পবিত্র কোরআন

জার্মান প্রাচ্যবিদ ড. অ্যানেমারি শিমেল (১৯২২-২০০৩) ছিলেন অসাধারণ শিক্ষক ও বহু ভাষার পণ্ডিত। আধুনিক যুগের বিস্ময়কর নারী প্রতিভা হিসেবে তাঁর নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়। পাশ্চাত্যের অন্যতম সেরা ধর্মতত্ত্ববিদ হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত তিনি। ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ

সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও ঠিক মধ্যাহ্নে সব ধরনের নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ ও হারাম। এ ছাড়া কিছু কিছু সময়ে নামাজ আদায় করা মাকরুহ তথা অপছন্দনীয়। এখানে তেমন কিছু সময়ের কথা তুলে ধরা হলো—

নামাজের অন্যতম আবশ্যক আমল হলো দুই রাকাত পর বৈঠক করা এবং তাতে তাশাহহুদ পাঠ করা। তাশাহহুদ নামের দোয়াটি আত্তাহিয়্যাতু নামেও পরিচিত। নামাজের বৈঠকগুলোতে তাশাহহুদ পাঠ করা জরুরি। নামাজে যখন আমরা দোয়াটি পাঠ করি, তখন এর অর্থ ও মর্ম উপলব্ধি করা এবং যথাযথভাবে তা পাঠ করার জন্য এর বিধান জানা আবশ্যক।

ক্ষমা করে দেওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে মানবিক গুণগুলোর একটি। মহান আল্লাহ পরম দয়ালু এবং অত্যন্ত ক্ষমাশীল। বান্দার শত গুনাহ-পাপাচার তিনি নিমিষের তওবায় ক্ষমা করে দেন। মহানবী (সা.)ও আমাদের ক্ষমা করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিসের পাতায় পাতায় তাঁর ক্ষমাশীলতার দৃষ্টান্ত রয়েছে।

সুরা জিলজাল পবিত্র কোরআনের ৯৯তম সুরা। এটি মদিনায় অবতীর্ণ। এতে মোট ৮টি আয়াত রয়েছে। এ সুরার অনেক ফজিলত রয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, সুরা ‘ইজা জুলজিলাতিল আরদু’ কোরআনের অর্ধেকের সমান।

ইসলামে এমন কিছু আমল আছে, যা আদায় করতে মানুষ সাধারণত দেরি করে থাকে। অথচ এসবে দেরি করা অনুচিত। হজরত আলী (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে পাঁচটি আমল তাড়াতাড়ি করার অসিয়ত করেছেন। যথা—

সৎ কাজের আদেশ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি নীতি। ইসলামের পরিভাষায় একে আমর বিল মারুফ বলা হয়। এরই বিপরীত আরও একটি মূলনীতি হলো নাহি আনিল মুনকার তথা অসৎ কাজে নিষেধ। উভয় নীতিই একটি আরেকটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অসৎ কাজ থেকে বারণ করার ভেতর দিয়ে কিন্তু সৎ কাজের আদেশও পাওয়া যায়। আবার সৎ কাজের আদেশের মধ্য দিয়

বিড়ি-সিগারেট-জর্দা ইত্যাদি তামাকজাত দ্রব্য সেবন করা বা খাওয়া কি ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ? কোরআন-হাদিসের আলোকে জানালে কৃতজ্ঞ হব।  জাকারিয়া আহসান, ঢাকা

ইসলাম সুন্দর ও শুদ্ধতার ধর্ম। ইসলাম অনুসারীদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুন্দর ও শুদ্ধতার পাঠ দেয়। মহান আল্লাহ তাআলা সুন্দর। তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। বান্দাকে তিনি যে নিয়ামত দান করেছেন, তার আলামত (তার দেহে) দেখতে পছন্দ করেন। আর তিনি দরিদ্র সাজাকে ঘৃণা করেন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে উত্তম বেশভূষার প্রতি

মারইয়াম (আ.) পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নারীদের একজন। পবিত্র কোরআনে তাঁর অনন্য মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন এবং তাঁকে পৃথিবীর একমাত্র ব্যতিক্রমী মায়ের মর্যাদা দান করেছেন। তাঁর সন্তান ইসা (আ.)–কে বানিয়েছেন আল্লাহর শক্তিমত্তার নিদর্শন এবং তাঁর প্রেরিত অন্যতম প্র

যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা মানুষের হিদায়াতের জন্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন এবং তাঁদের কাছে বিভিন্ন কিতাব ও সহিফা পাঠিয়ে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন। কোরআন নাজিলের পর এসব আসমানি কিতাবের বিধান রহিত হয়ে গেলেও এগুলো যে আল্লাহ তাআলা নাজিল

মা, মাতৃভূমি এবং মাতৃভাষা—এ তিনটি জিনিস মানুষের সবচেয়ে প্রিয়। মাতৃভূমির প্রতি টান মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে, কর্তব্যের টানে মানুষ বিদেশে থাকলেও জন্মভূমির কথা, মাতৃভূমির মায়া ভুলে থাকতে পারে না।

হজরত মুসা (আ.)-এর উম্মত তথা বনি ইসরাইলকে আল্লাহ তাআলা জান্নাতি খাবার ‘মান্না-সালওয়া’ দান করেছিলেন। ‘মান্না’ হলো বরফের মতো স্বচ্ছ শুভ্র এক ধরনের মিষ্টি খাবার, যা গাছপালার ওপর পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপন্ন হতো। আর সালওয়া হলো এক ধরনের পাখি, যেগুলো তাদের কাছে ঝাঁকে ঝাঁকে সমবেত হতো; তাদের কাছ থেকে পালাত না। তা

সন্তান আল্লাহর অনন্য নেয়ামত। কোনো পরিবারে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে খুশির জোয়ার বয়ে যায়। ইসলামে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর বেশ কিছু করণীয় রয়েছে। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—

সুরা লাহাব পবিত্র কোরআনের ১১১তম সুরা। এর আয়াত সংখ্যা ৫। এটি মক্কায় অবতীর্ণ। মহানবী (সা.)-এর চাচা আবু লাহাব ও তার পরিবার ইসলামের বিরুদ্ধে যে ঘৃণ্য কাজকর্ম করেছিল এবং তাদের প্রতি আল্লাহ যে ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন—তার বিবরণ এই সুরায় এসেছে।

অন্যের ভুলত্রুটি কিংবা অন্যায় আচরণে ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত না হয়ে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা আলোকিত মানুষের গুণ। জীবনের সব ক্ষেত্রে এ গুণের প্রয়োগ বাস্তব না হলেও অনেক সময় এটি দারুণ ফল বয়ে আনে। পবিত্র কোরআনে এই গুণকে ‘আস-সাফহুল জামিল’ তথা ‘সুন্দর উপেক্ষা’ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় এটি ব

ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোকে নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপের দেশ ডেনমার্ক। দেশটির পার্লামেন্ট এ বিষয়ে একটি আইন পাস করেছে। এর ফলে এখন থেকে কোনো ব্যক্তি চাইলেই প্রতিবাদ বা বিক্ষোভের অংশ হিসেবে জনসমক্ষে কোরআন পোড়াতে পারবে না