সড়ক

অভয়নগর উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামীণ সড়ক মাছের ঘেরে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ১৬ ফুট প্রশস্ত সড়কগুলোর বেশ কয়েকটির কোথাও টিকে আছে মাত্র ২ ফুট। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়ক ভেঙে সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘেরমালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

কুড়িগ্রাম-রাজারহাট সড়কে টগরাইহাটের বড় পুলেরপাড় নামক এলাকায় গেলে হাতের ডানেই চোখে পড়বে একটি উল্টানো বক্স কালভার্ট। এটি উল্টে থাকার কারণে সড়কটি সংস্কার হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কালভার্টের পাশেই চলাচলের জন্য এলাকাবাসী বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করেছেন সাঁকো।

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের ওপর অবৈধভাবে গাড়ি পার্ক করে ৪ দিন ধরে চলছে ওঠানামার কাজ। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ওই সড়কের যান চলাচল। ২ মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লাগছে ২ ঘণ্টার বেশি।

গাজীপুর মহানগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালো সিকদারের ঘাট এলাকায় চিলাই খালের মধ্যে চলছে সেতু নির্মাণের কাজ। কাজ শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যানচলাচলের জন্য নির্মাণ করে একটি বিকল্প সড়ক।

শিমরাইল-আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী পুল বাসস্ট্যান্ডে সড়কের পাশ ঘেঁষে দীর্ঘদিন ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এ এলাকার দোকানি ও বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। পরিবেশদূষণের পাশাপাশি আবর্জনার স্তূপ ও দুর্গন্ধে এই রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

নাটোরের বাগাতিপাড়ার পৌরসভার সোনাপাতিল এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন চলাচলকারীরা। আর ভাঙা স্থানগুলোতে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়ছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের লাইফ লাইন খ্যাত পোর্ট কানেকটিং সড়কজুড়ে পণ্যবাহী গাড়ি রাখা (পার্কিং) বাবদ দৈনিক লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। টার্মিনাল না থাকার সুযোগে একটি চক্র এই কাজ করছে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে, সিরাজগঞ্জে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ও বগুড়ার শেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ট্রাকচাপায় বাইক আরোহী দুই তরুণ নিহত হয়েছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কের দুই পাশে রয়েছে বেশকিছু কৃষ্ণচূড়াগাছ। আর তাঁদের আগুনরাঙা রূপে রক্তিম হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। বসন্তের শেষভাগে এবং গ্রীষ্মের শুরুতে ক্যাম্পাসে প্রশান্তি নিয়ে আসে এই কৃষ্ণচূড়া ।

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার প্রধান সড়কের মালিরঅংক বাজার-সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সেতুর পাটাতনে মরিচা ধরে ভেঙে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট।

গাজীপুর মহানগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজদীঘির পশ্চিমপাড় থেকে টাংকিরপাড় পর্যন্ত পৌনে এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের দুই মাসের মাথায় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে সড়ক তৈরি করায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে।

মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাজার ও নৌ থানা সংলগ্ন আড়িয়াল খাঁ নদের খেয়াঘাট থেকে মূল সড়ক পর্যন্ত রাস্তা নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা কাঠ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছেন।

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মানিকখালী ব্রিজ থেকে বড়দল ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় ভোগান্তির সীমা নেই।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রবেশের ৭০০ মিটার সড়ক দীর্ঘ সময় ধরে সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ হয়ে যায়। এ সড়কে বৃষ্টি ছাড়াও সারা বছর লেগে থাকে জলাবদ্ধতা। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ধরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে যেতে হয় হাজারো মানুষকে।

বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারে টাকা দিতেই তা নিমেষে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আগে যেখানে গ্রাহকেরা মাসে একবার বিল পরিশোধ করতেন, এখন একাধিকবার টাকা রিচার্জ করতে হচ্ছে।

পূর্বানুমতি এবং সম্মতি ছাড়াই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জায়গা নষ্ট হচ্ছে। এতে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে এবং বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য নষ্ট হবে। বিষয়টি তিনি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রশাসককেও লিখিতভাবে জানান।

রাঙামাটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। প্রতিনিয়ত তা বাড়ছে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি পথচারীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। বর্ষায় এই দুর্ভোগ দ্বিগুণ হবে বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।