মইনুল হাসান, ফ্রান্স
শনির উপগ্রহ টাইটানের উদ্দেশে যাত্রা করতে ফড়িংয়ের এখন আর কোনো বাধা নেই! যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) সানন্দে জানিয়েছে, ফড়িং প্রকল্পে ৩৩৫ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। অবশেষে শনির দশা কাটল!
ফড়িং হচ্ছে ‘ড্রাগনফ্লাই’ নামের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিতে ঠাসা ৫০০ কেজি ওজনের একটি বিশাল ড্রোন বা রোটারক্রাফট। ২০২৮ সালের জুলাই মাসে ড্রাগনফ্লাই পৃথিবী থেকে যাত্রা করে টাইটানে পৌঁছাবে ২০৩৪ সালে। সেটি ৬ বছরে পাড়ি দেবে প্রায় ১৪০ কোটি কিলোমিটার, অর্থাৎ ৮৭ কোটি মাইল।
প্রথমবারের মতো পৃথিবীর বাইরে টাইটানের আকাশে ড্রাগনফ্লাই নামের রোটারক্রাফট উড়বে। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা মহাকাশ গবেষণায় আরেকটি ধাপ অতিক্রম করতে যাচ্ছেন। অনেকটা হেলিকপ্টারের মতো রোটারক্রাফট হচ্ছে একধরনের উড়ুক্কু যন্ত্র। ড্রাগনফ্লাই রোটারক্রাফটটি মোট আটটি অনুভূমিক রোটারের সাহায্যে টাইটানের ঘন বায়ুমণ্ডলে স্বচ্ছন্দে উড়ে বেড়াবে।
বৃহস্পতির পরেই সৌর পরিবারের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ শনির আছে ১৪৬টি প্রাকৃতিক উপগ্রহের একটি বিশাল বহর। এর মধ্যে সব থেকে বড় হচ্ছে টাইটান। এগুলোর ব্যাস ৩ হাজার ২০০ মাইল। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বিশেষ পছন্দ অসাধারণ এবং ব্যতিক্রমী শনির চাঁদ এই টাইটান। কারণ, সৌরজগতে পৃথিবীর বাইরে ঘন বায়ুমণ্ডল এবং ভূপৃষ্ঠে তরল পদার্থের সন্ধান মিলেছে শুধু এই টাইটানে। বেশির ভাগ নাইট্রোজেন গ্যাসে গঠিত বায়ুমণ্ডলের চাপ পৃথিবীর চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি। তাপমাত্রা গড়ে শূন্যের নিচে ২৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট, অর্থাৎ মাইনাস ১৭৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টাইটানের মেঘ, বৃষ্টি, নদী ও দিগন্তবিস্তৃত হ্রদগুলো বেশির ভাগ তরল হাইড্রোকার্বন মিথেন এবং ইথেনে টইটম্বুর। শত শত মাইল বিস্তৃত গভীর সমুদ্র, মহাসমুদ্রও আছে। বরফের পুরু স্তরের নিচে তরল পানির মহাসমুদ্রে জীবনের অস্তিত্ব অসম্ভব নয়। জীবনের উন্মেষের জন্য নাইট্রোজেন ও হাইড্রোকার্বন প্রয়োজন পড়ে। তাই এখানেই আছে জীবনের জন্য প্রয়োজন জৈব পদার্থের অঢেল ভান্ডার।
ড্রাগনফ্লাই রোটারক্রাফটটি উড়ে উড়ে আগে থেকে ঠিক করা টাইটানের কয়েক ডজন জায়গায় পৌঁছে যাবে। সেসব জায়গার ছবি, সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করবে এই অত্যাধুনিক উড়ুক্কু যন্ত্রটি। সেই সঙ্গে জীবনের উৎপত্তির জন্য সহায়ক উপাদান ও রাসায়নিকের সন্ধান করবে এটি। এর মাধ্যমে জীবনের উন্মেষের উষাকালের রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলো বোঝার চেষ্টা করবেন বিজ্ঞানীরা।
এই মিশনের প্রধান গবেষক এলিজাবেথ টার্টলের নেতৃত্বে ড্রাগনফ্লাইয়ের নকশা ও নির্মাণের মূল দায়িত্বে রয়েছে মেরিল্যান্ডের লরেলে জনস হপকিন্স ফলিত পদার্থবিজ্ঞান গবেষণাগারের কর্মীরা। নাসা পরিচালিত পুরো মিশনের সঙ্গে জড়িত আছে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং দক্ষ বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদেরা। ফড়িংয়ের টাইটান অভিযানে মহাবিশ্বের অনেক জটিল এবং অমীমাংসিত রহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে মহাকাশবিজ্ঞানীরা বেশ আশাবাদী। সে কারণেই এই বিস্ময়কর অভিযান ঘিরে বিশ্বজুড়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং উৎসাহীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
শনির উপগ্রহ টাইটানের উদ্দেশে যাত্রা করতে ফড়িংয়ের এখন আর কোনো বাধা নেই! যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) সানন্দে জানিয়েছে, ফড়িং প্রকল্পে ৩৩৫ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। অবশেষে শনির দশা কাটল!
ফড়িং হচ্ছে ‘ড্রাগনফ্লাই’ নামের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিতে ঠাসা ৫০০ কেজি ওজনের একটি বিশাল ড্রোন বা রোটারক্রাফট। ২০২৮ সালের জুলাই মাসে ড্রাগনফ্লাই পৃথিবী থেকে যাত্রা করে টাইটানে পৌঁছাবে ২০৩৪ সালে। সেটি ৬ বছরে পাড়ি দেবে প্রায় ১৪০ কোটি কিলোমিটার, অর্থাৎ ৮৭ কোটি মাইল।
প্রথমবারের মতো পৃথিবীর বাইরে টাইটানের আকাশে ড্রাগনফ্লাই নামের রোটারক্রাফট উড়বে। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা মহাকাশ গবেষণায় আরেকটি ধাপ অতিক্রম করতে যাচ্ছেন। অনেকটা হেলিকপ্টারের মতো রোটারক্রাফট হচ্ছে একধরনের উড়ুক্কু যন্ত্র। ড্রাগনফ্লাই রোটারক্রাফটটি মোট আটটি অনুভূমিক রোটারের সাহায্যে টাইটানের ঘন বায়ুমণ্ডলে স্বচ্ছন্দে উড়ে বেড়াবে।
বৃহস্পতির পরেই সৌর পরিবারের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ শনির আছে ১৪৬টি প্রাকৃতিক উপগ্রহের একটি বিশাল বহর। এর মধ্যে সব থেকে বড় হচ্ছে টাইটান। এগুলোর ব্যাস ৩ হাজার ২০০ মাইল। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বিশেষ পছন্দ অসাধারণ এবং ব্যতিক্রমী শনির চাঁদ এই টাইটান। কারণ, সৌরজগতে পৃথিবীর বাইরে ঘন বায়ুমণ্ডল এবং ভূপৃষ্ঠে তরল পদার্থের সন্ধান মিলেছে শুধু এই টাইটানে। বেশির ভাগ নাইট্রোজেন গ্যাসে গঠিত বায়ুমণ্ডলের চাপ পৃথিবীর চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি। তাপমাত্রা গড়ে শূন্যের নিচে ২৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট, অর্থাৎ মাইনাস ১৭৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টাইটানের মেঘ, বৃষ্টি, নদী ও দিগন্তবিস্তৃত হ্রদগুলো বেশির ভাগ তরল হাইড্রোকার্বন মিথেন এবং ইথেনে টইটম্বুর। শত শত মাইল বিস্তৃত গভীর সমুদ্র, মহাসমুদ্রও আছে। বরফের পুরু স্তরের নিচে তরল পানির মহাসমুদ্রে জীবনের অস্তিত্ব অসম্ভব নয়। জীবনের উন্মেষের জন্য নাইট্রোজেন ও হাইড্রোকার্বন প্রয়োজন পড়ে। তাই এখানেই আছে জীবনের জন্য প্রয়োজন জৈব পদার্থের অঢেল ভান্ডার।
ড্রাগনফ্লাই রোটারক্রাফটটি উড়ে উড়ে আগে থেকে ঠিক করা টাইটানের কয়েক ডজন জায়গায় পৌঁছে যাবে। সেসব জায়গার ছবি, সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করবে এই অত্যাধুনিক উড়ুক্কু যন্ত্রটি। সেই সঙ্গে জীবনের উৎপত্তির জন্য সহায়ক উপাদান ও রাসায়নিকের সন্ধান করবে এটি। এর মাধ্যমে জীবনের উন্মেষের উষাকালের রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলো বোঝার চেষ্টা করবেন বিজ্ঞানীরা।
এই মিশনের প্রধান গবেষক এলিজাবেথ টার্টলের নেতৃত্বে ড্রাগনফ্লাইয়ের নকশা ও নির্মাণের মূল দায়িত্বে রয়েছে মেরিল্যান্ডের লরেলে জনস হপকিন্স ফলিত পদার্থবিজ্ঞান গবেষণাগারের কর্মীরা। নাসা পরিচালিত পুরো মিশনের সঙ্গে জড়িত আছে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং দক্ষ বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদেরা। ফড়িংয়ের টাইটান অভিযানে মহাবিশ্বের অনেক জটিল এবং অমীমাংসিত রহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে মহাকাশবিজ্ঞানীরা বেশ আশাবাদী। সে কারণেই এই বিস্ময়কর অভিযান ঘিরে বিশ্বজুড়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং উৎসাহীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করায় নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে লবণ বাদ দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি, যার ফলে তার শরীরে বিপজ্জনকভাবে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
২৩ দিন আগেঅ্যাপলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পিন করা একটি পোস্টে মাস্ক দাবি করেন, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে ওপেনএআই ছাড়া অন্য কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কোম্পানিকে অ্যাপ স্টোরের র্য
২৩ দিন আগেবিশ্বের জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই সম্প্রতি তাদের সর্বশেষ সংস্করণ জিপিটি-৫ উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, এই মডেলটি মানুষের পিএইচডি লেভেলের দক্ষ!
২৩ দিন আগেস্মার্টফোন আসক্তি অনেকের কাছে ব্যাপক মাথাব্যথার কারণ। বিরতিহীন স্মার্টফোন স্ক্রলিংয়ের কারণে অন্যান্য কাজে মনোযোগ নষ্ট হয়। তা ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে স্মার্টফোনের আসক্তি কমানো যায় স্মার্টফোন দিয়েই। বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা যায়। দেখে নিন
২৩ দিন আগে