সম্পাদকীয়
ত্রিশের দশকের রবীন্দ্রকাব্যধারাবিরোধী পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে অন্যতম একজন কবি ছিলেন সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁর জন্ম ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতার হাতীবাগানে। তাঁর পিতা হীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন একজন দার্শনিক। আর স্ত্রী ছিলেন প্রসিদ্ধ গায়িকা রাজেশ্বরী বাসুদেব।
সুধীন্দ্রনাথ কাশীর থিয়সফিক্যাল হাইস্কুলে পড়াশোনা শেষ করে কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি স্কুল থেকে এন্ট্রান্স এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে আইএ ও বিএ পাস করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে ইংরেজি বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন, কিন্তু পাঠ অসমাপ্ত রেখেই আবার ল’ কলেজে ভর্তি হন। সেখানেও পড়াশোনা শেষ করেননি।
পিতার ল’ ফার্মে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। পরে কিছুদিন ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতেও চাকরি করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে ১৯২৯ সালে প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান ভ্রমণ করেন। ১৯৩১ সাল থেকে দীর্ঘ ১২ বছর তিনি পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তারপর ১৯৪৫-৪৯ সাল পর্যন্ত স্টেটসম্যান পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। প্রমথ চৌধুরীর সবুজপত্র পত্রিকার সঙ্গেও ছিল তাঁর সম্পৃক্ততা। ১৯৫৭-১৯৫৯ সাল পর্যন্ত তিনি আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যের বিভাগ শুরু হলে তিনি কবি বুদ্ধদেব বসুর আমন্ত্রণে সেখানে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
সুধীন্দ্রনাথ দত্তের কবিতায় ফরাসি কবি মালার্মের প্রতীকী কাব্যাদর্শ প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বাংলা গদ্যের আধুনিক রূপেরও প্রবর্তক। তাঁর কবিতায় আধ্যাত্মিকতায়
মুক্তির কথা নেই। বিংশ শতাব্দীর মানুষের নানা সংশয়, হতাশা ও বিশ্বাসহীনতা তাঁর কবিতার অন্যতম দিক।
মনন ও বৈশ্বিক চেতনার কারণে সুধীন্দ্রনাথের কবিতা বাংলা কাব্যে স্বতন্ত্র স্থান লাভ করেছে। তবে কবিতায় জটিল ভাব প্রকাশের কারণে তিনি খুব বেশি পাঠকপ্রিয়তা পাননি। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগুলো হলো কাব্য তন্বী, অর্কেস্ট্রা, ক্রন্দসী, উত্তরফাল্গুনী, সংবর্ত, দশমী প্রভৃতি। লিখেছেন গদ্যগ্রন্থ—স্বগত, কুলায় ও কালপুরুষ। এ ছাড়া ‘প্রতিধ্বনি’ নামে তাঁর একটি অনুবাদগ্রন্থও আছে।
তিনি ১৯৬০ সালের ২৫ জুন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
ত্রিশের দশকের রবীন্দ্রকাব্যধারাবিরোধী পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে অন্যতম একজন কবি ছিলেন সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁর জন্ম ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতার হাতীবাগানে। তাঁর পিতা হীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন একজন দার্শনিক। আর স্ত্রী ছিলেন প্রসিদ্ধ গায়িকা রাজেশ্বরী বাসুদেব।
সুধীন্দ্রনাথ কাশীর থিয়সফিক্যাল হাইস্কুলে পড়াশোনা শেষ করে কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি স্কুল থেকে এন্ট্রান্স এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে আইএ ও বিএ পাস করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে ইংরেজি বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন, কিন্তু পাঠ অসমাপ্ত রেখেই আবার ল’ কলেজে ভর্তি হন। সেখানেও পড়াশোনা শেষ করেননি।
পিতার ল’ ফার্মে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। পরে কিছুদিন ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতেও চাকরি করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে ১৯২৯ সালে প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান ভ্রমণ করেন। ১৯৩১ সাল থেকে দীর্ঘ ১২ বছর তিনি পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তারপর ১৯৪৫-৪৯ সাল পর্যন্ত স্টেটসম্যান পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। প্রমথ চৌধুরীর সবুজপত্র পত্রিকার সঙ্গেও ছিল তাঁর সম্পৃক্ততা। ১৯৫৭-১৯৫৯ সাল পর্যন্ত তিনি আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যের বিভাগ শুরু হলে তিনি কবি বুদ্ধদেব বসুর আমন্ত্রণে সেখানে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
সুধীন্দ্রনাথ দত্তের কবিতায় ফরাসি কবি মালার্মের প্রতীকী কাব্যাদর্শ প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বাংলা গদ্যের আধুনিক রূপেরও প্রবর্তক। তাঁর কবিতায় আধ্যাত্মিকতায়
মুক্তির কথা নেই। বিংশ শতাব্দীর মানুষের নানা সংশয়, হতাশা ও বিশ্বাসহীনতা তাঁর কবিতার অন্যতম দিক।
মনন ও বৈশ্বিক চেতনার কারণে সুধীন্দ্রনাথের কবিতা বাংলা কাব্যে স্বতন্ত্র স্থান লাভ করেছে। তবে কবিতায় জটিল ভাব প্রকাশের কারণে তিনি খুব বেশি পাঠকপ্রিয়তা পাননি। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগুলো হলো কাব্য তন্বী, অর্কেস্ট্রা, ক্রন্দসী, উত্তরফাল্গুনী, সংবর্ত, দশমী প্রভৃতি। লিখেছেন গদ্যগ্রন্থ—স্বগত, কুলায় ও কালপুরুষ। এ ছাড়া ‘প্রতিধ্বনি’ নামে তাঁর একটি অনুবাদগ্রন্থও আছে।
তিনি ১৯৬০ সালের ২৫ জুন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
২১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
০৭ আগস্ট ২০২৫বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
০৬ আগস্ট ২০২৫