ফিচার ডেস্ক
আফগান নারীদের যে স্টেরিওটাইপ চিত্র আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়, সেটা যে মিথ্যা, তা নয়। বাস্তবতা আছে। ভীষণভাবেই আছে। তবে মলিন মুখের অবহেলিত, নির্যাতিত, স্বপ্নহীন আফগান নারীদের বাইরে হঠাৎ হঠাৎ কিছু স্বপ্নবাজ নারীর গল্প উঠে আসে সামনে। ২৯ বছর বয়সী লিদা হুজুরি সে রকমই একজন, যিনি আক্ষরিক অর্থেই আকাশ ছুঁতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু জন্মসূত্রে আফগান হয়েও এখন তিনি একজন শরণার্থীমাত্র। যখন বিশ্ব বুঝতে শুরু করেছিল, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসছে, সে সময় নিজের স্বপ্ন বাঁচাতে পরিবারের সঙ্গে দেশ ছেড়েছিলেন হুজুরি। তাঁর ঠাঁই হয়েছিল পাকিস্তানের এক শরণার্থীশিবিরে। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের পতনের সময় মেয়েরা তাদের ঘরে বন্দী ছিল। তখন মনে হয়েছিল, আমার স্বপ্ন ডানাসহ খাঁচায় আটকে থাকা একটি পাখি!’
মূলত লিদা হুজুরি একজন প্যারাগ্লাইডার। আফগানিস্তানের নারী প্যারাগ্লাইডার। দেশ ছাড়ার আগেই তিনি এর সঙ্গে যুক্ত হন। শুরুর দিকে তাঁরা দুজন নারী এই খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নারীদের মধ্যে প্যারাগ্লাইডিং ছড়িয়ে দিতে চেয়ে তাঁরা ব্যর্থ হন। কারণ, আফগানিস্তানের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মনে করত, প্যারাগ্লাইডিং নারীর কাজ নয়। আর তালেবান ক্ষমতায় আসার পর তো তিনি দেশই ছেড়ে দেন।
প্রতিবেশীসহ অন্যদের কাছ থেকে তো বটেই, প্যারাগ্লাইডিং শুরু করে পরিবারে বাবা ছাড়া অন্য সদস্যদের বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয় হুজুরিকে। অবশ্য পরে পরিবারের সবাই বিষয়টি ধীরে ধীরে মেনে নেন। ফলে এখন তিনি মনের আনন্দে উড়তে পারেন নীল আকাশে।
কাবুলের চমন-ই-নাই এলাকায় শুরু হয়েছিল হুজুরির প্যারাগ্লাইডিং জীবন। প্রথমে ১ হাজার ২০০ মিটার উচ্চতার একক ফ্লাইট করেছিলেন তিনি। প্রায় এক দশকের অনুশীলনের পরে এখন ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় উড়তে পারেন। বাতাসে ভেসে থাকতে পারেন তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে আফগানিস্তানের পক্ষে প্রথম প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন হুজুরি। সে আসরে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন, আফগান নারীরাও এ ধরনের খেলাধুলা করতে পারে। হুজুরি লেখাপড়া করেছেন সাংবাদিকতা বিষয়ে। প্যারাগ্লাইডিং প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তিনি কাবুলের বিভিন্ন মিডিয়া আউটলেটের সঙ্গে কাজ করেছেন। তারপরেও একটা সময় প্যারাগ্লাইডিং সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে।
শরণার্থী হিসেবে পাকিস্তানে যাওয়ার পর হুজুরি সে দেশে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতায় আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিন্তু শরণার্থী বলে পাকিস্তানের বাইরের প্রতিযোগিতার সবই তাঁর নাগালের বাইরে। হুজুরি বলেন, ‘সারা বছর প্রতিযোগিতা হয়। আমি অংশগ্রহণ করতে চাই। কিন্তু নির্দিষ্ট কারণে আমি সেগুলোতে অংশ নিতে পারি না। কারণ, আমি এখানে একজন শরণার্থী।’
সাংবাদিকতায় উচ্চশিক্ষা লাভ করা এবং প্যারাগ্লাইডিংয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ পাওয়া হুজুরি স্বপ্ন দেখেন দেশে ফেরার। দেশের আকাশে মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়ানোর। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার।
আফগান নারীদের যে স্টেরিওটাইপ চিত্র আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়, সেটা যে মিথ্যা, তা নয়। বাস্তবতা আছে। ভীষণভাবেই আছে। তবে মলিন মুখের অবহেলিত, নির্যাতিত, স্বপ্নহীন আফগান নারীদের বাইরে হঠাৎ হঠাৎ কিছু স্বপ্নবাজ নারীর গল্প উঠে আসে সামনে। ২৯ বছর বয়সী লিদা হুজুরি সে রকমই একজন, যিনি আক্ষরিক অর্থেই আকাশ ছুঁতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু জন্মসূত্রে আফগান হয়েও এখন তিনি একজন শরণার্থীমাত্র। যখন বিশ্ব বুঝতে শুরু করেছিল, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসছে, সে সময় নিজের স্বপ্ন বাঁচাতে পরিবারের সঙ্গে দেশ ছেড়েছিলেন হুজুরি। তাঁর ঠাঁই হয়েছিল পাকিস্তানের এক শরণার্থীশিবিরে। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের পতনের সময় মেয়েরা তাদের ঘরে বন্দী ছিল। তখন মনে হয়েছিল, আমার স্বপ্ন ডানাসহ খাঁচায় আটকে থাকা একটি পাখি!’
মূলত লিদা হুজুরি একজন প্যারাগ্লাইডার। আফগানিস্তানের নারী প্যারাগ্লাইডার। দেশ ছাড়ার আগেই তিনি এর সঙ্গে যুক্ত হন। শুরুর দিকে তাঁরা দুজন নারী এই খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নারীদের মধ্যে প্যারাগ্লাইডিং ছড়িয়ে দিতে চেয়ে তাঁরা ব্যর্থ হন। কারণ, আফগানিস্তানের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মনে করত, প্যারাগ্লাইডিং নারীর কাজ নয়। আর তালেবান ক্ষমতায় আসার পর তো তিনি দেশই ছেড়ে দেন।
প্রতিবেশীসহ অন্যদের কাছ থেকে তো বটেই, প্যারাগ্লাইডিং শুরু করে পরিবারে বাবা ছাড়া অন্য সদস্যদের বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয় হুজুরিকে। অবশ্য পরে পরিবারের সবাই বিষয়টি ধীরে ধীরে মেনে নেন। ফলে এখন তিনি মনের আনন্দে উড়তে পারেন নীল আকাশে।
কাবুলের চমন-ই-নাই এলাকায় শুরু হয়েছিল হুজুরির প্যারাগ্লাইডিং জীবন। প্রথমে ১ হাজার ২০০ মিটার উচ্চতার একক ফ্লাইট করেছিলেন তিনি। প্রায় এক দশকের অনুশীলনের পরে এখন ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় উড়তে পারেন। বাতাসে ভেসে থাকতে পারেন তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে আফগানিস্তানের পক্ষে প্রথম প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন হুজুরি। সে আসরে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন, আফগান নারীরাও এ ধরনের খেলাধুলা করতে পারে। হুজুরি লেখাপড়া করেছেন সাংবাদিকতা বিষয়ে। প্যারাগ্লাইডিং প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তিনি কাবুলের বিভিন্ন মিডিয়া আউটলেটের সঙ্গে কাজ করেছেন। তারপরেও একটা সময় প্যারাগ্লাইডিং সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে।
শরণার্থী হিসেবে পাকিস্তানে যাওয়ার পর হুজুরি সে দেশে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতায় আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিন্তু শরণার্থী বলে পাকিস্তানের বাইরের প্রতিযোগিতার সবই তাঁর নাগালের বাইরে। হুজুরি বলেন, ‘সারা বছর প্রতিযোগিতা হয়। আমি অংশগ্রহণ করতে চাই। কিন্তু নির্দিষ্ট কারণে আমি সেগুলোতে অংশ নিতে পারি না। কারণ, আমি এখানে একজন শরণার্থী।’
সাংবাদিকতায় উচ্চশিক্ষা লাভ করা এবং প্যারাগ্লাইডিংয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ পাওয়া হুজুরি স্বপ্ন দেখেন দেশে ফেরার। দেশের আকাশে মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়ানোর। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার।
গত বছর আমার বিয়ে হয় ছেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। বিয়ের কয়েক দিন পরে সে আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আর কখনো খোঁজখবর নেয়নি। তখন আমাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিল। কিন্তু তখন আমার স্বামীর বয়স কম ছিল। তার বিরুদ্ধে আমি মামলা করতে চাইলে কাজি সাহেব আমাদের বিয়ের কাবিলনামা অস্বীকার করেন। তখন আমি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আই
০৬ আগস্ট ২০২৫গ্রহ-নক্ষত্র আর মহাবিশ্বের মতিগতি বোঝার জন্য রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিদ থাকবেন না, তা কি হয়? সে কারণে প্রায় ৩৫০ বছর আগে, ১৬৭৫ সালে রাজা দ্বিতীয় চার্লস ব্রিটিশ রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীকে নিয়োগ দেন। এই মর্যাদাপূর্ণ পদকে বলা হয় ‘অ্যাস্ট্রোনমার রয়্যাল’।
০৬ আগস্ট ২০২৫চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ জান্নাতুল মাওয়া। তাঁকে অনেকে চেনে অনলাইনে চাঁদপুরের ইলিশ ও নদীর সুস্বাদু তাজা মাছ বিক্রির জন্য। এখন তিনি ‘ইলিশ রানি’ নামে বেশ পরিচিত। জীবন তাঁকে টেনে এনেছে এখানে।
০৬ আগস্ট ২০২৫চলতি বছরের জুলাই মাসে ২৩৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ৮৬ জন কন্যা ও ১৪৯ জন নারী। মহিলা পরিষদের দেওয়া মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭৯০ জন নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতা...
০৬ আগস্ট ২০২৫