ভোগান্তি

বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের পাংশা গ্রামে নির্মাণাধীন ৫০০ মিটার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে ফেলে রাখায় তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীসহ সহস্রাধিক মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছ।

আগৈলঝাড়ায় জরাজীর্ণ একটি সেতু সংস্কারের উদ্যোগে নেওয়া হয়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের সুন্দারগাও এবং থানেশ্বরকাঠি গ্রামের সোয়েব হাওলাদারের বাড়ি সংলগ্ন খালের ওপর ত্রিশ বছর আগে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

গাজীপুরের টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশেই ময়লা ফেলছে সিটি করপোরেশন। সেই ময়লা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পথচারীদের।

কয়েক দিন আগেও সিলেট নগরীর উপশহর এলাকার প্রধান সড়কে ছিল কোমর পর্যন্ত পানি। এই সড়কে দিব্যি নৌকাও চলানো হয়েছে। দুদিন আগেও এই সড়কে বেশ পানি ছিল। তবে এখন পানি নেমে ভেসে উঠেছে চেনা সড়ক। আজ মঙ্গলবার সিলেটের উপশহরের প্রধান সড়কে গিয়ে দেখা যায়, একেবারে পানিহীন সড়ক। এই আবাসিক এলাকার গলির ভেতরের অন্যান্য সড়কগুল

পাসপোর্ট পেতে এত যে মানুষের ভোগান্তি, সেটা কবে শেষ হবে? দেশে আর কত উন্নয়ন হলে মানুষ ঝামেলা ছাড়া নিজের পাসপোর্ট নিতে পারবে? এই দুটি প্রশ্নই পাসপোর্ট নিতে আসা এক ব্যক্তির। নিজের পাসপোর্টের জন্য সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রান তিনি।

বরিশালের ঐতিহ্যবাহী বঙ্গবন্ধু উদ্যান দিন দিন শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। নগরের সবচেয়ে বড় এবং দৃষ্টিনন্দন উদ্যানটিতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীর ঢল নামে। অথচ অযত্ন আর অবহেলায় এটি বেহাল। গত সপ্তাহে দুটি সমাবেশে বিশাল মাঠ ময়লায় ঢেকে যাওয়ার জোগাড় হয়। ইদানীং সেখানকার ভাসমান দোকানিদের বর্জ্যের কারণেও আবর্জনায় ভরে যা

কয়রা উপজেলায় আকাশে কালো মেঘ ও বাতাসের একটু বেগ বাড়লেই চলে যায় বিদ্যুৎ। তিন-চার ঘণ্টা লেগে যায় আবার ফিরে আসতে। কখনো সেটি স্বাভাবিক হতে এক-দুদিনও লাগে।

নগরের বাকলিয়া থানার সৈয়দশাহ রোড এলাকায় সড়কে কোমর সমান পানি। সড়কটি কতটুকু উঁচু করা হয়েছে পাশের বাড়িগুলো দেখলে তা বোঝা যায়। অর্থাৎ প্রতিটি বাড়ির নিচতলার চেয়ে সড়কগুলো ওপরে। ফলে স্বভাবতই মূল সড়কে কোমর সমান পানি মানে বাসায় টইটম্বুর।

সুনামগঞ্জ পৌরশহরের পশ্চিম তেঘরিয়া আবাসিক এলাকার শ্রমজীবী স্বপ্না বেগম। মানুষের বাসায় কাজ করে রিকশাচালক স্বামীকে সংসার চালাতে সহযোগিতা করেন। তিন দিন ধরে বাসার ভেতর ও সড়কে কোমরপানি। স্বপ্না বেগম ও স্বামী ঘরে বসে আছেন তিন সন্তান নিয়ে।

নদীতে প্রবল স্রোত ও ফেরি-সংকটের কারণে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথের ফেরি সার্ভিস। এ পথের ছোট-বড় মাত্র তিনটি ফেরির মধ্যে দুটিই নষ্ট। বাকি সচল একটিমাত্র ফেরিতে করে কোনোরকমে যানবাহন পার করায় উভয় পাড়ে অপেক্ষায় থাকছে শত শত যানবাহন।

হিজলা উপজেলায় ৩টি গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের ধুলখোলা গ্রামে সাজাহান আকনের দোকান সংলগ্ন ওই সাঁকোটি দিয়ে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করছেন তিন গ্রামের মানুষ।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা সেতুর টোল প্লাজার ঢাকাগামী দুটি লেনে বৃষ্টি হলেই জমে হাঁটুপানি। পানির কারণে টোল প্লাজা এলাকায় ঢাকাগামী লেনে সৃষ্টি হয় যানজট।

সিলেটের বিয়ানীবাজারে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানি। আজ শনিবার কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এতে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সব এলাকার মানুষজন। 

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের হেদারখাল-কুন্দইল তিন কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কাদা মাড়িয়ে চলতে হয় এলাকাবাসীকে।

জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের গত বৃহস্পতিবারের রাতের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে ১০ উপজেলার ৮৬ ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী অবস্থায় আছেন ১৫ লাখ মানুষ।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বাতাসের বেগ একটু বাড়লেই চলে যায় বিদ্যুৎ। চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লেগে যায় আবার ফিরে আসতে। এ ছাড়া ঝোড়ো হাওয়া হলেতো কথাই নেই। কখনো কখনো সেটি এক থেকে দুই দিনেও স্বাভাবিক হতে পারে না।

বিদ্যুৎবিভ্রাট থেকে কিছুতেই মুক্তি মিলছে না গৌরীপুরবাসীর। সামান্য বাতাস হলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। ঝড়-বৃষ্টি হলে তো ভোগান্তির শেষ-ই থাকে না। সম্প্রতি পৌরশহরে কিছুটা উন্নতি হলেও গ্রামে অবস্থা করুণ। বিদ্যুৎ গেলে কখন যে ফিরবে খোদ বিদ্যুৎ বিভাগও জানে না।