সম্পাদকীয়
চমকপ্রদ জীবনের একটি অংশে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ চার বছর সংগীত সাধনা করেছিলেন ওস্তাদ আহমেদ আলী খাঁর কাছে। শুরুর সাধনা ছিল গুরুর মন জয় করা। মন জয় করতে না পারলে গুরুর কাছ থেকে প্রকৃত সংগীত শিক্ষা লাভ করা যায় না।কিন্তু গুরুর মন জয় করা কি সোজা কথা?
কী করতে হতো গুরুর মন জয় করার জন্য? প্রতিদিন গুরুর জন্য রান্নার আয়োজন করতে হতো। ফাই-ফরমাশ খাটতে হতো। করতে হতো পদসেবা। এরপর নিজের রান্নাবান্না, খাওয়া। সে এক কঠিন পথ। মুক্তাগাছার মহারাজা বলে দিলেন আলাউদ্দিন খাঁকে যেন শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন আহমেদ আলী খাঁ। কিন্তু শিষ্য হলেই কি আর সংগীত শিক্ষায় ভাগ বসানো যায়?
দীর্ঘ চার বছর ওস্তাদ আহমেদ আলী খাঁর কাছে সরোদ শিখলেন আলাউদ্দিন খাঁ। কিন্তু আলাউদ্দিন খাঁ টের পেতেন, সব শিখিয়েও কী যেন একটা কিছু ওস্তাদ তাঁকে শেখাচ্ছেন না। কোথায় যেন একটা ফাঁক রয়ে যাচ্ছে। আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিশক্তি ছিল প্রখর। কিছু কানে এলে তাকে সুরের রাজ্যে নিয়ে যেতে পারতেন তিনি। গুরুর রেওয়াজ খুব মন দিয়ে শুনতেন। গুরু ঘুমিয়ে গেলে তার অনুশীলন করতেন। এক রাতে আলাউদ্দিন খাঁ রেওয়াজ করছেন, সে সময় ঘুম ভেঙে গেল গুরুর। গুরু অবাক হয়ে দেখলেন তাঁর ঘরানার সুর বাইরের কেউ বাজাচ্ছে! তিনি তো ঘরানার রহস্য বাইরের কাউকে শেখাননি। তাহলে! তিনি নিজের কানে শুনছেন আলাউদ্দিন খাঁর বাদন। সেটা শুনে ক্রোধে অন্ধ হয়ে গেলেন আহমেদ আলী খাঁ। তিনি ডাকলেন আলাউদ্দিন খাঁকে। আলাউদ্দিন বুঝলেন ব্যাপারটা। তিনি গুরুর কাছে গিয়েই গুরুর দুই পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন। গুরু হতভম্ব। আলাউদ্দিন প্রতিজ্ঞা করলেন, গুরুর অনুমতি ছাড়া গুরুর ঘরানার সরগম বাজাবেন না। গুরুর মন গলল। তিনি বুঝলেন, যে এত ভালো বাজাতে পারে, তাকে অনুমতি দেওয়া যেতেই পারে। নিজের সব বিদ্যা শিষ্যকে উজাড় করে ঢেলে দিলেন।
সূত্র: মোবারক হোসেন খাঁ, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও তাঁর পত্রাবলি, পৃষ্ঠা ৭২-৭৩
চমকপ্রদ জীবনের একটি অংশে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ চার বছর সংগীত সাধনা করেছিলেন ওস্তাদ আহমেদ আলী খাঁর কাছে। শুরুর সাধনা ছিল গুরুর মন জয় করা। মন জয় করতে না পারলে গুরুর কাছ থেকে প্রকৃত সংগীত শিক্ষা লাভ করা যায় না।কিন্তু গুরুর মন জয় করা কি সোজা কথা?
কী করতে হতো গুরুর মন জয় করার জন্য? প্রতিদিন গুরুর জন্য রান্নার আয়োজন করতে হতো। ফাই-ফরমাশ খাটতে হতো। করতে হতো পদসেবা। এরপর নিজের রান্নাবান্না, খাওয়া। সে এক কঠিন পথ। মুক্তাগাছার মহারাজা বলে দিলেন আলাউদ্দিন খাঁকে যেন শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন আহমেদ আলী খাঁ। কিন্তু শিষ্য হলেই কি আর সংগীত শিক্ষায় ভাগ বসানো যায়?
দীর্ঘ চার বছর ওস্তাদ আহমেদ আলী খাঁর কাছে সরোদ শিখলেন আলাউদ্দিন খাঁ। কিন্তু আলাউদ্দিন খাঁ টের পেতেন, সব শিখিয়েও কী যেন একটা কিছু ওস্তাদ তাঁকে শেখাচ্ছেন না। কোথায় যেন একটা ফাঁক রয়ে যাচ্ছে। আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিশক্তি ছিল প্রখর। কিছু কানে এলে তাকে সুরের রাজ্যে নিয়ে যেতে পারতেন তিনি। গুরুর রেওয়াজ খুব মন দিয়ে শুনতেন। গুরু ঘুমিয়ে গেলে তার অনুশীলন করতেন। এক রাতে আলাউদ্দিন খাঁ রেওয়াজ করছেন, সে সময় ঘুম ভেঙে গেল গুরুর। গুরু অবাক হয়ে দেখলেন তাঁর ঘরানার সুর বাইরের কেউ বাজাচ্ছে! তিনি তো ঘরানার রহস্য বাইরের কাউকে শেখাননি। তাহলে! তিনি নিজের কানে শুনছেন আলাউদ্দিন খাঁর বাদন। সেটা শুনে ক্রোধে অন্ধ হয়ে গেলেন আহমেদ আলী খাঁ। তিনি ডাকলেন আলাউদ্দিন খাঁকে। আলাউদ্দিন বুঝলেন ব্যাপারটা। তিনি গুরুর কাছে গিয়েই গুরুর দুই পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন। গুরু হতভম্ব। আলাউদ্দিন প্রতিজ্ঞা করলেন, গুরুর অনুমতি ছাড়া গুরুর ঘরানার সরগম বাজাবেন না। গুরুর মন গলল। তিনি বুঝলেন, যে এত ভালো বাজাতে পারে, তাকে অনুমতি দেওয়া যেতেই পারে। নিজের সব বিদ্যা শিষ্যকে উজাড় করে ঢেলে দিলেন।
সূত্র: মোবারক হোসেন খাঁ, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও তাঁর পত্রাবলি, পৃষ্ঠা ৭২-৭৩
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫