এ রকম চাষাভূষাকে ঢুকতে দেবে? নাটক হলো অভিজাতদের জীবনের অঙ্গ, এখানে চাষাভূষার করার কিছু নেই।
ঢুকতে না পেরে মিলনায়তনের বাইরে একটা বেঞ্চিতে বসে থাকলেন তলস্তয়। এ সময় শহরের এক আমলা এলেন নাটক দেখতে। তিনি বেঞ্চির দিকে তাকিয়ে ভিরমি খেলেন। আরে! এ যে স্বয়ং তলস্তয়! তিনি শশব্যস্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে জিজ্ঞেস করলেন, ‘লিয়েভ নিকোলায়েভিচ, আপনি এখানে কী করছেন?’
তলস্তয় বললেন, ‘বসে আছি।’ তারপর হেসে যোগ করলেন, ‘আমার লেখা নাটকটি দেখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ঢুকতে দিল না।’
এরপর যা হওয়ার তা-ই হলো। লজ্জায় অবনত হয়ে তলস্তয়কে ঘিরে ধরল নাটকের লোকেরা। নিয়ে গেল মিলনায়তনে। সেই দ্বাররক্ষীর কী হয়েছিল, সেটা আর বলে কী হবে?
সূত্র: জেন ইয়ানডেক্স রু
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫