অনিন্দ্য চৌধুরী অর্ণব
মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটারের নানান গবেষণার মাঝেও বেশি গবেষণা করা হয় স্টোরেজ নিয়ে। মেগাবাইট থেকে টেরাবাইটের সময়ে দাঁড়িয়েও মনে হচ্ছে তথ্য বা ডেটা সংরক্ষণের জায়গা যেন কম পড়ছে, তথ্য রাখার জন্য আরও বেশি স্টোরেজ চাই। কিন্তু ১৯৯৫ সালে তথ্য বা ডেটা সংরক্ষণের নতুন যে আবিষ্কারের কথা শুনিয়েছিলেন রোমকে জ্যঁ বার্নহার্ড স্লুট, সেই আবিষ্কার হারিয়ে না গেলে প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে বেরিয়ে হয়তো স্টোরেজ নিয়ে নতুন গল্প লেখা হতো।
তিন ভাইবোনের মধ্যে ছোট্ট স্লুট জন্মের পরপরই বাবাকে হারান। ডাচ টেকনিক্যাল স্কুলে পাঠরত অবস্থাতেই স্কুল ছেড়ে রেডিও স্টেশনে কাজ নেন। তারপর সেটা ছেড়ে ফিলিপস ইলেকট্রনিকস সংস্থায় কিছুদিন কাজ করে যোগ দেন একটি অডিও-ভিডিও স্টোরে। সেখানে কয়েক বছর কাজ করে অন্য এক শহরে গিয়ে খোলেন নিজস্ব একটি টিভি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামতের সংস্থা। ১৯৮৪ সালে কম্পিউটার প্রযুক্তিতে নিজেকে যুক্ত করেন স্লুট। শুরু করেন ফিলিপস পি ২০০০, কমোডর ৬৪, আইবিএম পিসি এক্সটির মতো কম্পিউটার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। আর সেই সব করতে করতেই মেরামত পরিষেবার একটি অদ্ভুত নেটওয়ার্ক তৈরি করেন, যেখানে সমস্ত মেরামতি কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সংরক্ষণ করা হতো। স্লুট এই নেটওয়ার্কের নাম রেখেছিলেন রেপাবেস। দিনে দিনে রেপাবেসের পরিসর দীর্ঘ হচ্ছিল আর স্টোরেজ বলতে তখন ফ্লপি! স্লুট পাগলের মতো তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিকল্প কিছু আবিষ্কারের সন্ধান করছিলেন। ১৯৯৫ সালে স্লুট একটি ডেটা এনকোডিং কৌশল তৈরি করে নাম দেন স্লুট ডিজিটাল কোডিং সিস্টেম বা এসডিসিএস।
আট কিলোবাইটের মধ্যে একটি আস্ত সিনেমা সংরক্ষণ করতে পারা স্লুট ডিজিটাল কোডিং সিস্টেম দ্রুত প্রযুক্তি দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। স্লটের সহকর্মী জস ভ্যান রসাম এতে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসেন। ১৯৯৬ সালে আবিষ্কর্তা স্লুট আর মালিক রসাম ছয় বছরের স্বত্ব পান এসডিসিএসের।
প্রযুক্তি বিনিয়োগকারীরা এনকোডিং সিস্টেমে অপার সম্ভাবনা ও লাভের সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিলেন। অনেক বিনিয়োগকারী এই প্রযুক্তি কিনতেও চেয়েছিলেন। ফিলিপসের সাবেক কর্তা পিপার সেখানকার চাকরি বাদ দিয়ে স্লুটের সংস্থায় সিইও হিসেবে যোগ দেন। শুধু তাই নয়, তিনি প্রচুর বিনিয়োগও করতে চান স্লুটের ব্যবসায়। কিন্তু চুক্তির ঠিক এক দিন আগে ১৯৯৯ সালের ১১ জুলাই রহস্যজনকভাবে বাড়ির বাগানে স্লুটের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে হার্টঅ্যাটাক বলা হলেও মনে করা হয় সেটা ছিল খুন। স্লুটের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায় তাঁর বিস্ময় আবিষ্কারটিও। যদিও পিপার ও পার্কিন্স চেয়েছিলেন স্লুট ডিজিটাল কোডিং সিস্টেম বা এসডিসিএস প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। কিন্তু বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যে ফ্লপি ডিস্কটিতে ছিল, তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর তাই এসডিসিএস কোনো সিনেমাকে কীভাবে সংকেতে পরিণত করে সংরক্ষণ করত বা নম্বর দিলে সেই সিনেমা কীভাবে চালু হতো, সেই প্রযুক্তি অপ্রকাশ্যই থেকে গেছে।
সূত্র: কিটাটিভি ডটকম, স্টিমিট
মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটারের নানান গবেষণার মাঝেও বেশি গবেষণা করা হয় স্টোরেজ নিয়ে। মেগাবাইট থেকে টেরাবাইটের সময়ে দাঁড়িয়েও মনে হচ্ছে তথ্য বা ডেটা সংরক্ষণের জায়গা যেন কম পড়ছে, তথ্য রাখার জন্য আরও বেশি স্টোরেজ চাই। কিন্তু ১৯৯৫ সালে তথ্য বা ডেটা সংরক্ষণের নতুন যে আবিষ্কারের কথা শুনিয়েছিলেন রোমকে জ্যঁ বার্নহার্ড স্লুট, সেই আবিষ্কার হারিয়ে না গেলে প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে বেরিয়ে হয়তো স্টোরেজ নিয়ে নতুন গল্প লেখা হতো।
তিন ভাইবোনের মধ্যে ছোট্ট স্লুট জন্মের পরপরই বাবাকে হারান। ডাচ টেকনিক্যাল স্কুলে পাঠরত অবস্থাতেই স্কুল ছেড়ে রেডিও স্টেশনে কাজ নেন। তারপর সেটা ছেড়ে ফিলিপস ইলেকট্রনিকস সংস্থায় কিছুদিন কাজ করে যোগ দেন একটি অডিও-ভিডিও স্টোরে। সেখানে কয়েক বছর কাজ করে অন্য এক শহরে গিয়ে খোলেন নিজস্ব একটি টিভি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামতের সংস্থা। ১৯৮৪ সালে কম্পিউটার প্রযুক্তিতে নিজেকে যুক্ত করেন স্লুট। শুরু করেন ফিলিপস পি ২০০০, কমোডর ৬৪, আইবিএম পিসি এক্সটির মতো কম্পিউটার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। আর সেই সব করতে করতেই মেরামত পরিষেবার একটি অদ্ভুত নেটওয়ার্ক তৈরি করেন, যেখানে সমস্ত মেরামতি কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সংরক্ষণ করা হতো। স্লুট এই নেটওয়ার্কের নাম রেখেছিলেন রেপাবেস। দিনে দিনে রেপাবেসের পরিসর দীর্ঘ হচ্ছিল আর স্টোরেজ বলতে তখন ফ্লপি! স্লুট পাগলের মতো তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিকল্প কিছু আবিষ্কারের সন্ধান করছিলেন। ১৯৯৫ সালে স্লুট একটি ডেটা এনকোডিং কৌশল তৈরি করে নাম দেন স্লুট ডিজিটাল কোডিং সিস্টেম বা এসডিসিএস।
আট কিলোবাইটের মধ্যে একটি আস্ত সিনেমা সংরক্ষণ করতে পারা স্লুট ডিজিটাল কোডিং সিস্টেম দ্রুত প্রযুক্তি দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। স্লটের সহকর্মী জস ভ্যান রসাম এতে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসেন। ১৯৯৬ সালে আবিষ্কর্তা স্লুট আর মালিক রসাম ছয় বছরের স্বত্ব পান এসডিসিএসের।
প্রযুক্তি বিনিয়োগকারীরা এনকোডিং সিস্টেমে অপার সম্ভাবনা ও লাভের সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিলেন। অনেক বিনিয়োগকারী এই প্রযুক্তি কিনতেও চেয়েছিলেন। ফিলিপসের সাবেক কর্তা পিপার সেখানকার চাকরি বাদ দিয়ে স্লুটের সংস্থায় সিইও হিসেবে যোগ দেন। শুধু তাই নয়, তিনি প্রচুর বিনিয়োগও করতে চান স্লুটের ব্যবসায়। কিন্তু চুক্তির ঠিক এক দিন আগে ১৯৯৯ সালের ১১ জুলাই রহস্যজনকভাবে বাড়ির বাগানে স্লুটের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে হার্টঅ্যাটাক বলা হলেও মনে করা হয় সেটা ছিল খুন। স্লুটের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায় তাঁর বিস্ময় আবিষ্কারটিও। যদিও পিপার ও পার্কিন্স চেয়েছিলেন স্লুট ডিজিটাল কোডিং সিস্টেম বা এসডিসিএস প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। কিন্তু বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যে ফ্লপি ডিস্কটিতে ছিল, তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর তাই এসডিসিএস কোনো সিনেমাকে কীভাবে সংকেতে পরিণত করে সংরক্ষণ করত বা নম্বর দিলে সেই সিনেমা কীভাবে চালু হতো, সেই প্রযুক্তি অপ্রকাশ্যই থেকে গেছে।
সূত্র: কিটাটিভি ডটকম, স্টিমিট
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করায় নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে লবণ বাদ দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি, যার ফলে তার শরীরে বিপজ্জনকভাবে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
২২ দিন আগেঅ্যাপলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পিন করা একটি পোস্টে মাস্ক দাবি করেন, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে ওপেনএআই ছাড়া অন্য কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কোম্পানিকে অ্যাপ স্টোরের র্য
২২ দিন আগেবিশ্বের জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই সম্প্রতি তাদের সর্বশেষ সংস্করণ জিপিটি-৫ উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, এই মডেলটি মানুষের পিএইচডি লেভেলের দক্ষ!
২২ দিন আগেস্মার্টফোন আসক্তি অনেকের কাছে ব্যাপক মাথাব্যথার কারণ। বিরতিহীন স্মার্টফোন স্ক্রলিংয়ের কারণে অন্যান্য কাজে মনোযোগ নষ্ট হয়। তা ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে স্মার্টফোনের আসক্তি কমানো যায় স্মার্টফোন দিয়েই। বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা যায়। দেখে নিন
২২ দিন আগে