আজকের পত্রিকা ডেস্ক
কোনো শিল্পীর জীবন নয়টা-পাঁচটা অফিস নয়—এ কথাই বললেন শাবানা আজমি। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে জীবনের শুরুতে ধারণা ছিল কম। কিন্তু ধীরে ধীরে জীবনের পথে হাঁটতে হাঁটতেই চিনে নিলেন খোদ জীবনকেই। শিল্পী যদি খেটে খাওয়া মানুষের চরিত্রে অভিনয় করে ঘরে ফিরে এসির বাতাস খেতে খেতে আরাম করতে থাকে, তাহলে বোঝা যাবে, যে চরিত্রটিতে অভিনয় করা হলো, তার সঙ্গে জীবনের কোনো লেনদেন নেই। সংবেদনশীলতা না থাকলে সে শিল্পী হবে কীভাবে?
গৌতম ঘোষের পার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন শাবানা আজমি। শুটিং হয়েছিল কলকাতার কাছে নৈহাটিতে। উঠেছিলেন সেখানকার গেস্টহাউসে। অভিনয়টা যেন জেনে-বুঝে করেন, সে জন্য ধাঙর একটি মেয়েকে রাখা হয়েছিল শাবানা আজমির কাছে। সে-ই ছিল শাবানার মডেল। ওর জীবনযাপন পদ্ধতি দেখতে দেখতেই চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়া। শুটিংয়ের সময় ধাঙর মেয়েটি একদিন বলল, ‘আমার বাড়িতে বেড়াতে আসবেন?’
‘না’ বলবেন, এমনটা ভাবেননি শাবানা আজমি। তিনি গেলেন সেই মেয়েটির বাড়িতে। দারিদ্র্য কেমন, তা জানা ছিল না শাবানার। দারিদ্র্য যে এতটা করুণ হতে পারে, তা দেখে বিস্মিত হলেন তিনি। একরত্তি একটা ঘর। সেই ঘরে বাস করে আটজন মানুষ। সেখানে বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই। গুমোট। শাবানা ভাবতে থাকেন। এ রকম পরিবেশে থেকেও একটা মেয়ে কী করে এতটা প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠতে পারে! সে হাসে, আনন্দ করে! সুখ যেন তাকে ঘিরে থাকে সব সময়। সে সময়ই শাবানার মনে ঢোকে একটা ভাবনা—এই মানুষগুলোর জন্য যদি কিছু না করে মুম্বাই ফিরে যান তিনি, তাহলে বোঝা যাবে, মেয়েটাকে শুধু অভিনয়ের স্বার্থে ব্যবহারই করেছেন। এটা একধরনের প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা!
নিভারা হক নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মুম্বাইয়ের বস্তিবাসীদের অধিকার আদায়ের কাজ করতে শুরু করলেন শাবানা। এই সংগঠনের হয়ে ৫০ হাজার বস্তিবাসীর জন্য গড়ে তুললেন ঘর। খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে এ থেকেই গাঢ় হলো তাঁর বন্ধুত্ব।
সূত্র: সাজ্জাদ শরিফ, আলাপে ঝালাতে: শিল্পের সাহিত্যের আলাপন
পৃষ্ঠা ১০৮-১০৯
কোনো শিল্পীর জীবন নয়টা-পাঁচটা অফিস নয়—এ কথাই বললেন শাবানা আজমি। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে জীবনের শুরুতে ধারণা ছিল কম। কিন্তু ধীরে ধীরে জীবনের পথে হাঁটতে হাঁটতেই চিনে নিলেন খোদ জীবনকেই। শিল্পী যদি খেটে খাওয়া মানুষের চরিত্রে অভিনয় করে ঘরে ফিরে এসির বাতাস খেতে খেতে আরাম করতে থাকে, তাহলে বোঝা যাবে, যে চরিত্রটিতে অভিনয় করা হলো, তার সঙ্গে জীবনের কোনো লেনদেন নেই। সংবেদনশীলতা না থাকলে সে শিল্পী হবে কীভাবে?
গৌতম ঘোষের পার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন শাবানা আজমি। শুটিং হয়েছিল কলকাতার কাছে নৈহাটিতে। উঠেছিলেন সেখানকার গেস্টহাউসে। অভিনয়টা যেন জেনে-বুঝে করেন, সে জন্য ধাঙর একটি মেয়েকে রাখা হয়েছিল শাবানা আজমির কাছে। সে-ই ছিল শাবানার মডেল। ওর জীবনযাপন পদ্ধতি দেখতে দেখতেই চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়া। শুটিংয়ের সময় ধাঙর মেয়েটি একদিন বলল, ‘আমার বাড়িতে বেড়াতে আসবেন?’
‘না’ বলবেন, এমনটা ভাবেননি শাবানা আজমি। তিনি গেলেন সেই মেয়েটির বাড়িতে। দারিদ্র্য কেমন, তা জানা ছিল না শাবানার। দারিদ্র্য যে এতটা করুণ হতে পারে, তা দেখে বিস্মিত হলেন তিনি। একরত্তি একটা ঘর। সেই ঘরে বাস করে আটজন মানুষ। সেখানে বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই। গুমোট। শাবানা ভাবতে থাকেন। এ রকম পরিবেশে থেকেও একটা মেয়ে কী করে এতটা প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠতে পারে! সে হাসে, আনন্দ করে! সুখ যেন তাকে ঘিরে থাকে সব সময়। সে সময়ই শাবানার মনে ঢোকে একটা ভাবনা—এই মানুষগুলোর জন্য যদি কিছু না করে মুম্বাই ফিরে যান তিনি, তাহলে বোঝা যাবে, মেয়েটাকে শুধু অভিনয়ের স্বার্থে ব্যবহারই করেছেন। এটা একধরনের প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা!
নিভারা হক নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মুম্বাইয়ের বস্তিবাসীদের অধিকার আদায়ের কাজ করতে শুরু করলেন শাবানা। এই সংগঠনের হয়ে ৫০ হাজার বস্তিবাসীর জন্য গড়ে তুললেন ঘর। খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে এ থেকেই গাঢ় হলো তাঁর বন্ধুত্ব।
সূত্র: সাজ্জাদ শরিফ, আলাপে ঝালাতে: শিল্পের সাহিত্যের আলাপন
পৃষ্ঠা ১০৮-১০৯
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫