বর্তমানে প্রযুক্তির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো রোবটের চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে উপলব্ধি করার ক্ষমতা বাড়ানো। বিশেষ করে রোবটের সামনে ধোঁয়া, বৃষ্টি বা অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক বাধা এলে এগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এখন ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার গবেষকেরা এমন এক যুগান্তকারী প্রযুক্তি তৈরি করেছেন, যা রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে রোবটকে ‘সুপার হিউম্যান ভিশন’ দেয় এবং ধোঁয়া বা খারাপ আবহাওয়ায় এগুলো কাজ চালিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, মানুষের দৃষ্টিশক্তিকে ছাড়িয়ে গেল এই রোবট।
সাধারণত রোবটগুলোতে ক্যামেরা বা লাইডার সেন্সর ব্যবহার করা হয়। এই আলোনির্ভর ভিশন সিস্টেম খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে খুব একটা কার্যকরী নয়। ঘন কুয়াশা কিংবা ধোঁয়ায় এই প্রযুক্তিগুলো তেমন একটা কাজে আসে না।
তবে প্রকৃতি থেকে অনুপ্রেরণা পেলেন বিজ্ঞানীরা। দেখার জন্য সব প্রাণী আলোর ওপর নির্ভরশীল নয়। বাদুড়েরা তাদের শব্দের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে আশপাশের পরিবেশের পুরো চিত্র মস্তিষ্কে তৈরি করে, আর হাঙররা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের পরিবর্তন অনুভব করে শিকার শনাক্ত করতে পারে। এই প্রাণী জগৎ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিজ্ঞানীরা এখন এমন একটি প্রযুক্তি তৈরি করেছেন যা রোবটকে সুপার হিউম্যান ভিশন দিতে পারে।
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা তৈরি করেছেন ‘প্যানোরাডার’ নামের এক নতুন প্রযুক্তি যা রেডিও তরঙ্গের সাহায্যে রোবটের জন্য ত্রিমাত্রিক (৩ডি) দৃশ্য তৈরি করে। এই প্রযুক্তি কুয়াশা, ধোঁয়া কিংবা অন্য যে কোনো কঠিন পরিবেশে কাজ রোবটকে কাজ করতে সাহায্য করবে। যেখানে সাধারণ ক্যামেরা বা লাইডার কাজ করতে পারে না। রেডিও তরঙ্গের দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্য এই পরিস্থিতিতে রোবটের চোখ হয়ে কাজ করে, যা মানুষের মতো সাধারণ চোখের জন্য অসম্ভব।
কম্পিউটার সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান সদস্য মিংমিন ঝাও বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম রেডিও তরঙ্গের শক্তি এবং ভিজ্যুয়াল সেন্সরের উচ্চ রেজল্যুশন একত্রিত করতে, যাতে একটি কার্যকরী এবং শক্তিশালী সিস্টেম তৈরি হয়, যা বৈরী পরিবেশেও কাজ করতে পারে।’
রেডিও তরঙ্গের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। বহু বছর ধরেই রাডার সিস্টেম বিমান, জাহাজ এবং আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে ব্যবহার হচ্ছে। তবে প্রফেসর ঝাও এবং তাঁর ছাত্ররা এটি আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাঁদের রোবটের স্পিনিং অ্যানটেনা ৩৬০ ডিগ্রি পরিধিতে রেডিও তরঙ্গ ছড়িয়ে দিয়ে সেগুলোর প্রতিফলন থেকে একটি ত্রিমাত্রিক চিত্র তৈরি করে, যা রোবটকে ধোঁয়া বা বৃষ্টির মধ্যেও পরিস্থিতি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করবে।
ঝাও বলেন, ‘আমরা রোবটের জন্য এমন প্রযুক্তি তৈরি করতে চাই, যা মানুষের চোখ বা অন্যান্য সেন্সরের সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে দেখতে সক্ষম।’ এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে উদ্ধারকারী রোবটদের জন্য বিশেষ উপকারী হতে পারে। যেমন—আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবন থেকে মানুষকে উদ্ধার করা।
রেডিও তরঙ্গের আরেকটি সুবিধা হলো এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য আলোর চেয়ে অনেক বড়, ফলে এটি ধোঁয়া বা ক্ষুদ্র কণার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এতে রোবট এমন পরিস্থিতিতেও পরিবেশের দৃশ্য তৈরি করতে পারে যেখানে ক্যামেরা বা লিডার কাজ করতে পারে না।
তবে, ঝাও উল্লেখ করেন যে রেডিও তরঙ্গের এই প্রযুক্তি কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন—একসঙ্গে স্পিনিং অ্যানটেনা পুরো দিক থেকে ছবি নিতে পারে না। তবে এটি এমন এক প্রযুক্তি, যা ভবিষ্যতে স্বয়ংক্রিয় যানবাহন এবং অন্যান্য রোবটিক সিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এমনকি, এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুধু রোবটিকসেই সীমাবদ্ধ নয়। পুলিশ বা সেনাবাহিনীও রেডিও তরঙ্গের সাহায্যে দেয়ালের পেছনে লুকানো বস্তু খুঁজে বের করতে সক্ষম হতে পারে।
এই নতুন প্রযুক্তি রোবটিকস খাতে একটি বিপ্লব ঘটাতে পারে। তবে এর নিরাপত্তা ও নৈতিক ব্যবহারের বিষয় নিয়েও সচেতন থাকা জরুরি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি ও পেন টুডে
বর্তমানে প্রযুক্তির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো রোবটের চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে উপলব্ধি করার ক্ষমতা বাড়ানো। বিশেষ করে রোবটের সামনে ধোঁয়া, বৃষ্টি বা অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক বাধা এলে এগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এখন ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার গবেষকেরা এমন এক যুগান্তকারী প্রযুক্তি তৈরি করেছেন, যা রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে রোবটকে ‘সুপার হিউম্যান ভিশন’ দেয় এবং ধোঁয়া বা খারাপ আবহাওয়ায় এগুলো কাজ চালিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, মানুষের দৃষ্টিশক্তিকে ছাড়িয়ে গেল এই রোবট।
সাধারণত রোবটগুলোতে ক্যামেরা বা লাইডার সেন্সর ব্যবহার করা হয়। এই আলোনির্ভর ভিশন সিস্টেম খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে খুব একটা কার্যকরী নয়। ঘন কুয়াশা কিংবা ধোঁয়ায় এই প্রযুক্তিগুলো তেমন একটা কাজে আসে না।
তবে প্রকৃতি থেকে অনুপ্রেরণা পেলেন বিজ্ঞানীরা। দেখার জন্য সব প্রাণী আলোর ওপর নির্ভরশীল নয়। বাদুড়েরা তাদের শব্দের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে আশপাশের পরিবেশের পুরো চিত্র মস্তিষ্কে তৈরি করে, আর হাঙররা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের পরিবর্তন অনুভব করে শিকার শনাক্ত করতে পারে। এই প্রাণী জগৎ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিজ্ঞানীরা এখন এমন একটি প্রযুক্তি তৈরি করেছেন যা রোবটকে সুপার হিউম্যান ভিশন দিতে পারে।
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা তৈরি করেছেন ‘প্যানোরাডার’ নামের এক নতুন প্রযুক্তি যা রেডিও তরঙ্গের সাহায্যে রোবটের জন্য ত্রিমাত্রিক (৩ডি) দৃশ্য তৈরি করে। এই প্রযুক্তি কুয়াশা, ধোঁয়া কিংবা অন্য যে কোনো কঠিন পরিবেশে কাজ রোবটকে কাজ করতে সাহায্য করবে। যেখানে সাধারণ ক্যামেরা বা লাইডার কাজ করতে পারে না। রেডিও তরঙ্গের দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্য এই পরিস্থিতিতে রোবটের চোখ হয়ে কাজ করে, যা মানুষের মতো সাধারণ চোখের জন্য অসম্ভব।
কম্পিউটার সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান সদস্য মিংমিন ঝাও বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম রেডিও তরঙ্গের শক্তি এবং ভিজ্যুয়াল সেন্সরের উচ্চ রেজল্যুশন একত্রিত করতে, যাতে একটি কার্যকরী এবং শক্তিশালী সিস্টেম তৈরি হয়, যা বৈরী পরিবেশেও কাজ করতে পারে।’
রেডিও তরঙ্গের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। বহু বছর ধরেই রাডার সিস্টেম বিমান, জাহাজ এবং আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে ব্যবহার হচ্ছে। তবে প্রফেসর ঝাও এবং তাঁর ছাত্ররা এটি আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাঁদের রোবটের স্পিনিং অ্যানটেনা ৩৬০ ডিগ্রি পরিধিতে রেডিও তরঙ্গ ছড়িয়ে দিয়ে সেগুলোর প্রতিফলন থেকে একটি ত্রিমাত্রিক চিত্র তৈরি করে, যা রোবটকে ধোঁয়া বা বৃষ্টির মধ্যেও পরিস্থিতি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করবে।
ঝাও বলেন, ‘আমরা রোবটের জন্য এমন প্রযুক্তি তৈরি করতে চাই, যা মানুষের চোখ বা অন্যান্য সেন্সরের সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে দেখতে সক্ষম।’ এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে উদ্ধারকারী রোবটদের জন্য বিশেষ উপকারী হতে পারে। যেমন—আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবন থেকে মানুষকে উদ্ধার করা।
রেডিও তরঙ্গের আরেকটি সুবিধা হলো এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য আলোর চেয়ে অনেক বড়, ফলে এটি ধোঁয়া বা ক্ষুদ্র কণার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এতে রোবট এমন পরিস্থিতিতেও পরিবেশের দৃশ্য তৈরি করতে পারে যেখানে ক্যামেরা বা লিডার কাজ করতে পারে না।
তবে, ঝাও উল্লেখ করেন যে রেডিও তরঙ্গের এই প্রযুক্তি কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন—একসঙ্গে স্পিনিং অ্যানটেনা পুরো দিক থেকে ছবি নিতে পারে না। তবে এটি এমন এক প্রযুক্তি, যা ভবিষ্যতে স্বয়ংক্রিয় যানবাহন এবং অন্যান্য রোবটিক সিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এমনকি, এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুধু রোবটিকসেই সীমাবদ্ধ নয়। পুলিশ বা সেনাবাহিনীও রেডিও তরঙ্গের সাহায্যে দেয়ালের পেছনে লুকানো বস্তু খুঁজে বের করতে সক্ষম হতে পারে।
এই নতুন প্রযুক্তি রোবটিকস খাতে একটি বিপ্লব ঘটাতে পারে। তবে এর নিরাপত্তা ও নৈতিক ব্যবহারের বিষয় নিয়েও সচেতন থাকা জরুরি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি ও পেন টুডে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করায় নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে লবণ বাদ দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি, যার ফলে তার শরীরে বিপজ্জনকভাবে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পিন করা একটি পোস্টে মাস্ক দাবি করেন, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে ওপেনএআই ছাড়া অন্য কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কোম্পানিকে অ্যাপ স্টোরের র্য
১২ আগস্ট ২০২৫বিশ্বের জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই সম্প্রতি তাদের সর্বশেষ সংস্করণ জিপিটি-৫ উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, এই মডেলটি মানুষের পিএইচডি লেভেলের দক্ষ!
১২ আগস্ট ২০২৫স্মার্টফোন আসক্তি অনেকের কাছে ব্যাপক মাথাব্যথার কারণ। বিরতিহীন স্মার্টফোন স্ক্রলিংয়ের কারণে অন্যান্য কাজে মনোযোগ নষ্ট হয়। তা ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে স্মার্টফোনের আসক্তি কমানো যায় স্মার্টফোন দিয়েই। বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা যায়। দেখে নিন
১২ আগস্ট ২০২৫