টি এইচ মাহির
দোকানে নেই কর্মচারী, রান্নাঘরে নেই শেফ। তবু গ্রাহকদের জন্য তৈরি হচ্ছে খাবার। সময়মতো গ্রাহকেরা তা পেয়েও যাচ্ছেন। বলছিলাম দ্য উইংম্যান নামের রোবটের কথা, যে খাবার বানিয়ে গ্রাহকদের সরবরাহ করছে।
আমেরিকার গ্রামীণ অঞ্চলে কিছু দোকান দেখা যায়। যেখানে বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড পাওয়া যায়। রাস্তা দিয়ে যাওয়া কোনো পথিক কিংবা গাড়ি সেখানে দাঁড়িয়ে খাবার নিতে পারে। আমেরিকায় এসব দোকানের ব্যাপক চল রয়েছে। আর সেই সব দোকানের কথা চিন্তা করে নালা নামে একটি রোবোটিকস কোম্পানি তৈরি করেছে বিশেষ ধরনের রোবট। যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাবার রান্না করে। মানুষের হাতের স্পর্শ ছাড়াই রান্না করে এই রোবট। মুরগি ফ্রাই, রুটি তৈরি, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, সস দেওয়া, এমনকি খাবার প্যাক করতে পারে এ রোবট।
নালা নামের এ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের রোবোটিক যন্ত্রপাতি তৈরি করে। প্রতিষ্ঠানটির তৈরি দ্য উইংম্যান নামের রোবটটি দেখতে অনেকটা মেশিনের মতো। রান্নাঘরে কাজ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এটি কোনো সাধারণ রোবট নয়। এটি মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়া ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। এই রোবট গ্রাহকের ভাষাও বুঝতে পারে। ভাষা-প্রক্রিয়া করে গ্রাহকের আদেশকে রান্নাঘর থেকে অপারেশনাল কমান্ডের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। একই সঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারে দ্য উইংম্যান। ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁ, পেশাদার রেস্তোরাঁ, ফুডকোর্টসহ বিভিন্ন রান্নাঘরে ব্যবহার করে যাবে এই রোবট। মূলত এআইচালিত হওয়ায় এটি অনেক জটিল কাজও সহজে সমাধান করতে পারে। নালা রোবোটিকসের এআই-সক্ষম ভার্চুয়াল রান্নাঘরগুলো উন্নত সেন্সর, নির্ভুল রান্নার প্রক্রিয়া এবং মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম দিয়ে সজ্জিত। তাই রোবোটিক শেফরা দক্ষতার সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করতে পারে।
দ্য উইংম্যান শেফ গ্রাহকের অর্ডার পাওয়ার ১০ সেকেন্ডের মধ্যে খাবার তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করতে পারে। আর সব উপাদান নিয়ে চুলায় রাখতে সময় নেয় ৫ সেকেন্ড। আবার রান্নার পর খাবারে সস মেশাতে সময় নেয় ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড। এগুলো মূলত ফাস্ট ফুডের অর্ডারের ক্ষেত্রে নেওয়া সময়। নালা রোবোটিকস জানিয়েছে, মাত্রা ৪ মিনিটে খাবার তৈরি শেষ করতে পারে উইংম্যান। ইতিমধ্যে এই রোবোটিক শেফকে ফ্রায়েড চিকেন ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রান্না করতে ব্যবহার করা হচ্ছে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু রেস্তোরাঁয়।
এই রোবট শেফ শুধু দোকানের গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্ডার নেয়, এমন নয়। ক্লাউডভিত্তিক অর্ডার করার ব্যবস্থাও চালু করা যায় এই রোবটে। এআইচালিত, নির্ভুল রান্নার প্রক্রিয়া, মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম দিয়ে তৈরি দ্য উইংম্যানকে ভবিষ্যতে অনলাইন অর্ডার হোম ডেলিভারি দেওয়ার কাজে লাগানোর কথাও চিন্তাভাবনা করছে নালা রোবোটিকস। প্রতিষ্ঠানটির শুধু এই রোবট নয়, রান্নাঘরে ব্যবহারের জন্য আরও বেশ কিছু প্রযুক্তি রয়েছে, যেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। দ্য উইংম্যানকে বাজারজাতও করেছে নালা রোবোটিকস কোম্পানি। ভাড়ার বিনিময়ে এই রোবট নিতে গেলে প্রতি মাসে গুনতে হবে প্রায় তিন লাখ টাকা।
তথ্যসূত্র ও ছবি: দ্য ভার্জ, বিজনেসওয়্যার ডটকম, দ্য উইংম্যান
দোকানে নেই কর্মচারী, রান্নাঘরে নেই শেফ। তবু গ্রাহকদের জন্য তৈরি হচ্ছে খাবার। সময়মতো গ্রাহকেরা তা পেয়েও যাচ্ছেন। বলছিলাম দ্য উইংম্যান নামের রোবটের কথা, যে খাবার বানিয়ে গ্রাহকদের সরবরাহ করছে।
আমেরিকার গ্রামীণ অঞ্চলে কিছু দোকান দেখা যায়। যেখানে বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড পাওয়া যায়। রাস্তা দিয়ে যাওয়া কোনো পথিক কিংবা গাড়ি সেখানে দাঁড়িয়ে খাবার নিতে পারে। আমেরিকায় এসব দোকানের ব্যাপক চল রয়েছে। আর সেই সব দোকানের কথা চিন্তা করে নালা নামে একটি রোবোটিকস কোম্পানি তৈরি করেছে বিশেষ ধরনের রোবট। যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাবার রান্না করে। মানুষের হাতের স্পর্শ ছাড়াই রান্না করে এই রোবট। মুরগি ফ্রাই, রুটি তৈরি, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, সস দেওয়া, এমনকি খাবার প্যাক করতে পারে এ রোবট।
নালা নামের এ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের রোবোটিক যন্ত্রপাতি তৈরি করে। প্রতিষ্ঠানটির তৈরি দ্য উইংম্যান নামের রোবটটি দেখতে অনেকটা মেশিনের মতো। রান্নাঘরে কাজ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এটি কোনো সাধারণ রোবট নয়। এটি মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়া ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। এই রোবট গ্রাহকের ভাষাও বুঝতে পারে। ভাষা-প্রক্রিয়া করে গ্রাহকের আদেশকে রান্নাঘর থেকে অপারেশনাল কমান্ডের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। একই সঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারে দ্য উইংম্যান। ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁ, পেশাদার রেস্তোরাঁ, ফুডকোর্টসহ বিভিন্ন রান্নাঘরে ব্যবহার করে যাবে এই রোবট। মূলত এআইচালিত হওয়ায় এটি অনেক জটিল কাজও সহজে সমাধান করতে পারে। নালা রোবোটিকসের এআই-সক্ষম ভার্চুয়াল রান্নাঘরগুলো উন্নত সেন্সর, নির্ভুল রান্নার প্রক্রিয়া এবং মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম দিয়ে সজ্জিত। তাই রোবোটিক শেফরা দক্ষতার সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করতে পারে।
দ্য উইংম্যান শেফ গ্রাহকের অর্ডার পাওয়ার ১০ সেকেন্ডের মধ্যে খাবার তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করতে পারে। আর সব উপাদান নিয়ে চুলায় রাখতে সময় নেয় ৫ সেকেন্ড। আবার রান্নার পর খাবারে সস মেশাতে সময় নেয় ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড। এগুলো মূলত ফাস্ট ফুডের অর্ডারের ক্ষেত্রে নেওয়া সময়। নালা রোবোটিকস জানিয়েছে, মাত্রা ৪ মিনিটে খাবার তৈরি শেষ করতে পারে উইংম্যান। ইতিমধ্যে এই রোবোটিক শেফকে ফ্রায়েড চিকেন ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রান্না করতে ব্যবহার করা হচ্ছে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু রেস্তোরাঁয়।
এই রোবট শেফ শুধু দোকানের গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্ডার নেয়, এমন নয়। ক্লাউডভিত্তিক অর্ডার করার ব্যবস্থাও চালু করা যায় এই রোবটে। এআইচালিত, নির্ভুল রান্নার প্রক্রিয়া, মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম দিয়ে তৈরি দ্য উইংম্যানকে ভবিষ্যতে অনলাইন অর্ডার হোম ডেলিভারি দেওয়ার কাজে লাগানোর কথাও চিন্তাভাবনা করছে নালা রোবোটিকস। প্রতিষ্ঠানটির শুধু এই রোবট নয়, রান্নাঘরে ব্যবহারের জন্য আরও বেশ কিছু প্রযুক্তি রয়েছে, যেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। দ্য উইংম্যানকে বাজারজাতও করেছে নালা রোবোটিকস কোম্পানি। ভাড়ার বিনিময়ে এই রোবট নিতে গেলে প্রতি মাসে গুনতে হবে প্রায় তিন লাখ টাকা।
তথ্যসূত্র ও ছবি: দ্য ভার্জ, বিজনেসওয়্যার ডটকম, দ্য উইংম্যান
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করায় নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে লবণ বাদ দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি, যার ফলে তার শরীরে বিপজ্জনকভাবে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
২১ দিন আগেঅ্যাপলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পিন করা একটি পোস্টে মাস্ক দাবি করেন, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে ওপেনএআই ছাড়া অন্য কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কোম্পানিকে অ্যাপ স্টোরের র্য
২২ দিন আগেবিশ্বের জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই সম্প্রতি তাদের সর্বশেষ সংস্করণ জিপিটি-৫ উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, এই মডেলটি মানুষের পিএইচডি লেভেলের দক্ষ!
২২ দিন আগেস্মার্টফোন আসক্তি অনেকের কাছে ব্যাপক মাথাব্যথার কারণ। বিরতিহীন স্মার্টফোন স্ক্রলিংয়ের কারণে অন্যান্য কাজে মনোযোগ নষ্ট হয়। তা ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে স্মার্টফোনের আসক্তি কমানো যায় স্মার্টফোন দিয়েই। বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা যায়। দেখে নিন
২২ দিন আগে