দাম

সাতক্ষীরার তালায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। করোনার কারণে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ ছিল ঈদ বাজার। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। এতে করোনার লোকসান কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা।

ঈশ্বরগঞ্জে গোখাদ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গবাদিপশু পালনে হিমশিম খাচ্ছেন ছোট-বড় খামারিসহ কৃষকেরা। এ অবস্থায় প্রান্তিক কৃষকসহ খামারিদের টিকে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। তাঁদের দাবি, দুই মাস আগেও গোখাদ্যের দাম সহনীয় ছিল। সম্প্রতি সেই দাম অনেক বেড়েছে।

কুষ্টিয়ায় কোনোভাবেই কমছে না চালের দাম। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে জেলা প্রশাসন এবং চালকল মালিকদের বৈঠকের পরও কোনো সুফল মেলেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভোক্তারা।

যুক্তরাজ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে। যেখানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খাদ্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে, বিপরীতে মানুষ পারিবারিক ব্যয়ের বাজেট সংকোচন শুরু করেছেন।

নীলফামারীর ডোমারে অস্থির খুচরা সয়াবিন তেলের বাজার। রমজানের শুরুতে সয়াবিন তেল অতিরিক্ত দামে বিক্রি হয়েছিল। এরপর সরকার নির্ধারণ করে দেওয়া দামে কয়েক দিন বিক্রি হয়।

মুলাদীতে চাল ও ডালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সবজির বাজার। গত কয়েক দিন মুলাদী বন্দর এলাকার বাজার ও বিভিন্ন দোকান ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। টিসিবি, খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালু থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন।

ঈদ আসতে বেশি দেরি নেই। কারখানায় কাজ চলবে বড়জোর ২৮ রমজান পর্যন্ত। তাই এখন ব্যস্ততায় মুখর রাজশাহীর চারঘাটের কালুহাটির পাদুকাপল্লি। ক্রেতার মনপছন্দ ঝকঝকে-চকচকে জুতা তৈরি করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন কারিগরেরা। ব্যস্ততায় কথা বলার ফুরসত পাচ্ছেন না তাঁরা। মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে জুতা-স্যান্ডেল তৈরির কাজ।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ঈদবাজার জমজমাট। ছোট বড় সব বিপণি বিতানসহ ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেড়েছে বিকিকিনি। ক্রেতাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। কিন্তু গতবারের চেয়ে এ বছর তৈরি পোশাক ও গজ কাপড়ের দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ অনেকের।

গতকাল সোমবার খুলনা নগরীর বাজারে দেখা গেছে, সব ধরনের চালের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। মোটা চাল ৪৬ টাকা, মাঝারি ৫৩-৫৬ এবং চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৬৭ টাকায়। কয়েক দিন আগেও মোটা চাল পাওয়া গেছে ৪৩-৪৪ টাকায়, মাঝারি ৫১ ও চিকন চাল ৬৩-৬৫ টাকায়।

বাগেরহাটের বিভিন্ন হাটবাজারে সরকারি খাজনার কয়েক গুণ বেশি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে। আদায়কারীদের চাপের মুখে ক্রেতা-বিক্রেতারা অতিরিক্ত খাজনা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে ভোক্তাপর্যায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গরমের সঙ্গে রমজানের ইফতারে তরমুজের কদর বেড়েছে কয়েক গুন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে চড়া দামের কারণে তরমুজ যেন নাগালের বাইরে। বাড়তি দামের কারণে বড় তরমুজের বদলে ছোট আকারের তরমুজ কিনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।

নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন। সাধারণ মানুষের চোখ সেই দিকে। এ সুযোগে স্টেশনারির দোকানের পণ্যের দাম ইচ্ছেমতো বাড়াচ্ছে কোম্পানিগুলো। কোনো কোনো কোম্পানি গায়ের দাম না বাড়িয়ে পণ্যে দাম বাড়িয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে একসময় কাউন, যব ও ঢেমসির ব্যাপক আবাদ হতো। আশানুরূপ ফলন ও দাম না পাওয়ায় এসব আদি ফসলের আবাদ কমে গেছে। তবে জেলায় কয়েকজন কৃষক কাউন ও যবের চাষ করলেও ঢেমসির আবাদ উঠে গেছে।

রোজা শুরুর আগে টানা কয়েক মাস ভোজ্যতেল নিয়ে ভেলকিবাজি দেখেছে দেশের মানুষ। রোজার সময় মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে উদ্যোগী হয়েছিল সরকার। ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোসহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয় ব্যবসায়ীদের।

চাহিদা কমে যাওয়ায় খাদ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। রমজানের ১০-১৫ দিন আগে যেখানে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৬৫-৬৭ টাকায়। ওই ছোলা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬১-৬২ টাকায়। চিনির দামও কমেছে।

দেশে চালসহ কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সন্ধ্যায় পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন

পবিত্র রমজান মাস শুরুর পর থেকেই মাছ-মাংস ও ইফতারি পণ্যসহ প্রায় সব খাদ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কেজিপ্রতি ৬০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি। খুলনার তেরখাদার হাটবাজারের চিত্র এটি। পণ্যমূল্যের এমন পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের বা সীমিত আয়ের মানুষের সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে।