সম্পাদকীয়
১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন উদ্বোধক। মূল সভাপতি ছিলেন আবদুল গফুর সিদ্দিকী।
এ রকম একটা বড় সম্মেলন করতে হলে তো অনেক টাকা দরকার। ব্যয় কম নয়। কোথা থেকে জোগাড় হবে টাকা? খুবই নাজুক অবস্থা আয়োজকদের। সে সময় কবি সানাউল হক ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মহকুমা হাকিম। হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদিন একদল সাহিত্যিক রওনা দিলেন নারায়ণগঞ্জে। সানাউল হককে খুলে বললেন সব কথা। বললেন, তুলে দিতে হবে কিছু টাকা।
সানাউল হক বেশ কয়েকটি ফোন করলেন। তারপর উপস্থিত সাহিত্যিকদের বললেন, ‘আপনারা আর পি সাহার কাছে যান। তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন।’
রণদা প্রসাদ সাহার নাম তাঁরা শুনেছেন। দানবীর হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। সানাউল হকের কথামতো তাঁরা গেলেন রণদা প্রসাদ সাহার কাছে। নিজেদের নামধাম বলার পর আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলার আগেই রণদা প্রসাদ সাহা নানা কথা দিয়ে জমিয়ে ফেললেন আড্ডা।
সবার মনে একটা শঙ্কা দেখা দিল। তাহলে কি চা খাইয়েই বিদায় করবেন আর পি সাহা? এ রকম সময়ে বিদায়কালে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন আর পি সাহা। সেই খামে ছিল ৫ হাজার টাকা। সেই আমলে ৫ হাজার মানে অনেক টাকা।
বিদায় নেওয়ার সময় তিনি সবাইকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। সাহিত্য সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পেছনে এই টাকার একটা বড় ভূমিকা ছিল।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, স্মরণ ও বরণ, পৃষ্ঠা ২১–২২
১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন উদ্বোধক। মূল সভাপতি ছিলেন আবদুল গফুর সিদ্দিকী।
এ রকম একটা বড় সম্মেলন করতে হলে তো অনেক টাকা দরকার। ব্যয় কম নয়। কোথা থেকে জোগাড় হবে টাকা? খুবই নাজুক অবস্থা আয়োজকদের। সে সময় কবি সানাউল হক ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মহকুমা হাকিম। হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদিন একদল সাহিত্যিক রওনা দিলেন নারায়ণগঞ্জে। সানাউল হককে খুলে বললেন সব কথা। বললেন, তুলে দিতে হবে কিছু টাকা।
সানাউল হক বেশ কয়েকটি ফোন করলেন। তারপর উপস্থিত সাহিত্যিকদের বললেন, ‘আপনারা আর পি সাহার কাছে যান। তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন।’
রণদা প্রসাদ সাহার নাম তাঁরা শুনেছেন। দানবীর হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। সানাউল হকের কথামতো তাঁরা গেলেন রণদা প্রসাদ সাহার কাছে। নিজেদের নামধাম বলার পর আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলার আগেই রণদা প্রসাদ সাহা নানা কথা দিয়ে জমিয়ে ফেললেন আড্ডা।
সবার মনে একটা শঙ্কা দেখা দিল। তাহলে কি চা খাইয়েই বিদায় করবেন আর পি সাহা? এ রকম সময়ে বিদায়কালে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন আর পি সাহা। সেই খামে ছিল ৫ হাজার টাকা। সেই আমলে ৫ হাজার মানে অনেক টাকা।
বিদায় নেওয়ার সময় তিনি সবাইকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। সাহিত্য সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পেছনে এই টাকার একটা বড় ভূমিকা ছিল।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, স্মরণ ও বরণ, পৃষ্ঠা ২১–২২
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫