সম্পাদকীয়
বিশ্বসাহিত্য ইতিহাসের দিকে যখনই যাবে চোখ, দেখা যাবে এমন কয়েকটি নাম, যে নামগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে একাকিত্ব কিংবা মানসিক চাপ এবং সেই বিষণ্নতা থেকে উদ্ধারের উপায় তারা খুঁজেছেন আত্মহত্যার মধ্যে। এ রকম কয়েকটি নাম এখানে উল্লেখ করা জরুরি। আর্নেস্ট হেমিংওয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। অথচ তিনিই কিনা একসময় বলেছিলেন, ‘মানুষ কখনোই পরাজয় বরণ করে না। প্রয়োজনে লড়াই করতে করতে সে ধ্বংস হয়ে যাবে।’
অ্যাডগার অ্যালান পো একদিন কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে পড়েছিলেন বাড়ি থেকে। ছয় দিন পর বাল্টিমোরের রাস্তায় পাওয়া গিয়েছিল তাঁর নিথর দেহ। আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। আত্মহত্যা করেছিলেন ভার্জিনিয়া উলফ, ভ্লাদিমির মায়াকোভ্স্কি, সিলভিয়া প্লাথ।
বিষণ্নতার সময় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদও আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। তখন জীবনের কোনো অর্থ খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। মরেই যেতেন, কিন্তু তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল হেরমান হেসের ‘সিদ্ধার্থ’ বইটি। ওই বইয়ে হঠাৎ তিনি পেয়ে গেলেন জীবনচক্রের সন্ধান। সমুদ্রের পানি হচ্ছে বাষ্প, বাষ্প হচ্ছে মেঘ, মেঘ হচ্ছে বৃষ্টি, বৃষ্টির পানি নদীর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সমুদ্রে, পানি তার রূপ বদলাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে না। তার জীবনচক্র এভাবেই আবর্তিত হচ্ছে।
তখন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ভাবলেন, ‘আমি হয়তো মরে যাব, কিন্তু আমার তো মৃত্যু হবে না।’ তাঁর মৃত শরীর থেকে রস শুষে জন্মাবে একটা গাছ, তাতে ফুটবে ফুল, ধরবে ফল, তারা মারা গেলে তাদের শরীর থেকে জন্ম নেবে অন্য কিছু। নানারূপে পরিবর্তিত হয়েও তো থেকে যাবেন তিনি! এই কথাগুলো পড়ে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ভাবলেন, সবকিছুই তাহলে ফিরে ফিরে আসে। আত্মহত্যা করার যে ভাবনা এসেছিল মাথায়, তা সরিয়ে দিল এই নতুন ভাবনা। তিনি ফিরে এলেন নিজের মধ্যে।
সূত্র: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৪৮-১৪৯
বিশ্বসাহিত্য ইতিহাসের দিকে যখনই যাবে চোখ, দেখা যাবে এমন কয়েকটি নাম, যে নামগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে একাকিত্ব কিংবা মানসিক চাপ এবং সেই বিষণ্নতা থেকে উদ্ধারের উপায় তারা খুঁজেছেন আত্মহত্যার মধ্যে। এ রকম কয়েকটি নাম এখানে উল্লেখ করা জরুরি। আর্নেস্ট হেমিংওয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। অথচ তিনিই কিনা একসময় বলেছিলেন, ‘মানুষ কখনোই পরাজয় বরণ করে না। প্রয়োজনে লড়াই করতে করতে সে ধ্বংস হয়ে যাবে।’
অ্যাডগার অ্যালান পো একদিন কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে পড়েছিলেন বাড়ি থেকে। ছয় দিন পর বাল্টিমোরের রাস্তায় পাওয়া গিয়েছিল তাঁর নিথর দেহ। আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। আত্মহত্যা করেছিলেন ভার্জিনিয়া উলফ, ভ্লাদিমির মায়াকোভ্স্কি, সিলভিয়া প্লাথ।
বিষণ্নতার সময় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদও আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। তখন জীবনের কোনো অর্থ খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। মরেই যেতেন, কিন্তু তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল হেরমান হেসের ‘সিদ্ধার্থ’ বইটি। ওই বইয়ে হঠাৎ তিনি পেয়ে গেলেন জীবনচক্রের সন্ধান। সমুদ্রের পানি হচ্ছে বাষ্প, বাষ্প হচ্ছে মেঘ, মেঘ হচ্ছে বৃষ্টি, বৃষ্টির পানি নদীর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সমুদ্রে, পানি তার রূপ বদলাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে না। তার জীবনচক্র এভাবেই আবর্তিত হচ্ছে।
তখন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ভাবলেন, ‘আমি হয়তো মরে যাব, কিন্তু আমার তো মৃত্যু হবে না।’ তাঁর মৃত শরীর থেকে রস শুষে জন্মাবে একটা গাছ, তাতে ফুটবে ফুল, ধরবে ফল, তারা মারা গেলে তাদের শরীর থেকে জন্ম নেবে অন্য কিছু। নানারূপে পরিবর্তিত হয়েও তো থেকে যাবেন তিনি! এই কথাগুলো পড়ে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ভাবলেন, সবকিছুই তাহলে ফিরে ফিরে আসে। আত্মহত্যা করার যে ভাবনা এসেছিল মাথায়, তা সরিয়ে দিল এই নতুন ভাবনা। তিনি ফিরে এলেন নিজের মধ্যে।
সূত্র: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৪৮-১৪৯
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫