সম্পাদকীয়
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ আর ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার ছিলেন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের পুরোনো সহপাঠী। দুজনের মধ্যে মিল ছিল খুব। কোনো এক শনিবারে ড. কাজী মোতাহার হোসেন (তখন তিনি অর্ধেক ছাত্র, অর্ধেক শিক্ষক) গিয়েছিলেন মুন্সিগঞ্জে নিমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা করতে। ফিরতি পথে শুনলেন হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা বেধে গেছে। ঢাকা রেলস্টেশনে পৌঁছে তিনি ফোন করলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে। বললেন নিরাপদে হোস্টেলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার জন্য। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ গেলেন মুহম্মদ হাসানের কাছে।
অনুরোধ করে বললেন, তাঁর গাড়িটা কি রেলস্টেশনে পাঠানো যাবে? হাসান বললেন, ‘না।’
তখন শহীদুল্লাহ গেলেন বন্ধু ড. রমেশের কাছে। রমেশ নিজেই নিজের গাড়ি চালিয়ে রেলস্টেশনে গিয়ে কাজী মোতাহার হোসেনকে তুলে আনলেন এবং পৌঁছে দিলেন শহীদুল্লাহর বাড়ির গেটে।
রমেশের ছোট ছেলেটা একদিন সকাল থেকেই কাঁদছিল। বর্ষাকাল। ঝমঝম বৃষ্টি পড়ছে। কিন্তু কিছুতেই কান্না থামে না ছেলের। মা রেগে গিয়ে ওকে বসিয়ে দিলেন দরজার চৌকাঠের উপরকার প্রশস্ত তাকের ওপর। ছেলেটা তবু কাঁদছে।
হঠাৎ কান্না থামিয়ে বলল, ‘মা, মা, দেখো, একটা ছাতা রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছে!’
মা তাকিয়ে দেখেন, সত্যিই একটা ছাতা হেঁটে আসছে। তবে ছাতাটা বাড়ির কাছাকাছি হওয়ার পর দেখা গেল তাঁর নিচে ভিজে জবজবে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ!
রমেশ বললেন, ‘তুমি এ অবস্থায় এখানে!’
শহীদুল্লাহর জবাব, ‘তোমার ভাগনে প্রবোধের সঙ্গে কথা ছিল সকাল ৮টায় একটা বিষয়ে আলাপ করব।’
রমেশ বললেন, ‘এই বৃষ্টির মধ্যে কেন, দুপুরে এলেই তো পারতে।’
‘তা কেমন করে হয়? আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, পালন না করলে গোনাহগার হব। তা আমি কিছুতেই পারিনে।’
হ্যাঁ, প্রতিশ্রুতি রাখা হলো এই বাড়ির শুকনো কাপড় পরে। কাপড় শুকানোর পর নিজের কাপড় পরে বাড়ি এলেন তিনি।
সূত্র: কাজী মোতাহার হোসেন, স্মৃতিকথা, পৃষ্ঠা ৬২-৬৩
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ আর ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার ছিলেন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের পুরোনো সহপাঠী। দুজনের মধ্যে মিল ছিল খুব। কোনো এক শনিবারে ড. কাজী মোতাহার হোসেন (তখন তিনি অর্ধেক ছাত্র, অর্ধেক শিক্ষক) গিয়েছিলেন মুন্সিগঞ্জে নিমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা করতে। ফিরতি পথে শুনলেন হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা বেধে গেছে। ঢাকা রেলস্টেশনে পৌঁছে তিনি ফোন করলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে। বললেন নিরাপদে হোস্টেলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার জন্য। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ গেলেন মুহম্মদ হাসানের কাছে।
অনুরোধ করে বললেন, তাঁর গাড়িটা কি রেলস্টেশনে পাঠানো যাবে? হাসান বললেন, ‘না।’
তখন শহীদুল্লাহ গেলেন বন্ধু ড. রমেশের কাছে। রমেশ নিজেই নিজের গাড়ি চালিয়ে রেলস্টেশনে গিয়ে কাজী মোতাহার হোসেনকে তুলে আনলেন এবং পৌঁছে দিলেন শহীদুল্লাহর বাড়ির গেটে।
রমেশের ছোট ছেলেটা একদিন সকাল থেকেই কাঁদছিল। বর্ষাকাল। ঝমঝম বৃষ্টি পড়ছে। কিন্তু কিছুতেই কান্না থামে না ছেলের। মা রেগে গিয়ে ওকে বসিয়ে দিলেন দরজার চৌকাঠের উপরকার প্রশস্ত তাকের ওপর। ছেলেটা তবু কাঁদছে।
হঠাৎ কান্না থামিয়ে বলল, ‘মা, মা, দেখো, একটা ছাতা রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছে!’
মা তাকিয়ে দেখেন, সত্যিই একটা ছাতা হেঁটে আসছে। তবে ছাতাটা বাড়ির কাছাকাছি হওয়ার পর দেখা গেল তাঁর নিচে ভিজে জবজবে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ!
রমেশ বললেন, ‘তুমি এ অবস্থায় এখানে!’
শহীদুল্লাহর জবাব, ‘তোমার ভাগনে প্রবোধের সঙ্গে কথা ছিল সকাল ৮টায় একটা বিষয়ে আলাপ করব।’
রমেশ বললেন, ‘এই বৃষ্টির মধ্যে কেন, দুপুরে এলেই তো পারতে।’
‘তা কেমন করে হয়? আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, পালন না করলে গোনাহগার হব। তা আমি কিছুতেই পারিনে।’
হ্যাঁ, প্রতিশ্রুতি রাখা হলো এই বাড়ির শুকনো কাপড় পরে। কাপড় শুকানোর পর নিজের কাপড় পরে বাড়ি এলেন তিনি।
সূত্র: কাজী মোতাহার হোসেন, স্মৃতিকথা, পৃষ্ঠা ৬২-৬৩
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫