ভোগান্তি

দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর এলাকায় অবস্থিত বিসিক শিল্প এলাকা। দিন দিন এ শিল্পাঞ্চলের ব্যাপ্তি ঘটায় এখানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে আসছে মানুষ। কিন্তু চরম ব্যস্ত এ এলাকায় নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক গণশৌচাগার। থানা হাট এলাকায় যেটি আছে, সেটিও ব্যবহারের অযোগ্য। এমনকি পটিয়া পৌর সদরের উপজেলা পরিষদ

মানিকগঞ্জের ঘিওরে সড়কের বিভিন্ন স্থান দখল করে নির্মাণসামগ্রী রেখে কাজ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। এর মধ্যে গতকাল রোববারের বৃষ্টিতে বালু, মাটি এবং কুচি পাথর সড়কজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই সব সড়ক ব্যবহারকারী পথচারীদের।

বান্দরবানের আলীকদম বাজার থেকে উপজেলা সদরে যাওয়ার সড়কের পাশে অবাধে ফেলা হচ্ছে বাজারের ময়লা-আবর্জনা। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চলাচলকারীদের। দুর্গন্ধে মুখ ঢেকে রাস্তা চলতে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসী ও পথচারীদের।

‘এত বড় হাট। অথচ কোনো ঘাট নেই। সরকারের অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘাটগুলো এখন মাটির নিচে। তাই চরম ভোগান্তিতে হাট ও বাজারে আসা হাজার হাজার মানুষ। জানি না কবে এই ভোগান্তি শেষ হবে।’ গতকাল রোববার দুপুরে কথাগুলো বলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারের ফল ব্যবসায়ী হারুন অর রশীদ কালাই (৪৮)।

ঝিনাইদহ-কোটচাঁদপুর ভায়া জিয়ানগর সড়কের প্রায় চার কিলোমিটারের দুই পাশ খুঁড়ে কাজ বন্ধ রেখে চলে গেছেন ঠিকাদার। সড়ক সংস্কারকাজের জন্য এই গর্ত খোঁড়া হয়। এই কাজের দায়িত্বে রয়েছেন শহরের ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুমের ছেলে মুনতাজম রহমান সাজন। তিনি বর্তমানে তাঁর বাবার নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত। মাসুম ঝিনাইদহ পৌরসভ

ময়মনসিংহের শিকারীকান্দা বাইপাস মোড়ে ২০০ মিটার আরসিসি ঢালাইয়ের কাজে ধীর গতির অভিযোগ উঠেছে। গত এক মাস ধরে চলমান কাজের কারণে সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ছেন যাত্রী ও যানবাহনের চালকেরা। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চার জেলার মানুষ।

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পুরোনো একটি সেতু ধসে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ওই এলাকার হাজারো মানুষ। উপজেলার ৩ নম্বর পোগলা ইউনিয়নের পোগলা গ্রামের এ সেতুটি এলাকার ২০ হাজার মানুষ ব্যবহার করছে। পাঁচ বছরে আগে সেতুটি ধসে গেলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ভূমি কার্যালয়ের প্রবেশমুখে দালালদের ভিড় লেগেই থাকত। এসব দালালের খপ্পরে পড়ে আর্থিক ক্ষতি ও হয়রানির শিকার হতেন গ্রামের লোকজন। কিন্তু অনলাইন পদ্ধতিতে ‘ই-নামজারি’ চালু হওয়ায় বদলে গেছে ভূমি অফিসের চিত্র।

পাথর-বালু যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়ছে। এতে উড়ছে বালু ও ধূলিকণা। কোথাও এক থেকে দুই ফুট গভীর করে শেড তৈরি করা হয়েছে। এক লেন ধরে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। এ চিত্র রাজশাহীর বানেশ্বর থেকে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের চারঘাট উপজেলার প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে।

নদীতে সেতু নেই, সাঁকোর ব্যবস্থাও নেই। কলার ভেলায় চড়ে কিংবা সাঁতার কেটে পার হতে হয় নদী। এদিকে বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বাড়লে স্রোতের কারণে পার হওয়ার উপায় থাকে না। অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়।

গত কয়েক দিনের বগুড়ার নন্দীগ্রামে পল্লি বিদ্যুতের চলমান লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এই সমস্যা সমাধান হতে আরও দু-এক দিন সময় লাগতে পাড়ে বলে জানিয়েছে নন্দীগ্রাম জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সিদ্দিকুর রহমান।

‘টিকে থাকব বলে এত দিন আশা আশায় ছিলাম, এখন বুঝি আর শেষ রক্ষা হয় না! টিকে থাকার লড়াইয়ে হার মেনে শেষমেশ হয়তো এখান থেকে বাড়িঘর নিয়ে সরে যেতেই হবে।’ এভাবে হতাশা ব্যক্ত করে কথা গুলো বলছিলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকার যমুনা নদী ভাঙনের শিকার মানুষ।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের মজুমদার ব্রান ওয়েল মিলের পাশের ইটের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এখন বেহাল দশায় রয়েছে। এতে চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের মানুষজন। 

কয়রায় কালবৈশাখী ঝড়ে মদিনাবাদ কলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘরের চাল উড়ে গেছে। এ কারণে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে নলজোড়া খালের ওপর নির্মিত হয়েছে বিকল্প কাঠের সেতু। এতে করে এই সড়কে চলাচলকারী শত শত মানুষের ভোগান্তি কিছুটা হলেও দূর হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

বছরের পর বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে পুবাইল সড়ক। গুরুত্বপূর্ণ ৯ কিলোমিটার সড়কটির পুরোটাই খানাখন্দে ভরা। সড়কের মধ্যে দেখা দিয়েছে বড় বড় গর্ত। সড়কের বেশির ভাগ অংশের পিচ ইতিমধ্যে উঠে গিয়ে সড়কটি পরিণত হয়েছে মাটির কোনো রাস্তায়।

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক থেকে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র ১৩০ গজ। দীর্ঘদিন ধরে কংক্রিটের এই সংযোগ সড়কটির অনেক জায়গা ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কিন্তু মেরামত বা সংস্কার না করায় হাসপাতালে যাওয়া-আসা রোগী, ডাক্তারসহ অন্যদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে