কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ২০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে গুগল। সেই সঙ্গে ২০ লাখ ডলার মূল্যের ক্লাউড সেবাও বরাদ্দ করবে টেক জায়ান্টটি। গত সোমবার এই উদ্যোগের ঘোষণা দেন গুগল ডিপমাইন্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইউ ডেমিস হাসাবিস।
বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর তরুণ উদ্ভাবক এবং স্টার্টআপগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ এটি। এজন্য কর্মী অধিগ্রহণ, ইক্যুইটি বিনিয়োগ (স্টার্টআপ বা কোম্পানিতে শেয়ার কেনা) এবং ক্লাউড অংশীদারত্ব (যেখানে তারা ক্লাউড সেবার মাধ্যমে সহযোগিতা করে) মতো কৌশল নির্ধারণ করেছে গুগল। এর মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ন্ত্রকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
গুগলের ১৯ বছরের পুরোনো দাতব্য শাখা গুগল ডট ওআরজি থেকে অনুদানের নতুন ঘোষণা দেওয়ার হয়েছে। বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অলাভজনক সংস্থাগুলোর কোনো শেয়ার নেওয়া ছাড়াই এই অর্থায়ন করবে গুগল।
তবে গুগলের এই উদ্যোগটি অন্য বড় প্রযুক্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগ এবং অংশীদারত্বের মতোই কাজ করবে। গুগল সরাসরি ‘নগদ অর্থ’ প্রদানের মাধ্যমে এবং তাদের প্রকল্প চালানোর জন্য গুরুত্ব অবকাঠামো সরবরাহ করে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চাইছে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে এআই টুল এবং কম্পিউটিং প্রয়োজন এমন প্রকল্পে কাজ করা নতুন গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে পারবে গুগল। অর্থাৎ এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য সহায়তা করছে গুগল এবং একই সঙ্গে নিজের ব্যবসার জন্য সম্ভাব্য ভবিষ্যত গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে চাইছে।
এই কৌশল শুধু গুগলই গ্রহন করেনি। গত সপ্তাহে অ্যামাজনের ক্লাউড সেবা (এডব্লিউএস) তাদের নিজস্ব ইকোসিস্টেমে এআই গবেষকদের আকর্ষণ করতে ১১ কোটি ডলার অনুদান এবং ক্রেডিট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
অন্যদিকে গুগল নিজেও সম্প্রতি এআই নিয়ে একই ধরনের আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে যোগ্য হল ২ কোটি ডলার মূল্যর একটি তহবিল। এটি বিশেষজ্ঞ গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানকে এআই প্রযুক্তি দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়া অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও সমমূল্যের আরেক অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। এটি জেনারেটিভ এআই প্রোগ্রামে আরও উদ্ভাবনে সাহায্য করবে।
এক ব্লগ পোস্টে গুগল ডট ওআরজির-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাগি জনসন বলেন, নির্বাচিত আবেদনকারীরা এআই ব্যবহার করে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক শাখার সঙ্কটপূর্ণ সমস্যাগুলো সমাধান করবে। এর মাধ্যমে গবেষখেরা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে আরও জটিল সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করবে।
ম্যাগি জনসন আরও বলেন, বিরল এবং উপেক্ষিত রোগের গবেষণা, পরীক্ষামূলক জীববিদ্যা, উপাদান বিজ্ঞান এবং স্থিতিস্থাপকতা এমন বিষয়ে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে।
গুগলের মুখপাত্র বলেন, তাদের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই যে, তারা কতগুলো প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায়। তবে তারা জোর দিয়ে বলেছেন, ‘বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে উৎসাহিত করার জন্য অনুদান দিতে চায় গুগল। এর মানে হলো, তারা ছোট ছোট পরিমাণ অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী নয়। বরং সম্ভাবনাময় গবেষণায় অর্থায়ন করবে। এটি সম্ভবত ১৫ টির বেশি সংগঠনকে অর্থায়ন করবে। ২০২৬ সালের মধ্যে যোগ্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের নির্বাচন করে অর্থ বিতরণ করবে।
গুগলের ডিপমাইন্ডের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর ছিল। ডিপমাইন্ডের তিনজন প্রতিষ্ঠাতার মধ্য একজন হলেন হাসাবিস। গত মার্চ মাসে এআই প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য তিনি ‘নাইটহুড’ পুরষ্কার পান। এরপর অক্টোবর মাসে হাসাবিস ও ডিপমাইন্ড এর পরিচালক জন জম্পার আরেকজন গবেষকের সঙ্গে রসায়নে নোবেল পুরষ্কার পান। জাম্পার ও তাঁর সহযোগীরা আলফাফোল্ড নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল তৈরি করনে। এটি প্রোটিনের কাঠামোর বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। ওষুধ আবিষ্কার, রোগ নির্ণয় এবং বায়োইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষণাকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে এই মডেল।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ২০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে গুগল। সেই সঙ্গে ২০ লাখ ডলার মূল্যের ক্লাউড সেবাও বরাদ্দ করবে টেক জায়ান্টটি। গত সোমবার এই উদ্যোগের ঘোষণা দেন গুগল ডিপমাইন্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইউ ডেমিস হাসাবিস।
বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর তরুণ উদ্ভাবক এবং স্টার্টআপগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ এটি। এজন্য কর্মী অধিগ্রহণ, ইক্যুইটি বিনিয়োগ (স্টার্টআপ বা কোম্পানিতে শেয়ার কেনা) এবং ক্লাউড অংশীদারত্ব (যেখানে তারা ক্লাউড সেবার মাধ্যমে সহযোগিতা করে) মতো কৌশল নির্ধারণ করেছে গুগল। এর মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ন্ত্রকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
গুগলের ১৯ বছরের পুরোনো দাতব্য শাখা গুগল ডট ওআরজি থেকে অনুদানের নতুন ঘোষণা দেওয়ার হয়েছে। বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অলাভজনক সংস্থাগুলোর কোনো শেয়ার নেওয়া ছাড়াই এই অর্থায়ন করবে গুগল।
তবে গুগলের এই উদ্যোগটি অন্য বড় প্রযুক্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগ এবং অংশীদারত্বের মতোই কাজ করবে। গুগল সরাসরি ‘নগদ অর্থ’ প্রদানের মাধ্যমে এবং তাদের প্রকল্প চালানোর জন্য গুরুত্ব অবকাঠামো সরবরাহ করে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চাইছে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে এআই টুল এবং কম্পিউটিং প্রয়োজন এমন প্রকল্পে কাজ করা নতুন গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে পারবে গুগল। অর্থাৎ এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য সহায়তা করছে গুগল এবং একই সঙ্গে নিজের ব্যবসার জন্য সম্ভাব্য ভবিষ্যত গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে চাইছে।
এই কৌশল শুধু গুগলই গ্রহন করেনি। গত সপ্তাহে অ্যামাজনের ক্লাউড সেবা (এডব্লিউএস) তাদের নিজস্ব ইকোসিস্টেমে এআই গবেষকদের আকর্ষণ করতে ১১ কোটি ডলার অনুদান এবং ক্রেডিট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
অন্যদিকে গুগল নিজেও সম্প্রতি এআই নিয়ে একই ধরনের আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে যোগ্য হল ২ কোটি ডলার মূল্যর একটি তহবিল। এটি বিশেষজ্ঞ গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানকে এআই প্রযুক্তি দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়া অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও সমমূল্যের আরেক অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। এটি জেনারেটিভ এআই প্রোগ্রামে আরও উদ্ভাবনে সাহায্য করবে।
এক ব্লগ পোস্টে গুগল ডট ওআরজির-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাগি জনসন বলেন, নির্বাচিত আবেদনকারীরা এআই ব্যবহার করে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক শাখার সঙ্কটপূর্ণ সমস্যাগুলো সমাধান করবে। এর মাধ্যমে গবেষখেরা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে আরও জটিল সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করবে।
ম্যাগি জনসন আরও বলেন, বিরল এবং উপেক্ষিত রোগের গবেষণা, পরীক্ষামূলক জীববিদ্যা, উপাদান বিজ্ঞান এবং স্থিতিস্থাপকতা এমন বিষয়ে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে।
গুগলের মুখপাত্র বলেন, তাদের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই যে, তারা কতগুলো প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায়। তবে তারা জোর দিয়ে বলেছেন, ‘বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে উৎসাহিত করার জন্য অনুদান দিতে চায় গুগল। এর মানে হলো, তারা ছোট ছোট পরিমাণ অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী নয়। বরং সম্ভাবনাময় গবেষণায় অর্থায়ন করবে। এটি সম্ভবত ১৫ টির বেশি সংগঠনকে অর্থায়ন করবে। ২০২৬ সালের মধ্যে যোগ্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের নির্বাচন করে অর্থ বিতরণ করবে।
গুগলের ডিপমাইন্ডের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর ছিল। ডিপমাইন্ডের তিনজন প্রতিষ্ঠাতার মধ্য একজন হলেন হাসাবিস। গত মার্চ মাসে এআই প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য তিনি ‘নাইটহুড’ পুরষ্কার পান। এরপর অক্টোবর মাসে হাসাবিস ও ডিপমাইন্ড এর পরিচালক জন জম্পার আরেকজন গবেষকের সঙ্গে রসায়নে নোবেল পুরষ্কার পান। জাম্পার ও তাঁর সহযোগীরা আলফাফোল্ড নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল তৈরি করনে। এটি প্রোটিনের কাঠামোর বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। ওষুধ আবিষ্কার, রোগ নির্ণয় এবং বায়োইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষণাকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে এই মডেল।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করায় নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে লবণ বাদ দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি, যার ফলে তার শরীরে বিপজ্জনকভাবে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
১২ আগস্ট ২০২৫অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পিন করা একটি পোস্টে মাস্ক দাবি করেন, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে ওপেনএআই ছাড়া অন্য কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কোম্পানিকে অ্যাপ স্টোরের র্য
১২ আগস্ট ২০২৫বিশ্বের জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই সম্প্রতি তাদের সর্বশেষ সংস্করণ জিপিটি-৫ উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, এই মডেলটি মানুষের পিএইচডি লেভেলের দক্ষ!
১২ আগস্ট ২০২৫স্মার্টফোন আসক্তি অনেকের কাছে ব্যাপক মাথাব্যথার কারণ। বিরতিহীন স্মার্টফোন স্ক্রলিংয়ের কারণে অন্যান্য কাজে মনোযোগ নষ্ট হয়। তা ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে স্মার্টফোনের আসক্তি কমানো যায় স্মার্টফোন দিয়েই। বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা যায়। দেখে নিন
১২ আগস্ট ২০২৫