আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন দুজন মুসলিম লেখক এসেছেন শঙ্খ ঘোষের কাছে। সাহিত্য নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। হঠাৎ করে তাঁদের দিক থেকে উঠে এল এমন একটি বিষয়, যা শুনে অবাক হলেন শঙ্খ ঘোষ।
তাঁরা বলার চেষ্টা করছিলেন, দেশের (ভারতের) হিন্দু সাহিত্যিকেরা কীভাবে একটি বিকৃত তথ্যকে বছরের পর বছর প্রশ্রয় দিয়ে আসছেন। বিষয়টি হলো মুক্তক ছন্দের প্রবর্তন করেছেন নজরুল; কিন্তু সে ছন্দের জন্য প্রবর্তক হিসেবে বাহ্বা পাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ।
কেন তাঁরা তা মনে করছেন?
তাঁরা তখন টেনে এনেছেন রবীন্দ্রনাথের বলাকা ছন্দের কথা। মুক্তক ছন্দ রবীন্দ্রনাথ ব্যবহার করেছেন বলাকা কাব্যগ্রন্থে। অসম পঙক্তির এই ছন্দ-স্রোত অর্থাৎ ছন্দের এই মুক্তিকে নজরুলই এনেছিলেন রবীন্দ্রনাথের আগে–সেটাই বলতে চাইছিলেন তাঁরা।
‘বিদ্রোহী’ কবিতায় বহু আগেই যে ছন্দের এই মুক্তি ঘটিয়েছেন নজরুল। সে কথা কেন অস্বীকার করা হয়, এই ছিল তাঁদের অভিযোগ। শঙ্খ ঘোষ জিজ্ঞেস করলেন, ‘নজরুলকে তো সবাই ভালোবাসে, তাহলে এটা সত্যি হলে মেনে নিতে অসুবিধে হবে কেন?’
‘নজরুল মুসলিম, সেটাই অসুবিধে!’ এ কথা বললেন লেখকদের একজন। ‘ধর্মপরিচয় সবার আগে আসবে কেন? কবি বা কবিতাই তো মনে রাখা দরকার।’ বললেন শঙ্খ ঘোষ।
‘সেটা তো হয় না! মুক্তক ছন্দে যে রবীন্দ্রনাথের আগে নজরুলই লিখেছেন–সেটা তো কেউ বলে না।’ এবার শঙ্খ ঘোষ বলেন, ‘শুনলেন কোথায় কথাটা?’
‘এ তো অনেক দিন আগেই বাংলাদেশে একজন প্রমাণ করে দিয়েছেন!’
বলাকা ছাপা হয়েছিল ১৯১৬ সালে। তখন নজরুল কবিতার জগতে পৌঁছাননি। এ কথাটা নিজেরা ভেবেই দেখেননি লেখকদ্বয়। কথাটা শঙ্খ ঘোষ বলার পর একটু অবাক হয়ে গেলেন লেখকদ্বয়। ‘বিদ্রোহী’ কবিতা যখন লেখা হয়, তখন সেটা বিংশ শতাব্দীর বিশ শতকের শুরু। ১৯২১ সালের ডিসেম্বরে নজরুল সেটা লিখেছেন, এ কথা জানাচ্ছেন কমিউনিস্ট নেতা মুজাফ্ফর আহমদ। বলাকা তার আগেই লেখা হয়ে গেছে। সুতরাং যে তথ্য নিয়ে তাঁরা এসেছিলেন, সেটা যে ভুল, সে কথা বুঝতে পারলেন তখন।
মজার ব্যাপার হলো, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের মধ্যে এই ধরনের সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছিল না। তাদের সাম্প্রদায়িক কবি করার চেষ্টা করেছে মাথামোটা মানুষের দল।
সূত্র: শঙ্খ ঘোষ, ভিন্ন রুচির অধিকার, পৃষ্ঠা: ৮৩-৯৪
পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন দুজন মুসলিম লেখক এসেছেন শঙ্খ ঘোষের কাছে। সাহিত্য নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। হঠাৎ করে তাঁদের দিক থেকে উঠে এল এমন একটি বিষয়, যা শুনে অবাক হলেন শঙ্খ ঘোষ।
তাঁরা বলার চেষ্টা করছিলেন, দেশের (ভারতের) হিন্দু সাহিত্যিকেরা কীভাবে একটি বিকৃত তথ্যকে বছরের পর বছর প্রশ্রয় দিয়ে আসছেন। বিষয়টি হলো মুক্তক ছন্দের প্রবর্তন করেছেন নজরুল; কিন্তু সে ছন্দের জন্য প্রবর্তক হিসেবে বাহ্বা পাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ।
কেন তাঁরা তা মনে করছেন?
তাঁরা তখন টেনে এনেছেন রবীন্দ্রনাথের বলাকা ছন্দের কথা। মুক্তক ছন্দ রবীন্দ্রনাথ ব্যবহার করেছেন বলাকা কাব্যগ্রন্থে। অসম পঙক্তির এই ছন্দ-স্রোত অর্থাৎ ছন্দের এই মুক্তিকে নজরুলই এনেছিলেন রবীন্দ্রনাথের আগে–সেটাই বলতে চাইছিলেন তাঁরা।
‘বিদ্রোহী’ কবিতায় বহু আগেই যে ছন্দের এই মুক্তি ঘটিয়েছেন নজরুল। সে কথা কেন অস্বীকার করা হয়, এই ছিল তাঁদের অভিযোগ। শঙ্খ ঘোষ জিজ্ঞেস করলেন, ‘নজরুলকে তো সবাই ভালোবাসে, তাহলে এটা সত্যি হলে মেনে নিতে অসুবিধে হবে কেন?’
‘নজরুল মুসলিম, সেটাই অসুবিধে!’ এ কথা বললেন লেখকদের একজন। ‘ধর্মপরিচয় সবার আগে আসবে কেন? কবি বা কবিতাই তো মনে রাখা দরকার।’ বললেন শঙ্খ ঘোষ।
‘সেটা তো হয় না! মুক্তক ছন্দে যে রবীন্দ্রনাথের আগে নজরুলই লিখেছেন–সেটা তো কেউ বলে না।’ এবার শঙ্খ ঘোষ বলেন, ‘শুনলেন কোথায় কথাটা?’
‘এ তো অনেক দিন আগেই বাংলাদেশে একজন প্রমাণ করে দিয়েছেন!’
বলাকা ছাপা হয়েছিল ১৯১৬ সালে। তখন নজরুল কবিতার জগতে পৌঁছাননি। এ কথাটা নিজেরা ভেবেই দেখেননি লেখকদ্বয়। কথাটা শঙ্খ ঘোষ বলার পর একটু অবাক হয়ে গেলেন লেখকদ্বয়। ‘বিদ্রোহী’ কবিতা যখন লেখা হয়, তখন সেটা বিংশ শতাব্দীর বিশ শতকের শুরু। ১৯২১ সালের ডিসেম্বরে নজরুল সেটা লিখেছেন, এ কথা জানাচ্ছেন কমিউনিস্ট নেতা মুজাফ্ফর আহমদ। বলাকা তার আগেই লেখা হয়ে গেছে। সুতরাং যে তথ্য নিয়ে তাঁরা এসেছিলেন, সেটা যে ভুল, সে কথা বুঝতে পারলেন তখন।
মজার ব্যাপার হলো, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের মধ্যে এই ধরনের সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছিল না। তাদের সাম্প্রদায়িক কবি করার চেষ্টা করেছে মাথামোটা মানুষের দল।
সূত্র: শঙ্খ ঘোষ, ভিন্ন রুচির অধিকার, পৃষ্ঠা: ৮৩-৯৪
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫