সম্পাদকীয়
মৈত্রেয়ী দেবীর আমন্ত্রণে মংপুতে এসে মন ভরে গিয়েছিল রবীন্দ্রনাথের। তিনি মৈত্রেয়ীকে ডাকতেন ‘অমৃতা’ নামে। অমৃতার সুন্দর সংসার জীবনযাপনে খুশি হয়ে কবি বলেছিলেন, ‘জানো অমৃতা, তোমরা খুব সুন্দর করে সংসার করছ—আমি জানতুম তুমি পারবে।’
এই বয়সে ও রকম একটা জায়গায় থাকতে কবির কষ্ট হবে ভেবে এই সফরের বিরুদ্ধপক্ষ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। কবি কারও মানা শোনেননি। ভেবেছেন, অমৃতা তো অসুবিধা হবে না বলেই কবিকে ডেকেছে।
রবীন্দ্রনাথ এখানে ভোরবেলায় পূর্বমুখী হয়ে দেড় ঘণ্টা বসে থাকতেন। তাঁর চেয়ারের পাশে এসে বসতেন অমৃতা। দশটা–এগারোটার দিকে পথ খুঁজে খুঁজে একদল মানুষ এসে হাজির হয়ে যেত। সে সময় তাদের জন্যও দুপুরের খাওয়ার আয়োজন করতে হয়। নির্জন গ্রামটা কবির আগমনে সরব হয়ে উঠল। উৎসবের মতো গান বাজছে।
অমৃতা নিজের হাতে কবির কাপড় কাচতেন। একদিন অ-বাবু তা দেখে ফেলে (মৈত্রেয়ী দেবী অনেকের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে লিখেছেন, যেন সহজে সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করা না যায়)। মৈত্রেয়ীকে অ-বাবু বললেন, ‘একি! ওরা সব গেল কোথায়।’
অমৃতা বললেন, ‘অ-বাবু আমি রোজ করি, আজও করব।’
‘রোজ কাপড় কাচেন?’
‘হ্যাঁ।’
‘উনি (রবীন্দ্রনাথ) যদি জানতে পারেন, খুব রাগ করবেন।’
‘জানতে পারবেন কেন?’
‘আমি বলে দেব, তাই।’
সত্যিই তিনি বলে দিলেন রবীন্দ্রনাথকে। কাঠগড়ায় অমৃতা।
রবীন্দ্রনাথ চেয়ারে হেলান দিয়ে বই পড়ছিলেন। বইটা মুখের সামনে থেকে নামিয়ে মৃদু হেসে অ-বাবুকে বলছেন, ‘তুই থাম তো অ। তুই এসবের কী বুঝিস? দরজাটা বন্ধ করে দে। তুমি তোমার কাজ করো অমৃতা, আমি তো তাই ভাবি, আমার কাপড় এত ফরসা হয় কী করে আজকাল।’
সূত্র: মৈত্রেয়ী দেবী, মংপুতে রবীন্দ্রনাথ, পৃষ্ঠা ১৭৭-১৭৮
মৈত্রেয়ী দেবীর আমন্ত্রণে মংপুতে এসে মন ভরে গিয়েছিল রবীন্দ্রনাথের। তিনি মৈত্রেয়ীকে ডাকতেন ‘অমৃতা’ নামে। অমৃতার সুন্দর সংসার জীবনযাপনে খুশি হয়ে কবি বলেছিলেন, ‘জানো অমৃতা, তোমরা খুব সুন্দর করে সংসার করছ—আমি জানতুম তুমি পারবে।’
এই বয়সে ও রকম একটা জায়গায় থাকতে কবির কষ্ট হবে ভেবে এই সফরের বিরুদ্ধপক্ষ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। কবি কারও মানা শোনেননি। ভেবেছেন, অমৃতা তো অসুবিধা হবে না বলেই কবিকে ডেকেছে।
রবীন্দ্রনাথ এখানে ভোরবেলায় পূর্বমুখী হয়ে দেড় ঘণ্টা বসে থাকতেন। তাঁর চেয়ারের পাশে এসে বসতেন অমৃতা। দশটা–এগারোটার দিকে পথ খুঁজে খুঁজে একদল মানুষ এসে হাজির হয়ে যেত। সে সময় তাদের জন্যও দুপুরের খাওয়ার আয়োজন করতে হয়। নির্জন গ্রামটা কবির আগমনে সরব হয়ে উঠল। উৎসবের মতো গান বাজছে।
অমৃতা নিজের হাতে কবির কাপড় কাচতেন। একদিন অ-বাবু তা দেখে ফেলে (মৈত্রেয়ী দেবী অনেকের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে লিখেছেন, যেন সহজে সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করা না যায়)। মৈত্রেয়ীকে অ-বাবু বললেন, ‘একি! ওরা সব গেল কোথায়।’
অমৃতা বললেন, ‘অ-বাবু আমি রোজ করি, আজও করব।’
‘রোজ কাপড় কাচেন?’
‘হ্যাঁ।’
‘উনি (রবীন্দ্রনাথ) যদি জানতে পারেন, খুব রাগ করবেন।’
‘জানতে পারবেন কেন?’
‘আমি বলে দেব, তাই।’
সত্যিই তিনি বলে দিলেন রবীন্দ্রনাথকে। কাঠগড়ায় অমৃতা।
রবীন্দ্রনাথ চেয়ারে হেলান দিয়ে বই পড়ছিলেন। বইটা মুখের সামনে থেকে নামিয়ে মৃদু হেসে অ-বাবুকে বলছেন, ‘তুই থাম তো অ। তুই এসবের কী বুঝিস? দরজাটা বন্ধ করে দে। তুমি তোমার কাজ করো অমৃতা, আমি তো তাই ভাবি, আমার কাপড় এত ফরসা হয় কী করে আজকাল।’
সূত্র: মৈত্রেয়ী দেবী, মংপুতে রবীন্দ্রনাথ, পৃষ্ঠা ১৭৭-১৭৮
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫