আজাদুল আদনান, ঢাকা
দুই বছর আগে চশমা ছাড়া চলতে পারত ১৩ বছরের মায়িশা। এখন পারছে না। জন্মগত কোনো সমস্যা না হলেও প্রায় দেড় বছর ধরে চিকিৎসকের পরামর্শে চশমা পরতে হচ্ছে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এই শিক্ষার্থীকে। একই সমস্যা ১১ বছর বয়সী জুবায়ের আব্দুল্লাহর। জন্মগত কোনো সমস্যা না হলেও অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে কমেছে দূরের দৃষ্টিশক্তি। জুবায়েরের মা তসলিমা বেগম বলেন, প্রায় সময় এখন মাথাব্যথা এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে। একটু দূরে থাকা কোনো কিছু খালি চোখে দেখতে পায় না। আগে ঘুম থেকে উঠলে মা মা বলে ডাকত, এখন উঠেই মোবাইল খোঁজে। নানা ব্যস্ততার কারণে ঠিকভাবে যত্ন নিতে পারছি না। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় এখন কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।
চিকিৎসকেরা বলছেন, চলমান মহামারি করোনায় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী থাকায় এবং অনলাইনকেন্দ্রিক পড়াশোনা হওয়ায় মোবাইল আসক্তি বেড়েছে। অনেক অভিভাবক শিশুদেরও মোবাইল থেকে শুরু করে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও নোটবুক কিনে দিচ্ছেন। ফলে খেলাধুলা ও শারীরিক কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে শিশুরা। আর এতে করেই শিশুদের ‘মাইয়োপিয়া’ বা চোখের ক্ষীণ দৃষ্টিজনিত রোগ বাড়ছে প্রকট আকারে। তবে কী পরিমাণ বেড়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগের পরিসংখ্যানের দেওয়া তথ্য খুবই উদ্বেগজনক।
প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্য বলছে, করোনার আগে এই হাসপাতালে সেবা নেওয়া রোগীর ২২ শতাংশই ছিল মাইয়োপিয়ার ভুক্তভোগী। গত প্রায় দুই বছরে তা ১০ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে সেবা নিতে আসা ৩৩ শতাংশ ক্ষীণ দৃষ্টিজনিত রোগের শিকার। কম হলেও শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। যার প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদে খুব খারাপভাবে পড়বে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
করোনায় বিধিনিষেধ চলাকালে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে দৈনিক ৪০-৫০ জন রোগী আসত। বর্তমানে তা তিন থেকে চার শতে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৩৩ শতাংশেরই দূরে দেখার সমস্যা। আর এর বড় অংশ শিশু।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, শিশুদের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় তারা দৃষ্টি শক্তি হারাচ্ছে। অল্প বয়সেই নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। একটি শিশুর আট বছর পর্যন্ত চোখের গঠনগত পরিবর্তন হতে থাকে। এই বয়সেই যদি দূরের জিনিস না দেখে তাহলে আস্তে আস্তে দূরের দৃষ্টিশক্তিই হারিয়ে ফেলবে। বড় হলেও এটি থেকে যাবে।
ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, শিশুদের অধিকাংশ সময়ই এখন কাটে অনলাইনে। অভিভাবকেরাও তেমনভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না। যার ফল খুবই খারাপ হবে। শিশুদের রক্ষা করতে হলে শুধু চিকিৎসকেরা নয়, অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কথায় গুরুত্ব দেয়, তাই তাঁদেরকে বিষয়টির ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের চোখের সমস্যা স্থায়ী হওয়ার অন্যতম কারণ সঠিক সময়ে দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা না করা। শিশুদের দৃষ্টিশক্তি কম থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে যতক্ষণ না তারা কথা বলে বোঝাতে পারছে, ততক্ষণ অভিভাবকেরা সেদিকে গুরুত্বই দেন না।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. কৌশিক চৌধুরী বলছেন, ডিভাইস ব্যবহারের সময়ে শিশুরা লেন্স ব্যবহার করছে না। চোখের একেবারে কাছে থেকে ব্যবহার করছে। এতে করে তার দূরের জিনিস দেখার জন্য যে দৃষ্টি দরকার সেটি মাইনাস হচ্ছে। অভিভাবকের সচেতনতা সবচেয়ে বেশি হতে হবে। শিশুদের কম ডিভাইস ব্যবহার করতে দিতে হবে। খেলাধুলায় আগ্রহী করে তুলতে হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকেও মনোযোগী হতে হবে।
দুই বছর আগে চশমা ছাড়া চলতে পারত ১৩ বছরের মায়িশা। এখন পারছে না। জন্মগত কোনো সমস্যা না হলেও প্রায় দেড় বছর ধরে চিকিৎসকের পরামর্শে চশমা পরতে হচ্ছে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এই শিক্ষার্থীকে। একই সমস্যা ১১ বছর বয়সী জুবায়ের আব্দুল্লাহর। জন্মগত কোনো সমস্যা না হলেও অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে কমেছে দূরের দৃষ্টিশক্তি। জুবায়েরের মা তসলিমা বেগম বলেন, প্রায় সময় এখন মাথাব্যথা এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে। একটু দূরে থাকা কোনো কিছু খালি চোখে দেখতে পায় না। আগে ঘুম থেকে উঠলে মা মা বলে ডাকত, এখন উঠেই মোবাইল খোঁজে। নানা ব্যস্ততার কারণে ঠিকভাবে যত্ন নিতে পারছি না। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় এখন কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।
চিকিৎসকেরা বলছেন, চলমান মহামারি করোনায় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী থাকায় এবং অনলাইনকেন্দ্রিক পড়াশোনা হওয়ায় মোবাইল আসক্তি বেড়েছে। অনেক অভিভাবক শিশুদেরও মোবাইল থেকে শুরু করে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও নোটবুক কিনে দিচ্ছেন। ফলে খেলাধুলা ও শারীরিক কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে শিশুরা। আর এতে করেই শিশুদের ‘মাইয়োপিয়া’ বা চোখের ক্ষীণ দৃষ্টিজনিত রোগ বাড়ছে প্রকট আকারে। তবে কী পরিমাণ বেড়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগের পরিসংখ্যানের দেওয়া তথ্য খুবই উদ্বেগজনক।
প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্য বলছে, করোনার আগে এই হাসপাতালে সেবা নেওয়া রোগীর ২২ শতাংশই ছিল মাইয়োপিয়ার ভুক্তভোগী। গত প্রায় দুই বছরে তা ১০ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে সেবা নিতে আসা ৩৩ শতাংশ ক্ষীণ দৃষ্টিজনিত রোগের শিকার। কম হলেও শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। যার প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদে খুব খারাপভাবে পড়বে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
করোনায় বিধিনিষেধ চলাকালে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে দৈনিক ৪০-৫০ জন রোগী আসত। বর্তমানে তা তিন থেকে চার শতে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৩৩ শতাংশেরই দূরে দেখার সমস্যা। আর এর বড় অংশ শিশু।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, শিশুদের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় তারা দৃষ্টি শক্তি হারাচ্ছে। অল্প বয়সেই নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। একটি শিশুর আট বছর পর্যন্ত চোখের গঠনগত পরিবর্তন হতে থাকে। এই বয়সেই যদি দূরের জিনিস না দেখে তাহলে আস্তে আস্তে দূরের দৃষ্টিশক্তিই হারিয়ে ফেলবে। বড় হলেও এটি থেকে যাবে।
ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, শিশুদের অধিকাংশ সময়ই এখন কাটে অনলাইনে। অভিভাবকেরাও তেমনভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না। যার ফল খুবই খারাপ হবে। শিশুদের রক্ষা করতে হলে শুধু চিকিৎসকেরা নয়, অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কথায় গুরুত্ব দেয়, তাই তাঁদেরকে বিষয়টির ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের চোখের সমস্যা স্থায়ী হওয়ার অন্যতম কারণ সঠিক সময়ে দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা না করা। শিশুদের দৃষ্টিশক্তি কম থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে যতক্ষণ না তারা কথা বলে বোঝাতে পারছে, ততক্ষণ অভিভাবকেরা সেদিকে গুরুত্বই দেন না।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. কৌশিক চৌধুরী বলছেন, ডিভাইস ব্যবহারের সময়ে শিশুরা লেন্স ব্যবহার করছে না। চোখের একেবারে কাছে থেকে ব্যবহার করছে। এতে করে তার দূরের জিনিস দেখার জন্য যে দৃষ্টি দরকার সেটি মাইনাস হচ্ছে। অভিভাবকের সচেতনতা সবচেয়ে বেশি হতে হবে। শিশুদের কম ডিভাইস ব্যবহার করতে দিতে হবে। খেলাধুলায় আগ্রহী করে তুলতে হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকেও মনোযোগী হতে হবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করায় নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে লবণ বাদ দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি, যার ফলে তার শরীরে বিপজ্জনকভাবে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পিন করা একটি পোস্টে মাস্ক দাবি করেন, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে ওপেনএআই ছাড়া অন্য কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কোম্পানিকে অ্যাপ স্টোরের র্য
১২ আগস্ট ২০২৫বিশ্বের জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই সম্প্রতি তাদের সর্বশেষ সংস্করণ জিপিটি-৫ উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, এই মডেলটি মানুষের পিএইচডি লেভেলের দক্ষ!
১২ আগস্ট ২০২৫স্মার্টফোন আসক্তি অনেকের কাছে ব্যাপক মাথাব্যথার কারণ। বিরতিহীন স্মার্টফোন স্ক্রলিংয়ের কারণে অন্যান্য কাজে মনোযোগ নষ্ট হয়। তা ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে স্মার্টফোনের আসক্তি কমানো যায় স্মার্টফোন দিয়েই। বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা যায়। দেখে নিন
১২ আগস্ট ২০২৫