ডেস্ক রিপোর্ট
আজকাল ‘মানব কম্পিউটার’ শব্দটি আমাদের তেমন চমকিত করে না। কিন্তু ষাটের দশকে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে সে অভিধাটি ছিল রীতিমতো রোমাঞ্চকর। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারোনটিকস-বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটিতে মানব কম্পিউটার হিসেবে কাজ করত যমজ বোন।
১৯৫৫ সালের কোনো একদিন স্থানীয় সংবাদপত্রে তাদের নিয়ে একটি লেখা প্রকাশিত হয়। সেই লেখা পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের অ্যানি ইজলি নামের এক মেয়ে এবং পরদিনই সে পদের জন্য চাকরির আবেদন করে বসেন তিনি। তারপরের গল্প জড়িয়ে যায় ইতিহাসের অংশ হিসেবে।
১৯৩৩ সালের ২৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের বার্মিংহামে জন্ম নেওয়া আফ্রিকান আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী অ্যানি ইজলি ছিলেন দক্ষ গণিতবিদ। তিনি নাসার রকেট সিস্টেম ও শক্তি প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। অ্যানি পৃথিবীর ওজোনস্তরে রকেট উৎক্ষেপণের প্রভাববিষয়ক গবেষণার কাজেও জড়িত ছিলেন। তিনি বিকল্প শক্তি, ব্যাটারি সঞ্চয় স্থানসহ বিভিন্ন গবেষণার জন্য কোড তৈরি এবং পরীক্ষামূলক বিভিন্ন কাজ করেছিলেন। তিনি একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিসেবে অসংখ্য প্রোগ্রামে অবদান রেখেছেন। আউটরিচ প্রোগ্রামে তাঁর উৎসাহী অংশগ্রহণ অনেককে অনুপ্রাণিত করেছে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের ক্ষেত্রে নারীসহ অন্য বর্ণের মানুষের জন্য বিভিন্ন বাধা ভেঙে সহকর্মীদের কাছে প্রশংসা ও সম্মান কুড়ান অ্যানি।
১৯৫৫ সালে ইজলি ‘মানব কম্পিউটার’ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তাঁর কাজ ছিল সমস্যা বিশ্লেষণ করা এবং হাতে গণনা করা। তাঁর প্রথম দিকের কাজ ছিল নতুন পরিকল্পিত প্লাম ব্রুক রিঅ্যাক্টরের জন্য সিমুলেশন চালানো। যখন তিনি নিয়োগ পান, সে সময় ল্যাবে ছিল মাত্র তিনজন আফ্রিকান-আমেরিকান কর্মচারী।
যখন মানুষ কম্পিউটারের কারণে চাকরি হারাচ্ছিল, তখন ইজলি প্রযুক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিকশিত হয়েছিলেন। তিনি নাসার বেশ কয়েকটি প্রোগ্রামের জন্য ফর্মুলা ট্রান্সলেটিং সিস্টেম ফরট্রান এবং সিম্বলিক অপটিমাল অ্যাসেম্বলি প্রোগ্রামের মতো ভাষা ব্যবহার করে দক্ষ কম্পিউটার প্রোগ্রামার হয়ে ওঠেন। তিনি শক্তি-রূপান্তর সিস্টেমের গবেষণায় ব্যবহৃত কোড তৈরি ও প্রয়োগ করেন।
সত্তরের দশকে ইজলি ক্লিভল্যান্ড স্টেট থেকে গণিতে ডিগ্রি নেওয়ার জন্য স্কুলে ফিরে আসেন। পুরো সময় কাজ করার সঙ্গে তাঁর বেশির ভাগ কোর্সওয়ার্ক শেষ করেন। ইজলি নাসায় তাঁর আউটরিচের কাজে এবং স্পিকার ব্যুরোতে অত্যন্ত সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের নাসার কাজ সম্পর্কে উৎসাহী এবং নারী ও সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের স্টেম ক্যারিয়ার বিবেচনা করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন তিনি।
প্রযুক্তিগত ও প্রচার কার্যক্রম ছাড়া ইজলি ছিলেন স্কি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সেন্টার অ্যাথলেটিকস এবং ব্যবসা ও পেশাগত মহিলা সমিতিতে খুব সক্রিয়। কর্মজীবনে তাঁর দৃঢ়তা, শৃঙ্খলা ও উদারতার অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে।
ইজলি ১৯৮৯ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন। কিন্তু তিনি স্পিকারস ব্যুরো এবং নারীদের জন্য ব্যবসা ও পেশাগত বিভিন্ন সমিতিজাতীয় সংগঠনে সক্রিয় ছিলেন। অ্যানি ইজলি ২০১১ সালের ২৫ জুন মারা যান।
আজকাল ‘মানব কম্পিউটার’ শব্দটি আমাদের তেমন চমকিত করে না। কিন্তু ষাটের দশকে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে সে অভিধাটি ছিল রীতিমতো রোমাঞ্চকর। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারোনটিকস-বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটিতে মানব কম্পিউটার হিসেবে কাজ করত যমজ বোন।
১৯৫৫ সালের কোনো একদিন স্থানীয় সংবাদপত্রে তাদের নিয়ে একটি লেখা প্রকাশিত হয়। সেই লেখা পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের অ্যানি ইজলি নামের এক মেয়ে এবং পরদিনই সে পদের জন্য চাকরির আবেদন করে বসেন তিনি। তারপরের গল্প জড়িয়ে যায় ইতিহাসের অংশ হিসেবে।
১৯৩৩ সালের ২৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের বার্মিংহামে জন্ম নেওয়া আফ্রিকান আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী অ্যানি ইজলি ছিলেন দক্ষ গণিতবিদ। তিনি নাসার রকেট সিস্টেম ও শক্তি প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। অ্যানি পৃথিবীর ওজোনস্তরে রকেট উৎক্ষেপণের প্রভাববিষয়ক গবেষণার কাজেও জড়িত ছিলেন। তিনি বিকল্প শক্তি, ব্যাটারি সঞ্চয় স্থানসহ বিভিন্ন গবেষণার জন্য কোড তৈরি এবং পরীক্ষামূলক বিভিন্ন কাজ করেছিলেন। তিনি একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিসেবে অসংখ্য প্রোগ্রামে অবদান রেখেছেন। আউটরিচ প্রোগ্রামে তাঁর উৎসাহী অংশগ্রহণ অনেককে অনুপ্রাণিত করেছে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের ক্ষেত্রে নারীসহ অন্য বর্ণের মানুষের জন্য বিভিন্ন বাধা ভেঙে সহকর্মীদের কাছে প্রশংসা ও সম্মান কুড়ান অ্যানি।
১৯৫৫ সালে ইজলি ‘মানব কম্পিউটার’ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তাঁর কাজ ছিল সমস্যা বিশ্লেষণ করা এবং হাতে গণনা করা। তাঁর প্রথম দিকের কাজ ছিল নতুন পরিকল্পিত প্লাম ব্রুক রিঅ্যাক্টরের জন্য সিমুলেশন চালানো। যখন তিনি নিয়োগ পান, সে সময় ল্যাবে ছিল মাত্র তিনজন আফ্রিকান-আমেরিকান কর্মচারী।
যখন মানুষ কম্পিউটারের কারণে চাকরি হারাচ্ছিল, তখন ইজলি প্রযুক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিকশিত হয়েছিলেন। তিনি নাসার বেশ কয়েকটি প্রোগ্রামের জন্য ফর্মুলা ট্রান্সলেটিং সিস্টেম ফরট্রান এবং সিম্বলিক অপটিমাল অ্যাসেম্বলি প্রোগ্রামের মতো ভাষা ব্যবহার করে দক্ষ কম্পিউটার প্রোগ্রামার হয়ে ওঠেন। তিনি শক্তি-রূপান্তর সিস্টেমের গবেষণায় ব্যবহৃত কোড তৈরি ও প্রয়োগ করেন।
সত্তরের দশকে ইজলি ক্লিভল্যান্ড স্টেট থেকে গণিতে ডিগ্রি নেওয়ার জন্য স্কুলে ফিরে আসেন। পুরো সময় কাজ করার সঙ্গে তাঁর বেশির ভাগ কোর্সওয়ার্ক শেষ করেন। ইজলি নাসায় তাঁর আউটরিচের কাজে এবং স্পিকার ব্যুরোতে অত্যন্ত সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের নাসার কাজ সম্পর্কে উৎসাহী এবং নারী ও সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের স্টেম ক্যারিয়ার বিবেচনা করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন তিনি।
প্রযুক্তিগত ও প্রচার কার্যক্রম ছাড়া ইজলি ছিলেন স্কি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সেন্টার অ্যাথলেটিকস এবং ব্যবসা ও পেশাগত মহিলা সমিতিতে খুব সক্রিয়। কর্মজীবনে তাঁর দৃঢ়তা, শৃঙ্খলা ও উদারতার অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে।
ইজলি ১৯৮৯ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন। কিন্তু তিনি স্পিকারস ব্যুরো এবং নারীদের জন্য ব্যবসা ও পেশাগত বিভিন্ন সমিতিজাতীয় সংগঠনে সক্রিয় ছিলেন। অ্যানি ইজলি ২০১১ সালের ২৫ জুন মারা যান।
গত বছর আমার বিয়ে হয় ছেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। বিয়ের কয়েক দিন পরে সে আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আর কখনো খোঁজখবর নেয়নি। তখন আমাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিল। কিন্তু তখন আমার স্বামীর বয়স কম ছিল। তার বিরুদ্ধে আমি মামলা করতে চাইলে কাজি সাহেব আমাদের বিয়ের কাবিলনামা অস্বীকার করেন। তখন আমি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আই
০৬ আগস্ট ২০২৫গ্রহ-নক্ষত্র আর মহাবিশ্বের মতিগতি বোঝার জন্য রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিদ থাকবেন না, তা কি হয়? সে কারণে প্রায় ৩৫০ বছর আগে, ১৬৭৫ সালে রাজা দ্বিতীয় চার্লস ব্রিটিশ রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীকে নিয়োগ দেন। এই মর্যাদাপূর্ণ পদকে বলা হয় ‘অ্যাস্ট্রোনমার রয়্যাল’।
০৬ আগস্ট ২০২৫চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ জান্নাতুল মাওয়া। তাঁকে অনেকে চেনে অনলাইনে চাঁদপুরের ইলিশ ও নদীর সুস্বাদু তাজা মাছ বিক্রির জন্য। এখন তিনি ‘ইলিশ রানি’ নামে বেশ পরিচিত। জীবন তাঁকে টেনে এনেছে এখানে।
০৬ আগস্ট ২০২৫চলতি বছরের জুলাই মাসে ২৩৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ৮৬ জন কন্যা ও ১৪৯ জন নারী। মহিলা পরিষদের দেওয়া মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭৯০ জন নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতা...
০৬ আগস্ট ২০২৫