সমীর মল্লিক
প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনি কমিউনিটি সার্ভিস ক্যাটাগরিতে আইএডব্লিউপি পুরস্কার পেয়েছেন। এ-সম্পর্কে জানতে চাই।
মাহমুদা: আইএডব্লিউপি, অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব উইমেন পুলিশ, যেটা সারা বিশ্বে নারী পুলিশদের নিয়ে কাজ করছে। সংগঠনটি অনেক পুরোনো। ১৯১৬ সালে থেকে কাজ করছে। তখন প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল ভিন্ন। আইএডব্লিউপির উদ্যোগে প্রতিবছর একটা কনফারেন্স হয়, যেখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডগুলো দেওয়া হয়। এ বছর কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডের জন্য আমি মনোনীত হয়েছি। আগামী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমি সেখান থেকে পুরস্কার গ্রহণ করব।
প্রশ্ন: সোয়াত প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী হয়েছিলেন কেন?
মাহমুদা: সোয়াত মূলত একটা বিশেষায়িত ট্রেনিং। এখানে অস্ত্র চালানোর বিভিন্ন কৌশল শেখানো হয়। জিম্মিদশা থেকে কাউকে কীভাবে উদ্ধার করতে হয়, কোনো একটা এলাকা কীভাবে ক্লিয়ার করতে হয়, স্পেশাল সিকিউরিটি কীভাবে বাড়াতে হয়, তা শেখানো হয় সোয়াতে। আমি ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় এই প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এটি খুবই কষ্টকর প্রশিক্ষণ ছিল। এই প্রশিক্ষণের জন্য শারীরিকভাবে খুব শক্তিশালী হতে হয়—মানসিকভাবে তো অবশ্যই। সোয়াত প্রশিক্ষণের জন্য যেসব যোগ্যতা দরকার, মনে হয়েছে সেগুলো আমার মধ্যে আছে। এটা যেহেতু চ্যালেঞ্জিং বিষয়, তাই আমার আগ্রহ ছিল। আমি আবেদন করেছিলাম এবং প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত হয়েছিলাম।
প্রশ্ন: সরকারি এত চাকরি থাকতে পুলিশ হতে চেয়েছিলেন কেন?
মাহমুদা: সবারই একটা ভালো অবস্থানে যাওয়ার আগ্রহ থাকে। বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার আগে আমি শিক্ষকতা পেশায় ছিলাম। আমি এমন একটা পেশায় যেতে চেয়েছি, যেখান থেকে সার্বিকভাবে সবাইকে—ধনী-গরিবনির্বিশেষে, সব স্তরের মানুষকে সেবা দিতে পারব। সেই ধারণা থেকে পুলিশ হওয়া।
প্রশ্ন: সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের বিশেষ কোনো ভূমিকা আছে বলে মনে করেন কি?
মাহমুদা: অবশ্যই। আমরা যারা বাংলাদেশ পুলিশে কাজ করি, এখানে নারী-পুরুষ বলে কোনো কথা নেই। তারপরও নারী পুলিশ সদস্যদের বিশেষ ভূমিকা আছে। এখন আমাদের দেশে অপরাধের যে ধরন, সেটা বদলে গেছে। জঙ্গি যে কেবল পুরুষেরাই হয়, তা নয়। আজকাল নারীরাও জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে জঙ্গি দমনে নারী পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজন আছে।
প্রশ্ন: পার্বত্য এলাকায় একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করা কতটা চ্যালেঞ্জ মনে করেন?
মাহমুদা: আসলে আমাদের প্রফেশনটা চ্যালেঞ্জের। আমি ব্যক্তিগতভাবে চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। তিন পার্বত্য এলাকা অবস্থানের দিক থেকে বলেন, আর দুর্গমতার দিক থেকে বলেন, দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আলাদা। সে ক্ষেত্রে পাহাড়ে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আমরা বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে সবাই মিলে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম আছি। রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি–এই দুটো পার্বত্য এলাকায় আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় শুধু নারী পুলিশ সদস্যই আছেন, এমন নয়। অন্যান্য বিভাগের নারী সদস্যরাও আছেন। এটা আশার কথা যে তাঁরাও চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই নারী কর্মকর্তারা পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছেন। একজন পুরুষ কর্মকর্তা পাহাড়ের যে দুর্গমতা মোকাবিলা করেন, একজন নারী কর্মকর্তাও সেই দুর্গমতা মোকাবিলা করে পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনি কমিউনিটি সার্ভিস ক্যাটাগরিতে আইএডব্লিউপি পুরস্কার পেয়েছেন। এ-সম্পর্কে জানতে চাই।
মাহমুদা: আইএডব্লিউপি, অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব উইমেন পুলিশ, যেটা সারা বিশ্বে নারী পুলিশদের নিয়ে কাজ করছে। সংগঠনটি অনেক পুরোনো। ১৯১৬ সালে থেকে কাজ করছে। তখন প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল ভিন্ন। আইএডব্লিউপির উদ্যোগে প্রতিবছর একটা কনফারেন্স হয়, যেখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডগুলো দেওয়া হয়। এ বছর কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডের জন্য আমি মনোনীত হয়েছি। আগামী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমি সেখান থেকে পুরস্কার গ্রহণ করব।
প্রশ্ন: সোয়াত প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী হয়েছিলেন কেন?
মাহমুদা: সোয়াত মূলত একটা বিশেষায়িত ট্রেনিং। এখানে অস্ত্র চালানোর বিভিন্ন কৌশল শেখানো হয়। জিম্মিদশা থেকে কাউকে কীভাবে উদ্ধার করতে হয়, কোনো একটা এলাকা কীভাবে ক্লিয়ার করতে হয়, স্পেশাল সিকিউরিটি কীভাবে বাড়াতে হয়, তা শেখানো হয় সোয়াতে। আমি ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় এই প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এটি খুবই কষ্টকর প্রশিক্ষণ ছিল। এই প্রশিক্ষণের জন্য শারীরিকভাবে খুব শক্তিশালী হতে হয়—মানসিকভাবে তো অবশ্যই। সোয়াত প্রশিক্ষণের জন্য যেসব যোগ্যতা দরকার, মনে হয়েছে সেগুলো আমার মধ্যে আছে। এটা যেহেতু চ্যালেঞ্জিং বিষয়, তাই আমার আগ্রহ ছিল। আমি আবেদন করেছিলাম এবং প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত হয়েছিলাম।
প্রশ্ন: সরকারি এত চাকরি থাকতে পুলিশ হতে চেয়েছিলেন কেন?
মাহমুদা: সবারই একটা ভালো অবস্থানে যাওয়ার আগ্রহ থাকে। বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার আগে আমি শিক্ষকতা পেশায় ছিলাম। আমি এমন একটা পেশায় যেতে চেয়েছি, যেখান থেকে সার্বিকভাবে সবাইকে—ধনী-গরিবনির্বিশেষে, সব স্তরের মানুষকে সেবা দিতে পারব। সেই ধারণা থেকে পুলিশ হওয়া।
প্রশ্ন: সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের বিশেষ কোনো ভূমিকা আছে বলে মনে করেন কি?
মাহমুদা: অবশ্যই। আমরা যারা বাংলাদেশ পুলিশে কাজ করি, এখানে নারী-পুরুষ বলে কোনো কথা নেই। তারপরও নারী পুলিশ সদস্যদের বিশেষ ভূমিকা আছে। এখন আমাদের দেশে অপরাধের যে ধরন, সেটা বদলে গেছে। জঙ্গি যে কেবল পুরুষেরাই হয়, তা নয়। আজকাল নারীরাও জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে জঙ্গি দমনে নারী পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজন আছে।
প্রশ্ন: পার্বত্য এলাকায় একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করা কতটা চ্যালেঞ্জ মনে করেন?
মাহমুদা: আসলে আমাদের প্রফেশনটা চ্যালেঞ্জের। আমি ব্যক্তিগতভাবে চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। তিন পার্বত্য এলাকা অবস্থানের দিক থেকে বলেন, আর দুর্গমতার দিক থেকে বলেন, দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আলাদা। সে ক্ষেত্রে পাহাড়ে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আমরা বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে সবাই মিলে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম আছি। রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি–এই দুটো পার্বত্য এলাকায় আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় শুধু নারী পুলিশ সদস্যই আছেন, এমন নয়। অন্যান্য বিভাগের নারী সদস্যরাও আছেন। এটা আশার কথা যে তাঁরাও চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই নারী কর্মকর্তারা পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছেন। একজন পুরুষ কর্মকর্তা পাহাড়ের যে দুর্গমতা মোকাবিলা করেন, একজন নারী কর্মকর্তাও সেই দুর্গমতা মোকাবিলা করে পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
গত বছর আমার বিয়ে হয় ছেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। বিয়ের কয়েক দিন পরে সে আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আর কখনো খোঁজখবর নেয়নি। তখন আমাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিল। কিন্তু তখন আমার স্বামীর বয়স কম ছিল। তার বিরুদ্ধে আমি মামলা করতে চাইলে কাজি সাহেব আমাদের বিয়ের কাবিলনামা অস্বীকার করেন। তখন আমি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আই
০৬ আগস্ট ২০২৫গ্রহ-নক্ষত্র আর মহাবিশ্বের মতিগতি বোঝার জন্য রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিদ থাকবেন না, তা কি হয়? সে কারণে প্রায় ৩৫০ বছর আগে, ১৬৭৫ সালে রাজা দ্বিতীয় চার্লস ব্রিটিশ রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীকে নিয়োগ দেন। এই মর্যাদাপূর্ণ পদকে বলা হয় ‘অ্যাস্ট্রোনমার রয়্যাল’।
০৬ আগস্ট ২০২৫চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ জান্নাতুল মাওয়া। তাঁকে অনেকে চেনে অনলাইনে চাঁদপুরের ইলিশ ও নদীর সুস্বাদু তাজা মাছ বিক্রির জন্য। এখন তিনি ‘ইলিশ রানি’ নামে বেশ পরিচিত। জীবন তাঁকে টেনে এনেছে এখানে।
০৬ আগস্ট ২০২৫চলতি বছরের জুলাই মাসে ২৩৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ৮৬ জন কন্যা ও ১৪৯ জন নারী। মহিলা পরিষদের দেওয়া মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭৯০ জন নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতা...
০৬ আগস্ট ২০২৫