কাজী কাওছার সুইট। বর্তমানে ইলহাম লাইফস্টাইল লিমিটেডের হেড অব ই-কমার্স। এর আগে তিনি অথবা ডটকম এবং দীর্ঘ সময় রকমারি ডটকমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। বাংলাদেশে ই-কমার্সের ক্ষেত্রটা কেমন, ই-কমার্স নিয়ে কী প্রত্যাশা, এ ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের জন্য কী সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে– প্রভৃতি বিষয় নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নাসিম আহমেদ।
ই-কমার্সের সঙ্গে কীভাবে জড়িত হলেন?
২০১২ সালের কথা। তখন আমি ঢাকার ইস্টার্ন প্লাজার একটা মার্কেটিং কনসালটেন্সি ফার্মে জব করতাম। আমার বাবা কোরবানির ঈদের সকালে আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলেন। সেখানেই কথা হলো রকমারি ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে। পরে ঢাকায় ফিরে রকমারির হেড অফিসে গিয়ে কথা হলো। তখনও জানতাম না অনলাইনে এভাবে কেনাকাটা করা যায়। বিভিন্ন আলোচনা শেষে এটাই ঠিক হলো যে, ই-কমার্সেই কাজ করবো। এরপরই শুরু হলো ই-কমার্স–এর সাথে পথচলা।
বাংলাদেশে ই-কমার্সের ক্ষেত্রটা কেমন দেখছেন?
দেশে ই-কমার্স–এর ক্ষেত্রটা বিশাল। ১৬৭ মিলিয়ন মানুষের দেশে যেমন ই-কমার্স ব্যবসা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে তেমনিভাবে কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে। সরকার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলে অনেকেই কাজ করছে এই খাতে। ই-ক্যাবের তথ্য মতে বাংলাদেশে রেজিস্টার্ড ই-কমার্স কোম্পানির সংখ্যা ১ হাজার ৩০০–এর বেশি। আর যদি আমরা এফ-কমার্স–এর কথা বলি তাহলে বর্তমানে প্রায় চার লাখের বেশি উদ্যোক্তা রয়েছে।
কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, আপনার অভিজ্ঞতা থেকে বলুন
বাংলাদেশে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা লজিস্টিকস। সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি করার জন্য এখনও কুরিয়ারের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু এখনো তেমন কোনো ভালো কুরিয়ার কোম্পানি গড়ে ওঠেনি। যারা কাজ করছে তারা রিমোট এরিয়াতে ডেলিভারি করতে পারে না। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকদের এই সেবার আওতায় আনা যাচ্ছে না।
বড় সমস্যার মধ্যে অন্যতম আরেকটি হলো ইন্টারনেটের ধীর গতি। যেহেতু এই ব্যবসা ইন্টারনেটনির্ভর, তাই ধীর গতির ইন্টারনেট দিয়ে আসলে দ্রুততম সময়ে সার্ভিস দেওয় সম্ভব হচ্ছে না। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যে স্পিডের কথা বলে তা কেবল কাগজে–কলমে। অন্যদিকে মোবাইলে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারাও কাঙ্ক্ষিত মানের সেবা পাচ্ছেন না। ফলে ই-কমার্স দ্রুত বাড়তে পারছে না।
মূলধন সংকটও বর্তমানে বড় বাধা। যারা উদ্যোক্তা হতে চাইছেন বা ব্যবসা বড় করতে চাইছেন প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে সেটা করতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থা সহজশর্তে ঋণ দেওয়ার কথা বললেও সে সুবিধা অনেকেই নিতে পারছেন না। অন্যদিকে দেশের বড় ব্যবসায়ীরাও এখানে তেমন বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
ই-কমার্স ব্যবসার কেমন ভবিষ্যৎ দেখতে চান?
ই-কমার্স থেকে প্রত্যাশা অনেক। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে ই-কমার্সের বিকল্প নেই। আমি আশা করি আগামীতে ই-কমার্সই বাংলাদেশের বাজার দখল করবে। আজকে যতো ধরনের ব্যবসা আমরা দেখছি তার সবই একদিন ই-কমার্সের মাধ্যমে হবে। একইসঙ্গে বড় যে কাজ হবে, ই-কমার্স ব্যবসার প্রসারের সাথে সাথে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
নতুন প্রজন্মের যারা ই–কমার্স ব্যবসায় আসার কথা ভাবছে তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
নতুন প্রজন্মের যারা এই পেশা বা ব্যবসায় আসতে চায় তাদের জন্য মেসেজ হলো, প্রথমেই এ বিষয়ে পড়াশোনা করতে হবে। গোটা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না হলেও ই-ক্যাব ব্লগ এবং গুগলের মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য জানা যাবে। যার ফলে যেকেউ সহজেই এই সেক্টর সম্পর্কে জানতে পারবে এবং উদ্যোক্তা কিংবা চাকরিজীবী যেটা হতেই চাইবে সেটা সহজ হবে। না জেনে না বুঝে কোনো কিছু করা উচিত না।
কাজী কাওছার সুইট। বর্তমানে ইলহাম লাইফস্টাইল লিমিটেডের হেড অব ই-কমার্স। এর আগে তিনি অথবা ডটকম এবং দীর্ঘ সময় রকমারি ডটকমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। বাংলাদেশে ই-কমার্সের ক্ষেত্রটা কেমন, ই-কমার্স নিয়ে কী প্রত্যাশা, এ ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের জন্য কী সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে– প্রভৃতি বিষয় নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নাসিম আহমেদ।
ই-কমার্সের সঙ্গে কীভাবে জড়িত হলেন?
২০১২ সালের কথা। তখন আমি ঢাকার ইস্টার্ন প্লাজার একটা মার্কেটিং কনসালটেন্সি ফার্মে জব করতাম। আমার বাবা কোরবানির ঈদের সকালে আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলেন। সেখানেই কথা হলো রকমারি ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে। পরে ঢাকায় ফিরে রকমারির হেড অফিসে গিয়ে কথা হলো। তখনও জানতাম না অনলাইনে এভাবে কেনাকাটা করা যায়। বিভিন্ন আলোচনা শেষে এটাই ঠিক হলো যে, ই-কমার্সেই কাজ করবো। এরপরই শুরু হলো ই-কমার্স–এর সাথে পথচলা।
বাংলাদেশে ই-কমার্সের ক্ষেত্রটা কেমন দেখছেন?
দেশে ই-কমার্স–এর ক্ষেত্রটা বিশাল। ১৬৭ মিলিয়ন মানুষের দেশে যেমন ই-কমার্স ব্যবসা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে তেমনিভাবে কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে। সরকার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলে অনেকেই কাজ করছে এই খাতে। ই-ক্যাবের তথ্য মতে বাংলাদেশে রেজিস্টার্ড ই-কমার্স কোম্পানির সংখ্যা ১ হাজার ৩০০–এর বেশি। আর যদি আমরা এফ-কমার্স–এর কথা বলি তাহলে বর্তমানে প্রায় চার লাখের বেশি উদ্যোক্তা রয়েছে।
কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, আপনার অভিজ্ঞতা থেকে বলুন
বাংলাদেশে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা লজিস্টিকস। সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি করার জন্য এখনও কুরিয়ারের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু এখনো তেমন কোনো ভালো কুরিয়ার কোম্পানি গড়ে ওঠেনি। যারা কাজ করছে তারা রিমোট এরিয়াতে ডেলিভারি করতে পারে না। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকদের এই সেবার আওতায় আনা যাচ্ছে না।
বড় সমস্যার মধ্যে অন্যতম আরেকটি হলো ইন্টারনেটের ধীর গতি। যেহেতু এই ব্যবসা ইন্টারনেটনির্ভর, তাই ধীর গতির ইন্টারনেট দিয়ে আসলে দ্রুততম সময়ে সার্ভিস দেওয় সম্ভব হচ্ছে না। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যে স্পিডের কথা বলে তা কেবল কাগজে–কলমে। অন্যদিকে মোবাইলে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারাও কাঙ্ক্ষিত মানের সেবা পাচ্ছেন না। ফলে ই-কমার্স দ্রুত বাড়তে পারছে না।
মূলধন সংকটও বর্তমানে বড় বাধা। যারা উদ্যোক্তা হতে চাইছেন বা ব্যবসা বড় করতে চাইছেন প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে সেটা করতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থা সহজশর্তে ঋণ দেওয়ার কথা বললেও সে সুবিধা অনেকেই নিতে পারছেন না। অন্যদিকে দেশের বড় ব্যবসায়ীরাও এখানে তেমন বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
ই-কমার্স ব্যবসার কেমন ভবিষ্যৎ দেখতে চান?
ই-কমার্স থেকে প্রত্যাশা অনেক। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে ই-কমার্সের বিকল্প নেই। আমি আশা করি আগামীতে ই-কমার্সই বাংলাদেশের বাজার দখল করবে। আজকে যতো ধরনের ব্যবসা আমরা দেখছি তার সবই একদিন ই-কমার্সের মাধ্যমে হবে। একইসঙ্গে বড় যে কাজ হবে, ই-কমার্স ব্যবসার প্রসারের সাথে সাথে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
নতুন প্রজন্মের যারা ই–কমার্স ব্যবসায় আসার কথা ভাবছে তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
নতুন প্রজন্মের যারা এই পেশা বা ব্যবসায় আসতে চায় তাদের জন্য মেসেজ হলো, প্রথমেই এ বিষয়ে পড়াশোনা করতে হবে। গোটা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না হলেও ই-ক্যাব ব্লগ এবং গুগলের মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য জানা যাবে। যার ফলে যেকেউ সহজেই এই সেক্টর সম্পর্কে জানতে পারবে এবং উদ্যোক্তা কিংবা চাকরিজীবী যেটা হতেই চাইবে সেটা সহজ হবে। না জেনে না বুঝে কোনো কিছু করা উচিত না।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করায় নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে লবণ বাদ দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি, যার ফলে তার শরীরে বিপজ্জনকভাবে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পিন করা একটি পোস্টে মাস্ক দাবি করেন, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে ওপেনএআই ছাড়া অন্য কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কোম্পানিকে অ্যাপ স্টোরের র্য
১২ আগস্ট ২০২৫বিশ্বের জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই সম্প্রতি তাদের সর্বশেষ সংস্করণ জিপিটি-৫ উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, এই মডেলটি মানুষের পিএইচডি লেভেলের দক্ষ!
১২ আগস্ট ২০২৫স্মার্টফোন আসক্তি অনেকের কাছে ব্যাপক মাথাব্যথার কারণ। বিরতিহীন স্মার্টফোন স্ক্রলিংয়ের কারণে অন্যান্য কাজে মনোযোগ নষ্ট হয়। তা ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে স্মার্টফোনের আসক্তি কমানো যায় স্মার্টফোন দিয়েই। বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা যায়। দেখে নিন
১২ আগস্ট ২০২৫