সম্পাদকীয়
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর জমিদার সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলমান শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন।
তিনি শৈশবে গৃহশিক্ষকের কাছে আরবি, ফারসি ও বাংলায় শিক্ষা লাভ করেন। তাঁর আনুষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু হয় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে এবং পরবর্তীকালে তিনি কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে এফএ পাস করেন।
তাঁর প্রচেষ্টা ও মালিকানায় ১৮৯৫ সালে মিহির ও সুধাকর পত্রিকা একত্র হয়ে সাপ্তাহিক মিহির-সুধাকর নামে আত্মপ্রকাশ করে।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলন থেকে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯১১ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকার কার্জন হলে ল্যান্স লট হেয়ারের বিদায় অনুষ্ঠানে পৃথক দুটি মানপত্রে নবাব সলিমুল্লাহ ও নওয়াব আলী চৌধুরী ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। ১৯১২ সালের ৩১ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জের ঢাকায় অবস্থানকালে নওয়াব আলী চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে মুসলমানদের ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরে। এ লক্ষ্যে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নাথান কমিটি গঠিত হলে তিনি এর অন্যতম সদস্য হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ পিছিয়ে যায়। সে সময় তিনি ইম্পেরিয়াল কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। ১৯১৭ সালের ৭ মার্চ ইম্পেরিয়াল কাউন্সিলের সভায় তিনি বিষয়টি আবার উপস্থাপন করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর তৎপরতার কারণে ভারতীয় আইনসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল অ্যাক্টে পরিণত হয় এবং ২৩ মার্চ তা গভর্নর জেনারেলের অনুমোদন লাভ করে।
১৯২২ সালে তিনি ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি বাবদ ১৬ হাজার টাকার একটি তহবিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে অর্থাভাব দেখা দিলে নিজ জমিদারির একাংশ বন্ধক রেখে এককালীন ৩৫ হাজার টাকা দেন। এ ছাড়া তিনি প্রায় ৩৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে জমি ও আর্থিক সহায়তা দেন।
মানব দরদি এই মানুষটি ১৯২৯ সালের ১৭ এপ্রিল দার্জিলিংয়ের ইডেন ক্যাসেলে মৃত্যুবরণ করেন।
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর জমিদার সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলমান শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন।
তিনি শৈশবে গৃহশিক্ষকের কাছে আরবি, ফারসি ও বাংলায় শিক্ষা লাভ করেন। তাঁর আনুষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু হয় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে এবং পরবর্তীকালে তিনি কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে এফএ পাস করেন।
তাঁর প্রচেষ্টা ও মালিকানায় ১৮৯৫ সালে মিহির ও সুধাকর পত্রিকা একত্র হয়ে সাপ্তাহিক মিহির-সুধাকর নামে আত্মপ্রকাশ করে।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলন থেকে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯১১ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকার কার্জন হলে ল্যান্স লট হেয়ারের বিদায় অনুষ্ঠানে পৃথক দুটি মানপত্রে নবাব সলিমুল্লাহ ও নওয়াব আলী চৌধুরী ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। ১৯১২ সালের ৩১ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জের ঢাকায় অবস্থানকালে নওয়াব আলী চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে মুসলমানদের ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরে। এ লক্ষ্যে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নাথান কমিটি গঠিত হলে তিনি এর অন্যতম সদস্য হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ পিছিয়ে যায়। সে সময় তিনি ইম্পেরিয়াল কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। ১৯১৭ সালের ৭ মার্চ ইম্পেরিয়াল কাউন্সিলের সভায় তিনি বিষয়টি আবার উপস্থাপন করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর তৎপরতার কারণে ভারতীয় আইনসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল অ্যাক্টে পরিণত হয় এবং ২৩ মার্চ তা গভর্নর জেনারেলের অনুমোদন লাভ করে।
১৯২২ সালে তিনি ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি বাবদ ১৬ হাজার টাকার একটি তহবিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে অর্থাভাব দেখা দিলে নিজ জমিদারির একাংশ বন্ধক রেখে এককালীন ৩৫ হাজার টাকা দেন। এ ছাড়া তিনি প্রায় ৩৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে জমি ও আর্থিক সহায়তা দেন।
মানব দরদি এই মানুষটি ১৯২৯ সালের ১৭ এপ্রিল দার্জিলিংয়ের ইডেন ক্যাসেলে মৃত্যুবরণ করেন।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
২১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫