সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উদ্বেগের নতুন কারণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ডিপফেক প্রযুক্তি। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪ হাজার তারকা ও বিখ্যাত ব্যক্তি ডিপফেক পর্নোগ্রাফির শিকার হচ্ছেন বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম চ্যানেল ফোরের এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। সাধারণ মানুষও এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ডিপফেকগুলো বিশ্বাসযোগ্য করে তৈরি সম্পূর্ণ বানোয়াট এক ধরনের কনটেন্ট। ডিপফেক প্রযুক্তিতে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তির মুখ ও ভয়েসের কারসাজি করে নকল ভিডিও বা অডিও ক্লিপ তৈরি করা হয়।
ডিপফেক প্রযুক্তি প্রায়ই অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। ব্যক্তিদের ডিপফেক তৈরি করে জিম্মিও করা হয়। এই কারসাজি করা ভিডিওগুলো মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের খ্যাতি ও গোপনীয়তার জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
এই প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বাস্তব ও ভুয়া কনটেন্টের মধ্যে তফাত ক্রমেই অদৃশ্য হয়ে উঠছে। ফলে জনসাধারণ ও কর্তৃপক্ষ উভয়ের জন্যই ডিপফেক শনাক্ত করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডিপফেক প্রযুক্তি থেকে নিজের ডেটার সুরক্ষার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সেগুলো তুলে ধরা হল—
১. যত দূর সম্ভব নিজের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রাইভেসি সেটিংসগুলো সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে।
২. শক্তিশালী ও অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। ফলে ছবি ও ভিডিওগুলোয় অননুমোদিত অ্যাকসেস লাভ করা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে এবং ডিপফেক প্রযুক্তির দিয়ে নিজের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা কমে যায়।
৩. কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা ও ছবি চুরি করতে পারে। এসব ডেটা ও ছবি দিয়ে ডিপফেক কনটেন্ট তৈরি করে হ্যাকাররা। এজন্য কম্পিউটারে ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। এইভাবে ব্যক্তিগত মিডিয়াতে ক্ষতিকারক টুলগুলোর অ্যাকসেস পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪. ডিপফেক কনটেন্টের সাধারণ লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যদি কোনো ভিডিও, ছবি ও কণ্ঠ খুবই নিখুঁত বা অবাস্তব বলে মনে হয় তবে এটি শেয়ার করা বা বিশ্বাস করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে এই ধরনের কারসাজি ভিডিও শনাক্ত করা যাবে।
৫. নিজের ছবি ও ভিডিওতে জলছাপ বা ওয়াটারমার্ক যুক্ত করুন। এসব ওয়াটারমার্ক অনেক সময় সম্পূর্ণ মুছে ফেলা যায় না। আর সম্পূর্ণ মুছে ফেলার সময় ছবি ও ভিডিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে এসব ছবি ও ভিডিও দিয়ে ডিপফেক তৈরি কঠিন হয়ে পরে। জলছাপ একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে।
৬. নিজের ফাইলগুলোয় মেটাডেটা সঠিকভাবে এম্বেড করা হয়েছে নাকি তা নিশ্চিত করতে হবে। মেটাডেটা হলো ফাইল সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য। যেমন—কে তৈরি করেছে, কবে তৈরি করা হয়, কোথায় তৈরি হয়েছে, কবে এডিট করা হয়েছে, টাইটেল ইত্যাদি। মিডিয়া ফাইল ব্যবহার নিয়ে বিরোধ বা দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে এটি মালিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে।
তবে এসব পদ্ধতি নিজের ডেটা সুরক্ষা দেবে তার শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উদ্বেগের নতুন কারণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ডিপফেক প্রযুক্তি। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪ হাজার তারকা ও বিখ্যাত ব্যক্তি ডিপফেক পর্নোগ্রাফির শিকার হচ্ছেন বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম চ্যানেল ফোরের এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। সাধারণ মানুষও এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ডিপফেকগুলো বিশ্বাসযোগ্য করে তৈরি সম্পূর্ণ বানোয়াট এক ধরনের কনটেন্ট। ডিপফেক প্রযুক্তিতে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তির মুখ ও ভয়েসের কারসাজি করে নকল ভিডিও বা অডিও ক্লিপ তৈরি করা হয়।
ডিপফেক প্রযুক্তি প্রায়ই অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। ব্যক্তিদের ডিপফেক তৈরি করে জিম্মিও করা হয়। এই কারসাজি করা ভিডিওগুলো মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের খ্যাতি ও গোপনীয়তার জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
এই প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বাস্তব ও ভুয়া কনটেন্টের মধ্যে তফাত ক্রমেই অদৃশ্য হয়ে উঠছে। ফলে জনসাধারণ ও কর্তৃপক্ষ উভয়ের জন্যই ডিপফেক শনাক্ত করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডিপফেক প্রযুক্তি থেকে নিজের ডেটার সুরক্ষার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সেগুলো তুলে ধরা হল—
১. যত দূর সম্ভব নিজের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রাইভেসি সেটিংসগুলো সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে।
২. শক্তিশালী ও অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। ফলে ছবি ও ভিডিওগুলোয় অননুমোদিত অ্যাকসেস লাভ করা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে এবং ডিপফেক প্রযুক্তির দিয়ে নিজের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা কমে যায়।
৩. কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা ও ছবি চুরি করতে পারে। এসব ডেটা ও ছবি দিয়ে ডিপফেক কনটেন্ট তৈরি করে হ্যাকাররা। এজন্য কম্পিউটারে ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। এইভাবে ব্যক্তিগত মিডিয়াতে ক্ষতিকারক টুলগুলোর অ্যাকসেস পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪. ডিপফেক কনটেন্টের সাধারণ লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যদি কোনো ভিডিও, ছবি ও কণ্ঠ খুবই নিখুঁত বা অবাস্তব বলে মনে হয় তবে এটি শেয়ার করা বা বিশ্বাস করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে এই ধরনের কারসাজি ভিডিও শনাক্ত করা যাবে।
৫. নিজের ছবি ও ভিডিওতে জলছাপ বা ওয়াটারমার্ক যুক্ত করুন। এসব ওয়াটারমার্ক অনেক সময় সম্পূর্ণ মুছে ফেলা যায় না। আর সম্পূর্ণ মুছে ফেলার সময় ছবি ও ভিডিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে এসব ছবি ও ভিডিও দিয়ে ডিপফেক তৈরি কঠিন হয়ে পরে। জলছাপ একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে।
৬. নিজের ফাইলগুলোয় মেটাডেটা সঠিকভাবে এম্বেড করা হয়েছে নাকি তা নিশ্চিত করতে হবে। মেটাডেটা হলো ফাইল সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য। যেমন—কে তৈরি করেছে, কবে তৈরি করা হয়, কোথায় তৈরি হয়েছে, কবে এডিট করা হয়েছে, টাইটেল ইত্যাদি। মিডিয়া ফাইল ব্যবহার নিয়ে বিরোধ বা দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে এটি মালিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে।
তবে এসব পদ্ধতি নিজের ডেটা সুরক্ষা দেবে তার শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করায় নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে লবণ বাদ দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি, যার ফলে তার শরীরে বিপজ্জনকভাবে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পিন করা একটি পোস্টে মাস্ক দাবি করেন, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে ওপেনএআই ছাড়া অন্য কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কোম্পানিকে অ্যাপ স্টোরের র্য
১২ আগস্ট ২০২৫বিশ্বের জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই সম্প্রতি তাদের সর্বশেষ সংস্করণ জিপিটি-৫ উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, এই মডেলটি মানুষের পিএইচডি লেভেলের দক্ষ!
১২ আগস্ট ২০২৫স্মার্টফোন আসক্তি অনেকের কাছে ব্যাপক মাথাব্যথার কারণ। বিরতিহীন স্মার্টফোন স্ক্রলিংয়ের কারণে অন্যান্য কাজে মনোযোগ নষ্ট হয়। তা ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে স্মার্টফোনের আসক্তি কমানো যায় স্মার্টফোন দিয়েই। বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা যায়। দেখে নিন
১২ আগস্ট ২০২৫