সম্পাদকীয়
দেবকুমার বসুর সঙ্গে কবি বেলাল চৌধুরীর দেখা হয়েছিল কলকাতা কফি হাউসেই। গাঁট্টাগোট্টা এই মানুষটি একজন প্রকাশক। চৌরঙ্গী এলাকায় বিশাল বইয়ের দোকান ছিল তাঁর। কিন্তু এক অঘটনের কারণে তিনি সে ব্যবসা ধরে রাখতে পারেননি। তাই ‘বিশ্বজ্ঞান’ নামে একটি প্রকাশনা সংস্থা করেছেন কলেজ স্ট্রিটে। এই প্রকাশক আবার ছিলেন পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি এক কাণ্ড বাধিয়েছিলেন, সে গল্পই করব এখন। সবাই জানে, বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পর অন্যান্য দেশের মতোই ভারতেও মিত্রবাহিনীর সৈন্য সমাগম হতে থাকে।
দেবকুমার বসুরা তখন স্বাস্থ্যচর্চা, ডনবৈঠক, ব্যায়াম করে যাচ্ছেন। সেনাছাউনির বিদেশি সৈন্যদেরও তো ইচ্ছে হয় শহরটা ঘুরে দেখার। তেমন একজন কৃষ্ণাঙ্গ সৈনিক শহর দেখার কৌতূহল নিয়ে ছাউনি থেকে বেরিয়েছিলেন। শহর ঘুরে ঘুরে রাসবিহারী অ্যাভিনিউতে এসে দেখলেন, মূত্রাশয়ের ভার কমিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন পড়েছে। তিনি একটি গাছের আড়ালে জলবিয়োগ করছিলেন।
ঠিক সে সময় পাড়ার এক হার্টথ্রব নারী ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেটা তো আর দেখেননি সেই কৃষ্ণাঙ্গ সৈনিক। কিন্তু তাঁর অজান্তেই সেই নারী পাড়ার ছেলেদের দেখে বলল, ‘দেখছেন, জানোয়ারটার কাণ্ড! আমাকে দেখেই...!’
পাড়ার দাদাবাবুরা মওকা পেয়ে গেলেন। ভদ্রলোক ঘুরতেই তাঁর চোখে-মুখে পড়তে লাগল আপার কাট, লোয়ার কাট, জ্যাব! কে মারছে? মারছেন দেবকুমার, কলকাতার পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা!
কিন্তু সেই ভদ্রলোকের কোনো বিকার নেই। তিনি হেসে বলছেন, ‘খোকা বুঝি বক্সিং লড়ো? তোমরা প্র্যাকটিস করো কোথায়? তোমরা যদি সত্যিই ইন্টারেস্টেড হও, আমাদের ছাউনিতে চলে এসো, শিখিয়ে দেব।’
বলে একটা ভিজিটিং কার্ড এগিয়ে দিলেন। ভিজিটিং কার্ডে লেখা, ‘জার্সি জো ওয়ালকট’।
কার্ড দেখে পাথর হয়ে গেলেন দেবকুমার। বক্সিংয়ে বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন এতক্ষণ তাঁর হাতের ঘুষি হজম করেছেন, সেটা যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না!
সূত্র: বেলাল চৌধুরী, নিরুদ্দেশ হাওয়ায় হাওয়ায়, পৃষ্ঠা: ১৮৫-১৮৮
দেবকুমার বসুর সঙ্গে কবি বেলাল চৌধুরীর দেখা হয়েছিল কলকাতা কফি হাউসেই। গাঁট্টাগোট্টা এই মানুষটি একজন প্রকাশক। চৌরঙ্গী এলাকায় বিশাল বইয়ের দোকান ছিল তাঁর। কিন্তু এক অঘটনের কারণে তিনি সে ব্যবসা ধরে রাখতে পারেননি। তাই ‘বিশ্বজ্ঞান’ নামে একটি প্রকাশনা সংস্থা করেছেন কলেজ স্ট্রিটে। এই প্রকাশক আবার ছিলেন পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি এক কাণ্ড বাধিয়েছিলেন, সে গল্পই করব এখন। সবাই জানে, বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পর অন্যান্য দেশের মতোই ভারতেও মিত্রবাহিনীর সৈন্য সমাগম হতে থাকে।
দেবকুমার বসুরা তখন স্বাস্থ্যচর্চা, ডনবৈঠক, ব্যায়াম করে যাচ্ছেন। সেনাছাউনির বিদেশি সৈন্যদেরও তো ইচ্ছে হয় শহরটা ঘুরে দেখার। তেমন একজন কৃষ্ণাঙ্গ সৈনিক শহর দেখার কৌতূহল নিয়ে ছাউনি থেকে বেরিয়েছিলেন। শহর ঘুরে ঘুরে রাসবিহারী অ্যাভিনিউতে এসে দেখলেন, মূত্রাশয়ের ভার কমিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন পড়েছে। তিনি একটি গাছের আড়ালে জলবিয়োগ করছিলেন।
ঠিক সে সময় পাড়ার এক হার্টথ্রব নারী ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেটা তো আর দেখেননি সেই কৃষ্ণাঙ্গ সৈনিক। কিন্তু তাঁর অজান্তেই সেই নারী পাড়ার ছেলেদের দেখে বলল, ‘দেখছেন, জানোয়ারটার কাণ্ড! আমাকে দেখেই...!’
পাড়ার দাদাবাবুরা মওকা পেয়ে গেলেন। ভদ্রলোক ঘুরতেই তাঁর চোখে-মুখে পড়তে লাগল আপার কাট, লোয়ার কাট, জ্যাব! কে মারছে? মারছেন দেবকুমার, কলকাতার পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা!
কিন্তু সেই ভদ্রলোকের কোনো বিকার নেই। তিনি হেসে বলছেন, ‘খোকা বুঝি বক্সিং লড়ো? তোমরা প্র্যাকটিস করো কোথায়? তোমরা যদি সত্যিই ইন্টারেস্টেড হও, আমাদের ছাউনিতে চলে এসো, শিখিয়ে দেব।’
বলে একটা ভিজিটিং কার্ড এগিয়ে দিলেন। ভিজিটিং কার্ডে লেখা, ‘জার্সি জো ওয়ালকট’।
কার্ড দেখে পাথর হয়ে গেলেন দেবকুমার। বক্সিংয়ে বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন এতক্ষণ তাঁর হাতের ঘুষি হজম করেছেন, সেটা যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না!
সূত্র: বেলাল চৌধুরী, নিরুদ্দেশ হাওয়ায় হাওয়ায়, পৃষ্ঠা: ১৮৫-১৮৮
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫