সম্পাদকীয়
গিরিডিতে সুনির্মল বসুর শৈশব কেটেছে। তাঁদের বাড়িতে যেসব মাসিক পত্রিকা আসত, তার সবই ছিল বড়দের জন্য। একদিন শ্রাবণ মাসের বৃষ্টির মধ্যে স্কুলের পথে রওনা দিয়েছেন সুনির্মল, এমন সময় তাঁর বাবা বালিশের নিচ থেকে চারখানা পত্রিকা বের করে সুনির্মল বসুর হাতে দিলেন। চোখ বড় বড় করে সুনির্মল দেখলেন, পত্রিকাটির মনকাড়া প্রচ্ছদ, নাম—সন্দেশ। খাবার সন্দেশ পেলেও এতটা আনন্দিত হতেন না তিনি। এ রকম মনকাড়া পত্রিকা বাড়িতে রেখে স্কুলে যেতে হলো! স্কুলে কি আর মন বসে? কখন এসে পত্রিকাটি দেখবেন, তা নিয়ে উন্মুখ হয়ে রইলেন। বাড়ি ফিরে ডুবে গেলেন সন্দেশের ধাঁধা, গল্প, কবিতায়। প্রতিটা সংখ্যাতেই প্রথমে রঙিন ছবি আর ভেতরের গল্পের সঙ্গে, কবিতার সঙ্গে মজার মজার ছবি। শিল্পীর নাম ইউ আর। এর মানে যে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সেটা তিনি জানতেন।
সে বছরই, অর্থাৎ ১৩২০ সনের বৈশাখ থেকে সন্দেশ বের হচ্ছিল। বাবা সুনির্মল বসুকে গ্রাহক করে দিয়েছিলেন। বৈশাখ থেকে শ্রাবণ পর্যন্ত চারখানা সন্দেশ তাই একসঙ্গে এসেছিল। এর পর থেকে মাসপয়লা একটা করে সন্দেশ আসতে লাগল। মাসের শুরুতে সন্দেশের জন্য অপেক্ষার প্রহর যেন কাটতে চাইত না। প্রতিদিন ভোরবেলা ডাকঘরে গিয়ে বাড়িরই একজন লোক চিঠি নিয়ে আসতেন। সেই চিঠির মধ্যে সন্দেশের বাদামি মোড়ক দেখলেই খুশিতে মন ভরে উঠত।
এই গিরিডিতেই সুনির্মলের আরও কয়েকজন বন্ধু সন্দেশের গ্রাহক হলেন। একবার লুকিয়ে লুকিয়ে একটা ধাঁধার উত্তর দিলেন সুনির্মল বসু। পরের সংখ্যায় দেখলেন, উত্তরের মধ্যে নাম বেরিয়েছে, সুনির্মলচন্দ্র বসু, প্রভাতচন্দ্র বসু, নিরূপমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। আরে! তিনজনই তো বন্ধু! গিরিডির ছেলে! জানা গেল, তাঁরা একেকজন অন্যকে অবাক করে দেবেন বলে আলাদা আলাদাভাবে ধাঁধার উত্তর দিয়েছিলেন।
ধাঁধার উত্তরে নাম যখন বের হলো, তখন সুনির্মলের মনে হলো, এবার কিছু লেখা পাঠাই গোপনে। পাঠালেন বটে, কিন্তু সে লেখা আর কোনো দিন সন্দেশে ছাপা হয়নি।
সূত্র: সুনির্মল বসু, জীবনখাতার কয়েক পাতা, পৃষ্ঠা ৬২-৬৪
গিরিডিতে সুনির্মল বসুর শৈশব কেটেছে। তাঁদের বাড়িতে যেসব মাসিক পত্রিকা আসত, তার সবই ছিল বড়দের জন্য। একদিন শ্রাবণ মাসের বৃষ্টির মধ্যে স্কুলের পথে রওনা দিয়েছেন সুনির্মল, এমন সময় তাঁর বাবা বালিশের নিচ থেকে চারখানা পত্রিকা বের করে সুনির্মল বসুর হাতে দিলেন। চোখ বড় বড় করে সুনির্মল দেখলেন, পত্রিকাটির মনকাড়া প্রচ্ছদ, নাম—সন্দেশ। খাবার সন্দেশ পেলেও এতটা আনন্দিত হতেন না তিনি। এ রকম মনকাড়া পত্রিকা বাড়িতে রেখে স্কুলে যেতে হলো! স্কুলে কি আর মন বসে? কখন এসে পত্রিকাটি দেখবেন, তা নিয়ে উন্মুখ হয়ে রইলেন। বাড়ি ফিরে ডুবে গেলেন সন্দেশের ধাঁধা, গল্প, কবিতায়। প্রতিটা সংখ্যাতেই প্রথমে রঙিন ছবি আর ভেতরের গল্পের সঙ্গে, কবিতার সঙ্গে মজার মজার ছবি। শিল্পীর নাম ইউ আর। এর মানে যে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সেটা তিনি জানতেন।
সে বছরই, অর্থাৎ ১৩২০ সনের বৈশাখ থেকে সন্দেশ বের হচ্ছিল। বাবা সুনির্মল বসুকে গ্রাহক করে দিয়েছিলেন। বৈশাখ থেকে শ্রাবণ পর্যন্ত চারখানা সন্দেশ তাই একসঙ্গে এসেছিল। এর পর থেকে মাসপয়লা একটা করে সন্দেশ আসতে লাগল। মাসের শুরুতে সন্দেশের জন্য অপেক্ষার প্রহর যেন কাটতে চাইত না। প্রতিদিন ভোরবেলা ডাকঘরে গিয়ে বাড়িরই একজন লোক চিঠি নিয়ে আসতেন। সেই চিঠির মধ্যে সন্দেশের বাদামি মোড়ক দেখলেই খুশিতে মন ভরে উঠত।
এই গিরিডিতেই সুনির্মলের আরও কয়েকজন বন্ধু সন্দেশের গ্রাহক হলেন। একবার লুকিয়ে লুকিয়ে একটা ধাঁধার উত্তর দিলেন সুনির্মল বসু। পরের সংখ্যায় দেখলেন, উত্তরের মধ্যে নাম বেরিয়েছে, সুনির্মলচন্দ্র বসু, প্রভাতচন্দ্র বসু, নিরূপমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। আরে! তিনজনই তো বন্ধু! গিরিডির ছেলে! জানা গেল, তাঁরা একেকজন অন্যকে অবাক করে দেবেন বলে আলাদা আলাদাভাবে ধাঁধার উত্তর দিয়েছিলেন।
ধাঁধার উত্তরে নাম যখন বের হলো, তখন সুনির্মলের মনে হলো, এবার কিছু লেখা পাঠাই গোপনে। পাঠালেন বটে, কিন্তু সে লেখা আর কোনো দিন সন্দেশে ছাপা হয়নি।
সূত্র: সুনির্মল বসু, জীবনখাতার কয়েক পাতা, পৃষ্ঠা ৬২-৬৪
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫